নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত শান মুবারক-এ চূ-চেরা, ক্বীলও ক্বাল করার কারণে, হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করার কারণে কাফেরদের বিরুদ্ধে সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট বিচার চাওয়া প্রসঙ্গে
, ২৭ জুমাদাল উলা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৩ সাবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ২৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
فَـلَمَّا تَـجَلّٰى رَبُّهٗ لِلْجَبَلِ جَعَلَهٗ دَكًّا وَخَرَّ مُوْسٰى صَعِقًا
‘যখন মহান আল্লাহ পাক তিনি পাহাড়ে তাজাল্লা মুবারক, নূর মুবারক নিক্ষেপ করলেন, পাহাড়টা টুকরা টুকরা হয়ে গেলো। আর হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বেহুঁশ হয়ে পড়ে গেলেন।’
কিভাবে পড়লেন? বর্ণনায় বলা হয়- তিনি একটা পাথরের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন, পাথরটা উল্টিয়ে দেওয়া হলো। কারণ, সরাসরি এই নূর মুবারক উনার জিসিম মুবারক-এ যদি লাগে, তাহলে তিনি হয়তো আর থাকতে পারবেন না। এটা এমন হতে পারে, যেটা আমরা বলেছিলাম- ফয়েয-তাওয়াজ্জু এতো কঠিন! যেটা হযরত বাইজিদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এক দৃষ্টিতে উনার খলীফার যে খলীফা, তিনি গলে পানি হয়ে গেছেন, গায়েব হয়ে গেছেন। হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে হিফাযত করার জন্য যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পাথরটাকে উল্টিয়ে দিলেন। যাতে সেই নূরের স্পর্শ উনার জিসিম মুবারক-এ না লাগে। কিন্তু তাতেও তিনি বেহুঁশ হয়ে গেলেন। পরে হুঁশ মুবারক ফিরে আসলেন। তিনি উপলব্ধি করলেন বিষয়টা। এটা হচ্ছে- ৭০ হাজার ভাগের এক ভাগ অথবা একটা সূচের মাথা পরিমাণ ছিদ্র যেই নূর বর্ষণ করা হয়েছে তাতে এই অবস্থা। তাহলে আরশের যারা অধিবাসী- এটা তো একটা কঠিন অবস্থা। আরশে যারা ফেরেশতা আছেন ৮ জন, ১২ জন আরো যারা আছেন। আবৃত অবস্থায় আছেন। বরদাস্ত করা সম্ভব না। উনাদেরকে আল্লাহ পাক আলাদা হেফাযত করেন। সবসময় আবৃত অবস্থায় থাকেন। সেখানে যাওয়া সম্ভব না। আমি যখন বলেছিলাম যে, একটা বিষয়। সেটা হচ্ছে, আমার বলার বিষয়টা ছিলো যে, কাফির-মুশরেকগুলি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি এতো বিদ্বেষ পোষণ করে, উনার মহাসম্মানিত নাম মুবারক এদের ভাষায় ১৩ নম্বর। এই ১৩ নম্বরকে তারা এতো বিদ্বেষ পোষণ করে থাকে, এরা চূ-চেরা, ক্বীলও ক্বাল করে, তাহলে এই বিষয়টা বিচার চাইতে হবে। তখন তিনি সেই কথাগুলি বলেছেন এবং তিনি বলেছেন, ঠিক আছে। মনে হচ্ছে চোখের পলকে উনার থেকে একটা ফয়েয-তাওয়াজ্জু আমার শরীর মুবারক-এ এসে পৌঁছলো। এ সময় এমন হয়েছে সমস্ত শরীর মনে হচ্ছে একদম জর্জরিত হয়ে গেলো। কিন্তু বেহুঁশী হাল হলেও আবার হুঁশ ছিলো। অনেক্ষণ সময় ব্যয় হয়েছে সেই অবস্থাটা কাটতে, ৬/৭/৮ ঘন্টা।
এই যে বিষয়টা এখন উনাদের যে হাল-হাক্বীক্বত, উনারা যে আসলে হাক্বীক্বী নূর মুবারক এবং এই সমস্ত নূর মুবারক বরদাস্ত করতে পারেন এবং বরদাস্ত করেই উনারা ফায়সালা করবেন এবং উনাদের সহযোগীতা, ফায়েয-তাওয়াজ্জু যদি থাকে সেটা বরদাস্ত করা সহজ হয় এবং সম্ভব হয়। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এখন এই যে বিষয়গুলি এগুলি ফিকিরের বিষয়। নিসবত-কুরবত, মুহব্বত। এখন উনাদের হাল-হাক্বীক্বত উনাদের শান-মান, মর্যদা এগুলি সৃষ্টির পক্ষে উপলদ্ধি করা কখনো সম্ভব না।
সেটাই আমি চেয়েছিলাম যে, এটা তো কঠিন বিষয়। তিনি বলেন, এটা আমরা ছাড়া কেউ বরদাস্ত করতে পারবে না। আমি বলেছিলাম, তাহলে আপনি আমাকে সহযোগীতা করেন। তিনি সহযোগীতা করলেন। এমন এক নূর মুবারক উনার থেকে বিচ্ছুরিত হলো, হওয়ার সাথে সাথে মনে হয় সমস্ত কিছু চুর্ণ-বিচুর্ণ হয়ে গেলো কিছুক্ষণের জন্য। যাই হোক, প্রায় ৬-৮ ঘন্টা। এরপর অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছি। তবে একটা তাছীর তো আছে। তাছীর রয়ে গেছে এখনো কম-বেশি। বলেন, এটা বরদাস্ত করতে পারলে পারা যাবে। আমি বলছিলাম যে, তাহলে আমি এই কাফেরদের বিরুদ্ধে বিচার চাইবো। এই কাফেরদের যে এতো বিদ্বেষ, এতো হিংসা কেন্? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক-এ এতো হিংসা কেন এগুলির? এদের বিরুদ্ধে আমি বিচার চাইবো। তিনি বলেন- আমরা ছাড়া ঐখানে তো কেউ যেতে পারবে না। আমি বললাম যে, আপনি সহযোগীতা করলে যেতে পারবো? তিনি বললেন- হ্যাঁ, সহযোগীতা করলে যেতে পারবেন।” সুবহানা মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
-মুহাদ্দিছ মুহাম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত আন নূরুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস মুবারক
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
এক নজরে সাইয়্যিদুল বাশার, সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, আল মুবাশ্শির, আল আবাররু, আল আজওয়াদ, ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পরিচিতি মুবারক
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সর্বজনমান্য ও নির্ভরযোগ্য বহু ইমাম-মুজতাহিদ এবং আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের কর্তৃক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তারীখ মুবারক উনাকে ‘ঈদ, ঈদে আকবর ও ঈদে আ’যম’ হিসেবে গ্রহণ করার দলীল (৩)
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র ইলমে গইব উনার অধিকারী
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশীর সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন দেখে উৎসাহিত হয়ে বিধর্মী পরিবারের মুহব্বত পয়দা হওয়া মাত্রই মুবারক স্বপ্নে বিশেষ যিয়ারত ও ঈমান নছীব
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত মীলাদ শরীফ পাঠে অনন্য তাজদীদ মুবারক
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত মীলাদ শরীফ পাঠে অনন্য তাজদীদ মুবারক
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত মীলাদ শরীফ পাঠে অনন্য তাজদীদ মুবারক
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনে বিশেষ সুসংবাদ প্রাপ্তি
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারণে, উনার সুমহান সম্মানার্থে খুশি মুবারক প্রকাশ করা মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ মুবারক (২)
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক কায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনসাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া (১)
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত আন নূরুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ছূরত মুবারক
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)