বর্ষায় চুলের যত্ন
, ১৭ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৬ছালিছ, ১৩৯১ শামসী সন , ০৫ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ২১ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহিলাদের পাতা
মাথার ত্বকের ক্ষতি : ঘামে ভিজে গেলে বা গোসলের পর ভেজা চুল ফ্যান ছেড়ে শুকিয়ে নিতে হবে। না হয় ভিজে আর স্যাঁতসেঁতে থাকার কারণে চুলে খুশকি হতে পারে। চুল রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। বৃষ্টির পানিতে এক ধরনের এসিড থাকে, যা খালি চোখে দেখা যায় না। স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া, ঘাম আর ভেজা চুলের কারণে চুলের গোড়ায় ইনফেকশনও হতে পারে। এ সময় চুলের ঝরে পড়াও বৃদ্ধি পায়। ভেজা চুল, অযতœ-অবহেলা, বাইরের ধুলা-ময়লার কারণে চুলের ক্ষতি হয়, উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়। অ্যালোভেরা মাথার ত্বকের শুষ্কতা প্রতিরোধ করে, আর্দ্রতা বজায় রাখে। তাই তেলের সাথে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে চুলে মালিশ করতে পারেন।
ভেজা চুল : এ সময়ে চুল সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। বৃষ্টিতে কখনো ভিজলে ঘরে এসে গোসল করে ভালো করে সুতি গামছা বা তোয়ালে দিয়ে চুল শুকিয়ে নিতে হবে। প্রয়োজনে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন। চুলে প্রতিদিন না হলেও একদিন পর পর শ্যাম্পু করতে হবে। সপ্তাহে অন্তত দুদিন আধা ঘণ্টার জন্যে হলেও চুলে তেল দিন। প্রচুর পানি পান করতে হবে, ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। উকুন হলে তার জন্য উকুননাশক শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। তেলের সাথে নিম পাতার পেস্ট করে মাথায় লাগাতে পারেন। এতে মাথার স্কাল্পে চুলকানি, খুশকি বা ছত্রাকের আক্রমনে ইনফেকশন থাকলে দূর হবে।
পরিবেশের তারতম্য: এখন চুল নষ্ট হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, ভেজাল খাবার, ধুলাবালি, ঘাম, পুষ্টিহীনতা ইত্যাদি কারণে ইদানীং প্রায় সবারই চুল পড়ছে। তাছাড়া বর্ষা ঋতুর সারাক্ষণ ঝরঝর বৃষ্টি, ভ্যাপসা গরমে আবহাওয়া হয়ে থাকে স্যাঁতসেঁতে। তাই বৃষ্টিতে ভিজলে বা গোসলের পর চুলের গোড়া ভিজে থাকলে এলার্জি সংক্রমণ হতে পারে। আর তাতে চুলের গোড়া নরম হয়ে চুল ঝরে পড়ে।
শ্যাম্পু: বর্ষায় চুল সতেজ রাখতে ২/৩ দিন পর পর শ্যাম্পু করতে হবে। খুশকি থাকলে অ্যান্টি ড্যানড্রফ সুন্নতী উপাদানসমৃদ্ধ শ্যাম্পু দিতে পারেন। মোটকথা চুল সব সময় পরিষ্কার রাখলে চুল পড়া কমে যাবে। শ্যাম্পু করার আগে অন্তত আধা ঘণ্টা চুলে তেল দিয়ে রাখবেন। চুলের জন্য ময়েশ্চারাইজার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই শ্যাম্পুর পর ময়েশ্চারাইজার করতে পারেন। তাই ভালো মানের শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এছাড়া যার যার চুলের উপযুক্ত পেস্ট নিয়ম করে ব্যবহার করতে পারেন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত উম্মে সুরাইকা দাওসিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (৩)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (১০)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে না
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সর্বাবস্থায় আজল বা তাড়াহুড়া না করে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












