প্রসঙ্গ: মুসলমানদের উপর কাফিরদের নির্যাতনের কারণ উদঘাটন
, ০৩ রা শা’বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৬ তাসি’, ১৩৯২ শামসী সন , ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রি:, ২০ মাঘ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
“নিশ্চয়ই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু ইহুদী, অতঃপর মুশরিক” (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৮২)
এ পবিত্র আয়াত শরীফ যতদিন মুসলমানরা অন্তর থেকে বিশ্বাস না করবে এবং সে অনুসারে আমল না করতে পারবে ততদিন মুসলমানরা কাফিরদের কাছে মার খেতেই থাকবে, অপদস্থ হতেই থাকবে। যেমনটা এখন ফিলিস্তিনিরা খাচ্ছে।
২য় বিশ্বযুদ্ধের পর ফিলিস্তিনের মুসলমানদের ইহুদীদের প্রতি মায়া উপচে পড়েছিলো। আদর করে আশ্রয় দিয়েছিলো নিপীড়িত (!) ইহুদীদের। সে সময় তৎকালীন সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটেন পর্যন্ত ইহুদীদের কোনো খ্রিস্টান দেশে আশ্রয় দিতে রাজি হয়নি। কারণ তারা ইহুদীদের দুষ্টুমি সম্পর্কে ভালোভাবেই অবগত ছিলো। একই জিনিস আমরা হিটলারের ক্ষেত্রেও দেখতে পাই। হিটলার বলেছিলো, সে সব ইহুদী মারেনি, কারণ ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন বুঝতে পারে ইহুদীরা কত খারাপ।
এখানে বুঝা যাচ্ছে ইহুদীদের সম্পর্কে খ্রিস্টানরা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলো, কিন্তু পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে স্পষ্ট বর্ণনা থাকার পরও মুসলমানরা তা বুঝতে পারেনি। কারণ মুসলমানরা মহাপবিত্র কুরআন শরীফ পড়ে ঠিকই কিন্তু সে অনুসারে আমল করে না। মূলত গত অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের মুসলমানরা যে কষ্ট পাচ্ছে তার মূল কারণ তারা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ অনুসারে আমল করতে পারেনি, কাফিরদেরকে শত্রু ভাবতে পারেনি। শুধু ফিলিস্তিনিরাই নয়, বিশ্বের অন্যান্য মুসলমানরাও একইভাবে পবিত্র কুরআন শরীফ মানে না এবং তার উপর আমলও করে না। যেমন:
১) মহান আল্লাহ পাক তিনি ইহুদী-মুশরিক তথা কাফিরদেরকে শত্রু বলে উল্লেখ করেছেন, কিন্তু তারপরও মুসলমানরা কাফিরদের শত্রু মনে করে না। নাউযুবিল্লাহ!
২) মহান আল্লাহ পাক তিনি কাফিরদের অনুসরণ করতে মানা করেছেন, তারপরও মুসলমানরা সারাদিন কাফিরদের অনুসরণ করে। নাউযুবিল্লাহ!
৩) মহান আল্লাহ পাক তিনি কাফিরদের মুহব্বত করতে নিষেধ করেছেন, তারপরও মুসলমানরা সবসময় কাফিরদের সাথে মুহব্বত স্থাপন করে। নাউযুবিল্লাহ!
৪) মহান আল্লাহ পাক তিনি কাফিরদের প্রশংসা করতে নিষেধ করেছেন, তারপরও মুসলমানরা কাফিরদের প্রশংসা করে। নাউযুবিল্লাহ!
৫) মহান আল্লাহ পাক তিনি কাফিরদের তা’যীম করতে, সম্মান করতে নিষেধ করেছেন, তারপর মুসলমানরা কাফিরদেরকে সম্মান করে। নাউযুবিল্লাহ!
যতদিন মুসলমানরা অন্তর থেকে তাদের শত্রুদেরকে চিনতে ও তাদের বর্জন করতে না পারবে, ততদিন মুসলমানরা সফলতা অর্জন করতে পারবে না। এটাই চিরন্তন সত্য।
-মুহম্মদ মুহিবুর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র ‘ছলাতুল জুমুয়াহ’ উনার পূর্বে ৪ রাকায়াত সুন্নত নামায অর্থাৎ পবিত্র ‘ক্বাবলাল জুমুয়াহ’ নামায নিয়ে বাতিলপন্থিদের বিভ্রান্ত্রিকর ও মিথ্যা বক্তব্যের দলীলভিত্তিক জাওয়াব (৮)
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
কাফির মুশরিকদের থেকে দূরে থাকতে এবং তাদেরকেও দূরে রাখার ব্যাপারে নির্দেশ মুবারক
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- ফুটবল-ক্রিকেটসহ সর্বপ্রকার খেলাধুলা করা, সমর্থন করা হারাম ও নাজায়িয (২)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যেখানে প্রাণীর ছবি থাকে, সেখানে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত ৩টি স্তর
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আসমাউর রিজাল, জারাহ ওয়াত তা’দীল, উছুলে হাদীছ শরীফ উনার অপব্যাখ্যা করে অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাকে জাল বলছে ওহাবী সালাফীরা (৩)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া কবীরা গুনাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৪)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












