পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
(আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ থেকে সংকলিত)
, ২২ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২০ আউওয়াল, ১৩৯৩ শামসী সন , ১৯ জুন, ২০২৫ খ্রি:, ০৫ আষাঢ়, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মহিলাদের পাতা
(ধারাবাহিক)
এ প্রসঙ্গে বলা হয়, হযরত যুন্ নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার খেলাফত কালে এই ধরনের একটা মামলা এসে উনার কাছে পৌঁছে। যে সন্তানটা সাত মাসের পূর্বে জন্মগ্রহণ করেছে। এখন কি সত্যি সেটা তার পিতার-সন্তান, না অবৈধ।
হযরত যুন্ নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি তখন পর্যন্ত যেটা মাশহুর ছিল সাত মাসের নিচে হলে কোন সন্তান পরিপূর্ণ হয় না। উনি শাস্তি দেয়ার চিন্তা ভাবনা গ্রহণ করবেন, ঠিক সেই মুহূর্তে হযরত ইমামুল আউওয়াল কারামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি এসে বললেন, হে খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন আলাইহিস সালাম! মূলতঃ সন্তান ছ’ মাস পর্যন্ত থাকতে পারে, তাতে পূর্ণতা প্রাপ্ত হতে পারে।
যেটা খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফে বলেছেন-
وَحَمْلُهُ وَفِصَالُهُ ثَلَاثُونَ شَهْرًا
দু’ বছর দুধ পান করানোর সময় দেয়া হয়েছে। ছ’ মাস কমপক্ষে সন্তান মায়ের রেহেমে অবস্থান করার সময় নির্দিষ্ট করা হয়েছে। অবশ্যই দুধ সম্পর্ক স্থাপনের জন্য আরো ছ’ মাস বৃদ্ধি করা হয়েছে।
আমাদের হানাফী মাযহাব মোতাবেক, আড়াই বছরের মধ্যে কোন সন্তান যদি কোন মহিলার দুধ পান করে তাহলে সে সন্তানটা সে মহিলার দুধ সন্তান হবে এবং সে মহিলা সে সন্তানের দুধ মাতা হবে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি সেটা উল্লেখ করেছেন, অনেক কষ্ট শিকার করেছেন তোমাদের মাতা তোমাদের জন্য, যেটা বেমেছাল, বলার অপেক্ষাই রাখে না। যেমন রেহেম শরীফে ধারণ করে কষ্ট করেছেন, জন্মের সময় কষ্ট করেছেন। এরপর একাধারে দু’বছর তোমাদেরকে দুধ পান করিয়েছেন, তাতেও অনেক কষ্ট শিকার করেছেন, যেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এরপর সন্তান বড় হয়ে যায়, উপযুক্ত হয়, শক্তি সামর্থ্য হয়, চল্লিশ বছরে গিয়ে সে পৌঁছে। তখন তার কি করা কর্তব্য?
তার কর্তব্য সেই দোয়া করা যা আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীকে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি করেছিলেন, উনার পিতা ও মাতার জন্য, আল-আওলাদের জন্য। যা মহান আল্লাহ পাক তিনি শিক্ষা দিয়েছেন। তোমরা দোয়া কর যে-
“মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে যে মাতা ও পিতাকে যে নিয়ামত দিয়েছেন তার শুকরিয়া আদায় করার তাওফিক দান করুন এবং আমাদের নেক কাজ করার তাওফিক দান করুন। এমন নেক কাজ যেটাতে আপনি সন্তুষ্ট হন।
আর আমাদের আল আওলাদ যারা আসবে পরবর্তী বংশধর হিসেবে, তাদেরকে নেককার করে দিন, ইছলাহ্প্রাপ্ত করে দিন এবং আমি নিশ্চয়ই দোয়া করবো, আমি নিশ্চয়ই আপনার দিকে প্রত্যাবর্তন করছি এবং তওবা করছি; খালেছ তওবা এবং নিশ্চয়ই আমি মুসলমানের অন্তর্ভূক্ত। ”
কাজেই প্রত্যেক সন্তানের দায়িত্ব রয়েছে দোয়া করা পিতা-মাতার জন্য।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহিলাদের জন্য মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া জায়েয নেই
১৮ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
একখানা মহাসম্মানিত সুন্নাত মুবারক আমল করলে, মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে ৪টি নিয়ামত মুবারক
১৮ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১৭ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পরকালে নেককার ও বদকারদের অবস্থা কিরূপ হবে
১৫ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
একমাত্র কাফিররাই হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে তাদের মতো মানুষ বলে
১৫ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কায়িনাতবাসীর সমস্ত নিয়ামত মুবারক বণ্টনকারী
১৫ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
একমাত্র কাফিররাই হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে তাদের মতো মানুষ বলে
১৩ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহিলাদের জন্য হাত, পা ও চেহারা আবৃত করে ঘর থেকে বের হওয়া ফরয। খোলা রেখে বের হওয়া হারাম, জায়েয বলা কুফরী (১৮)
১২ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১০ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
০৯ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সবাইকে সর্বাবস্থায় হক্বের উপর ইস্তেকামত থাকতে হবে
০৮ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
একমাত্র কাফিররাই হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে তাদের মতো মানুষ বলে
০৬ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)