নেক সুরতে ধোকা অর্থাৎ মুসলমানদের কাফির বানানোর জামাত হচ্ছে- তাবলীগ জামাত (৪)

, ১৯ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৬ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ০৫ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ২০ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) আপনাদের মতামত

তাবলীগিদের বিশিষ্ট মুরুব্বী ইসমাঈল হোসেন দেওবন্দী তার কিতাবে আরো লিখেছে-

“অনেক স্থলে নবীগন পর্যন্ত হিদায়েতে বিরাট সংকটে ও বিপদে পড়িয়াছিলেন, তাই অনেক স্থানে বিরাট আলেমও ফেল পড়িতেছে। কিন্তু মূর্খগন তথায় দ্বীন জয় করিতেছে।” নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! (তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব ১১৬ পৃষ্ঠা)

উপরোক্ত দলীলসমূহ দিয়ে দেখা গেলো প্রচলিত তাবলীগিরা খারেজীদের মত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম গনের সমালোচনা করে এবং অপমান সূচক কথা বলে। অতএব এ বৈশিষ্ট্যও তাবলিগীদের মধ্যে রয়েছে এটা প্রমান হলো।

বর্তমান সময়ের এই তাবলিগী লেখক দাওয়াতে তাবলীগ কিতাবের ৮০ পৃষ্ঠায় লিখেছে, মক্কা শরীফে এক রাকাত নামাজ পড়লে এক লক্ষ রাকাত নামাজের ছাওয়াব। মদীনা শরীফে নামাজ পড়লে পঞ্চাশ হাজার রাকাত রাকাতের ছাওয়াব। বায়তুল মুকাদ্দাস শরীফে নামাজ পড়লে পঁচিশ হাজার রাকাত নামাজের ছাওয়াব।

কিন্ত... বিশ্ব এস্তেমায় এসে নামাজ পড়লে উনপঞ্চাশ কোটি রাকাত নামাজের ছাওয়াব হয়। (লা’হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ)

(রেফারেন্স: দাওয়াতে তাবলীগ, পৃষ্ঠা ৮০, লেখক: আশরাফ আলী তালেবী, প্রকাশনা: আফতাবীয়া লাইব্রেরি)

সূতরাং এসব মিথ্যাচারিতা নতুন কোন বিষয় নয়। এসব মিথ্যাচার বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য তাদের সৃষ্টির শুরু থেকেই বলে আসছে। মালানা সা’দকে নিয়ে বির্তকের বিষয় মূলত তাদের আক্বীদা নিয়ে নয়। তাদের বদ আক্বীদার বহর অনেক দীর্ঘ। তাদের বর্তমান মত বিরোধের অন্য কোন কারন আছে। পর্দার আড়ালে তাবলীগী ব্যবসা ও পদ নিয়েও হতে পারে। সে যাই হোক সর্বপোরি মহান আল্লাহ পাক আমাদেরকে সকল বদ আক্বীদা থেকে হিফাজত করে সঠিক পথে রাখুন। বিশুদ্ধ আক্বীদা ধারণ করার ও হাক্বীকী মুসলমান হওয়ার তওফিক দান করুন। আমীন।

-মুহম্মদ ইবরাহীম সোহেল।