মহিলাদের পাতা
নিকাহ বা বিবাহের ফযীলত (১২)
, ২৭ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৫ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১৮ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মহিলাদের পাতা
দ্বীনদারিকেই সবসময় প্রাধান্য দিতে হবে
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِيْ هُرَيْـرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تُـنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ لِمَالِـهَا وَلِـحَسَبِهَا وَلِـجَمَالِـهَا وَلِدِيْنِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّيْن تَـرَبَتْ يَدَاكَ
অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, বিশেষ চারটি বৈশিষ্ট্যের দিকে লক্ষ্য করে নারীদের বিবাহ হয়ে থাকে। ‘(১) ধন-সম্পদ (২) বংশ মর্যাদা (৩) ছূরত বা সৌন্দর্য (৪) দ্বীনদারী বা পরহেযগারীতা। তবে তোমরা দ্বীনদারী বা পরহেযগারীতাকে প্রাধান্য দিবে। অন্যথায় তোমাদের হাত ধুলায় ধুসরিত হবে। অর্থাৎ তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
সম্মানিত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, ইমাম-মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহহি ওয়া সাল্লাম উনার সেই শিক্ষা মুবারক গ্রহণ করেছেন। উনারা দ্বীনদারী বা পরহেযগারীতাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! ফলে উনারাই কামিয়াব ।
মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াত দ্বীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমাতুল্লাহি আলাইহি। তিনি শাদী মুবারক করার ফিকির করলেন। উনার জন্য একজন মেয়ে দেখা হলো। তিনি বিবাহের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এরই মধ্যে একজন বললেন, হুযূর! বেয়াদবী ক্ষমা চাই। আপনার জন্য যে মেয়ের আলাপ হচ্ছে উনার একজন বড় বোন আছেন। যিনি এত বেশি খুব ছূরত নয়। তবে তিনি আরো বেশি পরযেহগার ও আলিমা। ইলিম, আক্বল ও সমঝ এই মেয়ের চেয়ে অনেক বেশি। তিনি সর্বোচ্চ তাক্বওয়ার অধিকারিণী। যার জন্য উনার বিবাহ হয়নি। তবে উনার একটি চোখ দৃষ্টিশক্তি শূন্য। মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াত দ্বীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, তাতে কোন অসুবিধা নেই। তোমরা ঐ মেয়ের জন্য প্রস্তাব পাঠাও।
মেয়ে পক্ষ বিষয়টি শুনে অত্যন্ত খুশি হলেন। মহান আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা করলেন। শুকরিয়া আদায় করলেন। আর উনার সাথেই উনার শাদী মুবারক সুসম্পন্ন হলো। সুবহানাল্লাহ!
-আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












