পাঠক কলাম:
পর্দা করাই হচ্ছে আধুনিকতা আর বেপর্দা হওয়া জাহিলিয়াত যুগের অনুসরণ
, ১১ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৩ আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ১২ মার্চ, ২০২৫ খ্রি:, ২৫ ফালগুন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মহিলাদের পাতা
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা মহিলারা ঘরে অবস্থান করবে, জাহিলিয়াত যুগের মেয়েদের মতো সৌন্দর্য প্রদর্শন ঘুরে বেড়িও না”।
এই সম্মানিত আয়াত শরীফ থেকে আমরা সহজেই বুঝতে পারি মেয়েদেরকে পর্দার সাথে ঘরে অবস্থান করতে হবে। প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে হলে সমস্ত শরীর ঢেকে বের হতে হবে। জাহিলিয়াত যুগ বা মূর্খতার যুগ হচ্ছে দ্বীন ইসলাম নাযিল হওয়ার পূর্বের যুগ। সেই যুগে মেয়েরা সৌন্দর্য প্রদর্শন করে ঘুরে বেড়াতো। সম্মানিত দ্বীন ইসলাম হচ্ছেন সবচেয়ে আধুনিক। কারণ মহান আল্লাহ পাক তিনি এরপর আর কোন ধর্ম নাযিল করেননি। পর্দা করা হচ্ছে আধুনিকতা। সম্মানিত দ্বীনে মেয়েদের অনেক মর্যাদা দেয়া হয়েছে। এজন্য মেয়েদের পর্দা করার সম্মানিত আদেশ মুবারক করা হয়েছে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যুগে স্বাধীনা, সম্ভ্রান্ত মহিলারা পর্দা করতেন। যারা দাসী, বান্দী ছিল তারা মুখ খুলে বের হতো।
যারা সমস্ত শরীর ঢেকে অর্থাৎ পর্দা করে বের হবেন তাদেরকে কেউ উত্ত্যক্ত করবে না এবং তারা যে ভদ্র জ্ঞানী সেটাও চিনা সহজ হবে। কোনো জ্ঞানী বা ভদ্র মহিলা কখনো নিজের সৌন্দর্য পর পুরুষকে দেখায় না। আর যে দেখায় সে আসলে ভদ্র হতে পারে না।
সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যে (পুরুষ) দেখে এবং যে (মেয়ে) দেখায়, উভয়ের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত। ”
লা’নত মানে অভিশাপ। লা’নতগ্রস্থ মানুষ জ্ঞানী হতে পারে না।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “দাইউছ বেহেস্তে প্রবেশ করবে না। ”
দাইউছ হলো ঐ ব্যক্তি যে নিজে পর্দা করেনা এবং অধীনস্তদের পর্দা করায় না। তাহলে বুঝা গেলো পুরুষ মহিলা উভয়কেই পর্দা করতে হবে।
নতুবা লা’নতগ্রস্ত হয়ে জাহান্নামী হতে হবে। পুরুষরা পর মেয়েকে দেখা থেকে চোখকে হিফাযত করবে। দুনিয়াতে যত ফিৎনা ফাসাদ রয়েছে তার বেশির ভাগ হয় বেপর্দার কারণে। এজন্য প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ ও মহিলার জন্য ফরয হচ্ছে পর্দা করা। যারা পর্দা করতে পারতেছি আলহামদুলিল্লাহ। আর যারা পর্দা করতে পারছি না তারা ইস্তেগফার ও তওবা করে ফিরে আসতে হবে, পর্দা করার চেষ্টা করতে হবে। সম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলা ও সম্মানিত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানার্থে আমরা হাক্বীক্বী পর্দা করার তাওফীক চাই। আমীন!
-আহমাদ ফাতেমা আক্তার।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরযে আইন হচ্ছে- যথাযথভাবে ৫ ওয়াক্ত নামায তারতীব অনুযায়ী যথাসময়ে আদায় করে নেয়া
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












