পবিত্র যাকাত সঠিকভাবে আদায় না করায় দেশবাসী আক্রান্ত হচ্ছে অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, খরা, বন্যাসহ নানা দুর্যোগে। সঠিকভাবে পবিত্র যাকাত আদায় এবং সঠিক জায়গায় পৌঁছানোই এসব দুর্যোগ থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায়।
, ১৪ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৬ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ২৫ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ১১ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মন্তব্য কলাম
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের ক্ষতি সম্পর্কে বলা হয়।
বোরোতে দুর্যোগের কারণে ২০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতি হয়। তা ছাড়া আমন-আউশেরও ক্ষতি হয়। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বোরো ফসল কম হচ্ছে।
বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক যে অবস্থান সেখানে ২৫ শতাংশ খাদ্য আমদানি করতে হলে দুর্ভিক্ষ দেখা দিত।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে গত ২০ বছরে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিটি পরিবারের গড়ে ৪ লাখ ৬২ হাজার ৪৯১ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। গঙ্গা-মেঘনা-ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকা অঞ্চলের শরীয়তপুরে এই ক্ষতির পরিমাণ গড়ে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৩৩০ টাকা। আর বরেন্দ্র অঞ্চলে গড়ে ৩৩ হাজার ৭৬৯ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
দুর্যোগের কারণে বাংলাদেশ ৭ বছরে ৪ হাজার ১২০ মিলিয়ন ডলার অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
৭ বছরে সংঘটিত দুর্যোগের তথ্য বিশ্লেষণ করে গবেষণায় ধারণা করা হয়েছে, প্রতি বছর ২৭ লাখ ১০ হাজার পরিবারের ১ কোটি ২১ লাখ মানুষের ওপর বর্ষার বন্যা, আকস্মিক বন্যা, নদীভাঙন, পানিচ্ছ্বাস, ভূমিধস ও ঘূর্ণিঝড়সহ বিভিন্ন পানিবায়ু সংক্রান্ত দুর্যোগের প্রভাব পড়তে পারে।
গবেষণায় কালবৈশাখী, শৈত্যপ্রবাহ ও শিলাবৃষ্টির মতো অন্যান্য দুর্যোগগুলোও বিবেচনা করা হয়েছে।
গবেষণায় আরও ধারণা করা হয়েছে, ২০২১ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ৬৪টি জেলায় অন্তত ১ কোটি ৮৩ লাখ ৩০ হাজার মানুষের পানিবায়ু সংক্রান্ত দুর্যোগের সংস্পর্শে আসতে পারে এবং তাদের ৬৬ শতাংশের জীবনে এর প্রভাব পড়বে।
এতে আরও অনুমান করা হয়েছে, একই সময়ে দুর্যোগের কারণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ হবে অন্তত ৩৩৭ দশমিক ৯৪ মিলিয়ন ডলার।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, উত্তরাঞ্চলের ৪ জেলা- কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ ও জামালপুর বন্যা ও নদীভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণের ৪ জেলা- সাতক্ষীরা, খুলনা, বরগুনা ও পটুয়াখালী ঘূর্ণিঝড় ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে। এ ছাড়া আরও ২৭টি জেলা দুর্যোগের কবলে পড়বে।
জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) দ্বারা সমন্বিত একটি নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রীষ্মম-লীয় ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গত বছর বাংলাদেশের আনুমানিক ১১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।
বন্যায় ক্ষতির পরিমাণও বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৬ বছরে বন্যায় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে এক লাখ কোটি টাকার কিছু বেশি। অথচ আগের ছয় বছরে এ ক্ষতির পরিমাণ ছিল মাত্র চার হাজার কোটি টাকার আশপাশে।
মানুষের ক্ষতির হিসাবের ক্ষেত্রে বিবিএস জমির অবক্ষয় মূল্য ধরেছে। সেখানেই ক্ষতির হার বেশি দেখা যাচ্ছে, প্রায় ৫৩ শতাংশ। আর শস্য, প্রাণিসম্পদ, পোলট্রি ও মৎস্য খাতে সম্মিলিত ক্ষতি মোট ক্ষতির ৩৯ শতাংশ। এর বাইরে বসতবাড়ি, রান্নাঘর, গোয়ালঘর ও অন্যান্য অবকাঠামোর ক্ষতির মুখে পড়েছে মানুষ। কৃষি খাতের মোট আর্থিক ক্ষতি বিবিএস দেখিয়েছে ৭১ হাজার কোটি টাকা।
অবশ্য কৃষি ও অবকাঠামোর ক্ষতির বাইরেও দুর্যোগের একটি পরোক্ষ ক্ষতি আছে। সেটি হলো, মানুষের আহত হওয়া ও রোগ ছড়িয়ে পড়ায় চিকিৎসার ব্যয় বেড়ে যাওয়া। বিবিএসের জরিপের তথ্য বলছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে আহত অথবা অসুস্থ হয়ে গত ৬ বছরে ২৪ লাখ মানুষকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। তাদের মোট খরচ হয়েছে ৩ হাজার ৯৪২ কোটি টাকা। মাথাপিছু গড় চিকিৎসা ব্যয় ছিল ১৬ হাজার টাকার বেশি। বিবিএসের জরিপ বলছে, গত ৬ বছরে দুর্যোগপ্রবণ এলাকার খানার সদস্যরা দুর্যোগের কারণে গড়ে ২১ দিন কর্মহীন ছিলেন।
দুর্যোগের কারণে শিক্ষাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জরিপে দেখা যায়, ২০২০ সাল পর্যন্ত ৬ বছরে শিশুদের স্কুলে অনুপস্থিতির প্রধান কারণ ছিল অসুস্থতা ও আহত হওয়া, হার ৭২ শতাংশ। এর বাইরে যোগাযোগ ব্যবস্থার অবনতি ও বিদ্যালয়ের অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণেও শিশুরা স্কুলে যেতে পারেনি।
দুর্যোগ প্রবণ এলাকায় ৭০ শতাংশের বেশি মানুষ থাকেন কাঁচা বাড়িতে। সেমি পাকা বাড়িতে থাকেন ১৭ শতাংশ মানুষ। আর পাকা বাড়ি রয়েছে ১০ শতাংশ পরিবার। ঝুপড়িতে থাকছেন ৮৪ হাজার ৯৮৭টি পরিবার।
এসব এলাকায় ৫০ শতাংশ মানুষ পাকা টয়লেট, ৪৬ শতাংশ কাঁচা টয়লেট ব্যবহার করেন। আর এখনও খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করেন প্রায় সাড়ে ৩ শতাংশ মানুষ।
দুর্যোগের ধরন অনুযায়ী থানায় প্রভাব দেখা যায়- খরায় রাজশাহী বিভাগ প্রথম (২৫.৩৯%) এবং রংপুর বিভাগ দ্বিতীয় স্থানে (২৩.৯৯%), বন্যায় সিলেট বিভাগ প্রথম (৬৯.৯৭%) এবং ঢাকা বিভাগ দ্বিতীয় (৫১.৮৯%), পানিমগ্নতায় খুলনা বিভাগ প্রথম (৩৪.৮৮%) এবং চট্টগ্রাম বিভাগ দ্বিতীয় (৩৪.৩৯%), ঘূর্ণিঝড়ে বরিশাল বিভাগ প্রথম (৭৮.৩১%) এবং চট্টগ্রাম বিভাগ দ্বিতীয় (৩০.৯৬%), টর্নেডোতে রংপুর বিভাগ প্রথম (১২.৩০%) এবং রাজশাহী বিভাগ দ্বিতীয় (৭.৫১%), পানিচ্ছ্বাসে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগ যথাক্রমে ৩১.৫১% ও ১৩.৫১%, বজ্রপাত ও বজ্রঝড়ে (কালবৈশাখী ও আশ্বিনী ঝড়সহ) সিলেট ও রংপুর বিভাগ যথাক্রমে ৩১.৮৪% ও ২৩.৫৩%, নদী/উপকূলীয় চট্টগ্রাম ও রংপুর বিভাগ যথাক্রমে ৭.০১% ও ৬.৮৭%, ভূমিধসে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ যথাক্রমে ০.৮০% ও ০.০২%, লবণাক্ততায় খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগ যথাক্রমে ২২.২৪% ও ৫.৩০%, শিলাবৃষ্টিতে ঢাকা ও রংপুর বিভাগ যথাক্রমে ২০.৮৬% ও ১৬.৬২%, অন্যান্য দুর্যোগ- যেমন কুয়াশা, শৈত্যপ্রবাহ, পোকামাকড়ের আক্রমণ প্রভৃতিতে রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগ যথাক্রমে ১৪.৭৩% ও ১২.৮৬%। ২০০৯-২০১৪ সময়কালে অর্থাৎ ছয় বছরে দুর্যোগপ্রবণ এলাকার থানার ৫৬% থানা একবার, ২৭% থানা দুবার, ১৭% থানা তিন বা ততধিকবার দুর্যোগে আক্রান্ত হয়েছিল।
দুর্যোগপ্রবণ এলাকার প্রায় ৩৬ শতাংশ মানুষ কৃষিকাজে নিয়োজিত, যাদের বড় অংশই দিনমজুর। এসব এলাকায় ব্যবসায় নিয়োজিত আছেন ১৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ মানুষ। চাকরিতেও প্রায় সমান সংখ্যক মানুষ রয়েছেন। শিল্প খাতে নিয়োজিত মাত্র দশমিক ৩২ শতাংশ মানুষ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্যোগপ্রবণ এলাকার সাড়ে ৩৮ শতাংশ মানুষের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা রয়েছে সাড়ে ৩২ শতাংশের। দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন সাড়ে ১৮ শতাংশ, আর মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন মাত্র ৯ দশমিক ২৩ শতাংশ।
পরিসংখ্যান ব্যুরো পরিচালিত জরিপ অনুযায়ী, শস্য খাতে ৩৬ দশমিক ২০ শতাংশ, প্রাণিসম্পদে ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ, পোলট্রিতে ১ দশমিক ২১ শতাংশ, মৎস্য খাতে ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ, জমিতে ২৬ দশমিক ৭২ শতাংশ, বসতঘর, ও গোয়ালঘর রান্নাঘর ১৭ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং উঠানের গাছপালায় ৮ দশমিক ১০ শতাংশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জনজীবনে পানিবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কর্মসূচি প্রতিবেদনে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় থানা সংখ্যা ৪৩ লাখ ৬১ হাজার ২৬১টি এবং দুর্যোগপ্রবণ এলাকার থানার প্রধান ঘর ৭০.৩১ ভাগ কাঁচা, ১৭.৪৪ ভাগ অর্ধপাকা এবং ১.৯৫ ভাগ ঝুপড়ি।
প্রসঙ্গ, সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী ও দুর্যোগ মন্ত্রীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আমাদের ভাবতে হবে কীভাবে বিপর্যয় মোকাবিলা করা যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতিমধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। এ লক্ষ্যে উপকূলীয় এলাকায় বাঁধ নির্মাণ ও বনায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে সরকার। এর ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমে আসবে। ’
প্রসঙ্গত আমরা মনে করি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার ক্ষমতা কারো নাই। কারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মূলত গযব। তবে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে এ প্রসঙ্গে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যমীনে এবং পানিতে যত ফিতনা-ফাসাদ সব মানুষের হাতের কামাই। ”
বিষয়টি আরো স্পষ্ট করে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বলা আছে, “যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষ যাকাত ঠিকমতো দিবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত বন্যা এবং খরায় তারা কষ্ট পাবে। ”
বলাবাহুল্য, যত ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগ রয়েছে ঠিকভাবে যাকাত না দেয়াই যে এর কারণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
মূলত, সঠিকভাবে যদি পবিত্র যাকাত আদায় করা হয় এবং সঠিক জায়গায় পবিত্র যাকাত পৌঁছানো হয়, তাহলে অতিবৃষ্টি-অনাবৃষ্টি অথবা বন্যা বা খরা কোনোটাই আমাদেরকে আক্রান্ত করবে না, সব ফসলই আমরা পরিপূর্ণভাবে পাবো।
বলার অপেক্ষা রাখেনা, শতকরা ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের এদেশের সরকারের এক্ষেত্রে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসা উচিত। মুসলিম জনগোষ্ঠীরও এই আহ্বান সমস্বরে সরকারের কাছে পেশ করা উচিত।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












