নড়াইলের শত শত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে সলেমান মালানার নির্দেশে
এডমিন, ৩০ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৩ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ২৩ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ০৯ চৈত্র, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) বিশেষ প্রতিবেদন

একাত্তরের কুখ্যাত রাজাকার, নড়াইল জেলা পিস কমিটির চেয়ারম্যান, জামাত নেতা সলেমান মালানা এখন অঢেল সম্পত্তির মালিক। অভিযোগ রয়েছে, ১৯৭১-এর লুটের টাকায় ঢাকার কাছে বিলাসবহুল বাড়ি বানিয়ে বসবাস করছে। তার আরেক ভাই রাজাকার কমান্ডার রুহুল কুদ্দুস বর্তমানে যশোর জেলা জামাতের ‘পলিটিক্যাল সেক্রেটারি’ ছিল। তাদের অত্যাচার-নির্যাতনের কাহিনী আজও ভুলতে পারেননি নড়াইলবাসী। পাকী বাহিনীর এই দুই কুখ্যাত দালাল এখনও গ্রামে যেতে পারে না। নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর গ্রামের দু’ভাই সলেমান ও রুহুল ১৯৭১-এ তৎকালীন নড়াইল মহকুমার দ-মু-ের কর্তা ছিল। তাদের কলমের লাল কালির নির্দেশে নড়াইলের শত শত নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে মে মাসের মধ্যেই মহকুমা, থানা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে রাজাকারদের তৎপরতা জোরদার করতে সলেমান কমিটি গঠন করে। নিজে নড়াইলের পিস কমিটির চেয়ারম্যান হয়। তার ভাই রুহুলকে দায়িত্ব দেয় জেলা কমান্ডারের। ব্যক্তিগত শত্রুতার জের ধরে দু’ভাই মিলে নড়াইল ভিক্টোরিয়া স্কুলের সহকারী শিক্ষক আতিয়ার রহমানসহ তরফদার বাড়ির ৯ জনকে হত্যা করে। এরা হলেনÑ আব্দুস সালাম, তুলারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আলতাফ হোসেন, ব্রহ্মডাঙ্গা তহসিল অফিসের তহসিলদার রফিকুল ইসলাম, ভিক্টোরিয়া কলেজের বিএ’র ছাত্র মহাতাব উদ্দিন, ইপিআর-এ কর্মরত মকবুল শিকদার, কায়জার মোল্লা, মোকাম মোল্লা ও মনসুর মোল্লা। এদেরকে তারা নড়াইলের রূপগঞ্জ এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিসের উত্তর পাশে নির্মম নির্যাতনে হত্যা করার পর ৮ জনকে মাটিচাপা দেয় সেখানে। তবে মনসুর মোল্লাকে মাটি দেয় তার বাড়িতে।
শুধু তাই নয়, সলেমানের নির্দেশে নড়াইলের বিভিন্ন গ্রাম থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ নিরীহ মানুষকে ধরে এনে হত্যার পর চিত্রা নদীতে ফেলে দেয়া হত। হত্যার আগে বন্দিদের নাম একটি খাতায় লেখা হত।