পবিত্র আযান ও পবিত্র ইক্বামাতের মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র ইসিম মুবারক শুনে চোখে বুছা দেয়া মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত এবং ইহানত করা কাট্টা কুফরী (১)
, ১৮ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০২ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ১৬ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
এ প্রসঙ্গে কিতাবে বর্ণিত আছে- “একদিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র জুমু‘আর নামাযের পূর্বে সম্মানিত মসজিদ মুবারকে বসা অবস্থায় ছিলেন, এমতাবস্থায় সাইয়্যিদুনা হযরত বিলাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি যখন পবিত্র আযান দিতে লাগলেন। যখন আযানে
اَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا رَّسُوْلُ اللهِ.
(“আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্লাহ”) উচ্চারিত হলো, তখন আফদ্বালুন নাস, বা’দাল আম্বিয়া, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি কিছু পাঠ করে উনার দু’হাত মুবারকের দুই বৃদ্ধা আঙ্গুল মুবারক চুম্বন দিয়ে স্বীয় চোখ মুবারক উনার উপর বুলালেন। যখন পবিত্র আযান শেষ হলো, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জিজ্ঞাসা করলেন- “হে সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম! আপনি এই পবিত্র আযানে “আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্লাহ” শুনে কি করলেন?” তিনি বললেন, প্রথমবার
صَلَّى اللهُ عَلَيْكَ يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
(ছল্লাল্লাহু আলাইকা ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আর দ্বিতীয়বার
قُرَّةُ عَيْنِىْ بِكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
)“কুররাতু আইনী বিকা ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম”) বলে অঙ্গুলী মুবারকসমূহ বুছা দিয়ে চোখে বুলিয়েছি।
তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন-
مَنْ سَمِعَ اِسْمِىْ فِى الْاٰذَانِ وَوَضَعَ اِبْهَامَيْهِ عَلٰى عَيْنَيْهِ فَاَنَا طَالِبُهٗ فِىْ صُفُوْفِ الْقِيَامَةِ وَقَائِدُهٗ اِلَى الْجَنَّةِ.
অর্থ:- “যে ব্যক্তি পবিত্র আযানের মধ্যে আমার মহাসম্মানিত নাম মুবারক শুনে বুদ্ধাঙ্গুলীদ্বয় চোখের উপর বুলাবে (রাখবে) আমি তাকে ক্বিয়ামতের দিন কাতারের মধ্যে তালাশ করব। (কাতার থেকে বের করে) টেনে সম্মানিত জান্নাতে নিয়ে যাব অর্থাৎ সম্মানিত জান্নাতে প্রবেশ করাব। ” সুবহানাল্লাহ!
অতএব, পবিত্র আযানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত নাম মুবারক শুনে অঙ্গুলী চুম্বন করে চোখে বুছা দেয়া সুন্নতে হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার অন্তর্ভুক্ত এবং সুন্নতে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরও অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
এই মহাসম্মানিত সুন্নতী আমল মুবারক উনার মাধ্যমে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত সুপারিশ মুবারক নছীব হবে এবং সম্মানিত জান্নাত মুবারক লাভ করা সহজ ও সম্ভব হবে।
- আহমদ হুসাইন
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ঘুমানোর মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নতী তারতীব মুবারক - ২
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ঘুমানোর মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নতী তারতীব মুবারক -১
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হাত ও পায়ের নখ কাটার মহাসম্মানিত সুন্নতী তারতীব মুবারক
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যেসব দিনে গোসল করা ও গোসলে কি কি ব্যবহার করা মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
চিকিৎসা গ্রহণ করা খাছ সুন্নত মুবারক (২)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
চিকিৎসা গ্রহণ করা খাছ সুন্নত মুবারক (১)
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৫)
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৪)
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৩)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (২)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












