নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছামিন মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক
, ২১ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০২ হাদী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ০১ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি:, ১৮ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
وروى حَضْرَتْ اَلْحَاكِم رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَن حَضْرَتْ مُحَمَّد بن عِيسَى رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَن حَضْرَتْ أبي حبيب رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ رَأَيْت النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فِي الْمَنَام فِي الْمنزل الَّذِي ينزل الْحجَّاج ببلدنا فَسلمت عَلَيْهِ فَوجدت عِنْده طبقًا من خوص الْمَدِينَة فِيهِ تمر صيحاني فناولني مِنْهُ ثَمَانِي عشرَة فتألوت أَن أعيش عدتهَا فَلَمَّا كَانَ بعد عشْرين يَوْمًا قدم سَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَلْاِمَامِ الثَّامِنُ مِنْ اَهْلِ بَيْتِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (سَيِّدُنَا حَضْرَتْ أَبُو الْحسن عَليّ الرِّضَا عَلَيْهِ السَّلَامُ) من الْمَدِينَة وَنزل ذَلِك الْمَسْجِد وهرع النَّاس بِالسَّلَامِ عَلَيْهِ فمضيت نَحوه فَإِذا هُوَ جَالس فِي الْموضع الَّذِي رَأَيْت النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم جَالِسا فِيهِ وَبَين يَدَيْهِ طبق من خوص الْمَدِينَة فِيهِ تمر صيحاني فَسلمت عَلَيْهِ فاستدناني وناولني قَبْضَة من ذَلِك التَّمْر فَإِذا عدتهَا بِعَدَد مَا ناولني النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فِي النّوم فَقلت زِدْنِي فَقَالَ لَو زادك رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لزدناك
অর্থ: “ইমাম হাকিম নীশাপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মুহম্মদ ইবনে ঈসা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সূত্রে হযরত আবূ হাবীব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেন। হযরত আবূ হাবীব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমি একদা স্বপ্নে দেখলাম যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের দেশে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন। সম্মানিত হজ্জযাত্রীগণ যেখানে অবতরণ মুবারক করেন, তিনি সেখানে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবতরণ মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! আমি উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সালাম মুবারক দিলাম। তখন আমি উনার সামনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার খেজুরপাতার তৈরী একটি থালা বা পাত্র দেখতে পেলাম, যাতে ছায়হানী খেজুর মুবারক রাখা ছিলো। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে সেখান থেকে ১৮টি খেজুর মুবারক দিলেন। সুবহানাল্লাহ! আমি এই স্বপ্নের তা’বীর বা ব্যাখ্যা করলাম যে, আমি আর এই পরিমাণ সময় অর্থাৎ ১৮ বছর দুনিয়ার যমীনে অবস্থান করবো। এ ঘটনার বিশ দিন পর সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছামিন মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ হতে আমাদের দেশে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক রেখেছেন এবং (নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবতরণ মুবারক করেছিলেন,) তিনি সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক-এ অবতরণ মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! লোকজন দ্রুত গিয়ে উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সালাম মুবারক দিতে লাগলো। আমি উনার দিকে ছুটে গেলাম। দেখতে পেলাম যে, আমি স্বপ্নে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র স্থান মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুশ শাফাক্বাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বসা শান মুবারক) অবস্থায় দেখেছিলাম, ঠিক সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র স্থান মুবারক-এ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছামিন মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বসা রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! আর উনার সামনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার খেজুরপাতার তৈরী একটি থালা বা পাত্র মুবারক-এ ছায়হানী খেজুর মুবারক রাখা আছে। আমি উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সালাম মুবারক দিলাম। তিনি আমাকে উনার কাছে যেতে বললেন এবং আমাকে এক মুষ্টি খেজুর মুবারক দিলেন। তারপর আমি দেখলাম যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে স্বপ্নে যতটা খেজুর মুবারক দিয়েছিলেন, এখানে ঠিক ততটা খেজুর মুবারক রয়েছেন। আমি বললাম, আমাকে আরো বাড়িয়ে দিন। জবাবে তিনি বললেন,
لَو زادك رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لزدناك
যদি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আপনাকে আরো বাড়িয়ে (বেশি) দিতেন, তাহলে আমিও আপনাকে আরো বাড়িয়ে (বেশি) দিতাম। ” সুবহানাল্লাহ! (আছ ছওয়া‘ইকুল মুহ্রিক্বহ্ ২/৫৯৪)
অপর বর্ণনায় রয়েছে,
فقلت زدني يا ابن رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال لو زادك جدي لزدت
অর্থ: “আমি আরজ করলাম, হে আহলে বাইতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! দয়া করে আমাকে আরো বাড়িয়ে দিন। তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন,
لو زادك جدي لزدت
যদি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নানাজান নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আপনাকে আরো বাড়িয়ে (বেশি) দিতেন, তাহলে আমিও আপনাকে আরো বাড়িয়ে (বেশি) দিতাম। ” সুবহানাল্লাহ! (শরফুল মুস্তফা শরীফ ৩/২৩০)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ব্যবহৃত একখানা শব্দ মুবারক পবিত্র “নূরুল ফাতাহ” মুবারক উনার ব্যাপকতা ও বিশালতা
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে মানহানীকারীদের যুগে যুগে ভয়াবহ পরিণতি (৩১)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৭)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকারীর একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যুদন্ড’ (৩)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মেহমানদারী করার মাধ্যমে উদযাপনে শাফায়াত মুবারক লাভ
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৬)
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকারীর একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যুদন্ড’ (২)
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৫)
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকারীর একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যুদন্ড’ (১)
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












