বিবিএসের জরিপের ভাষ্যমতে পরকীয়ার জেরে স্রোতের মত বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ, বাড়ছে অপরাধ। নেপথ্যে রয়েছে বিদেশী সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম বিমুখতা।
সরকারের উচিত পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার আলোকে সমাজ পরিচালনা করে পরকীয়াসহ সব অশ্লীলতা থেকে মুক্ত রেখে দেশের পরিবারসমূহকে রক্ষা করা।
, ০৩ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৬ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ৩০ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মন্তব্য কলাম
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। স্যাম্পল ভাইটাল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম (এসভিআরএস) ২০২২ শীর্ষক জরিপ গত ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ প্রকাশ করা হয়েছে।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, সামগ্রিকভাবে সাধারণ (১৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে) বিয়ের হার ২০০৬ সালের ১৯ দশমিক ৬ থেকে বেড়ে ২০২২ সালে ২৫ দশমিক ২ হয়েছে। ১৭ বছরের ব্যবধানে এ ক্ষেত্রে ২৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটেছে।
বিবিএসের জরিপে দেখা গেছে, একই সময় বিবাহবিচ্ছেদ বা তালাকও বেড়েছে। ২০০৬ থেকে ২০২২ সাল সময়ে স্থূল বিবাহবিচ্ছেদের হার শূন্য দশমিক ৬ থেকে বেড়ে ১ দশমিক ৪-এ দাঁড়িয়েছে।
তালাক বা বিবাহবিচ্ছেদের দুই ধরনের হার বিবিএসের জরিপে পাওয়া পায়। একটি হলো স্থূল বিচ্ছেদ অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার অনুপাতে বিবাহবিচ্ছেদের হার। অন্যটি হলো সাধারণ বিবাহবিচ্ছেদের হার, যাতে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের হিসাব করা হয়।
দেশে পরকীয়ায় জড়ানোর কারণে ২২ দশমিক ৬ শতাংশ সংসার ভেঙে যাচ্ছে। পরকীয়ার কারণে সবচেয়ে বেশি সংসার ভেঙেছে ঢাকা বিভাগে-২৮ দশমিক ৩ শতাংশ।
ভারতীয় টিভি চ্যানেল তথা অপসংস্কৃতির প্রভাবে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ছে দেশের বৃহৎ গোষ্ঠী। পরকীয়ার পরিণতি হিসেবে নিত্যনতুন বাড়ছে লাশের সারি। ভেঙ্গে যাচ্ছে সংসারজীবনসহ সামাজিক শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা। পরকীয়ায় মত্ত হয়ে আপন মা তার শিশুকে কুপিয়ে হত্যা করছে, আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছে, বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে পরকীয়ায় হত্যার পরিমাণ অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে।
মানুষ এখন শুধু ঘরের বাইরেই নয়, তার আপন মানুষটির কাছেও নিরাপদ নয়। সরকারের নীতি-নির্ধারক মহলের অবহেলায় সামাজিক অবক্ষয়ের শিকার ব্যক্তিদের প্রাণহানির ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। অথচ এ ধরণের ঘটনা প্রতিরোধে কোনো রকম উদ্যোগ এখনো নেয়া হচ্ছে না। সুষ্ঠু বিচারের অভাবে অপরাধীরা অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে। ফলে অন্যরাও এরকম অপরাধ করতে উৎসাহিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ বিভাগের তথ্যানুযায়ী, বছরে মোট হত্যাকা-ের প্রায় ৪০% হয় পারিবারিক কলহের কারণে। মানুষ ঘর বাঁধে এক বুক আশা নিয়ে। কিন্তু চলার পথে অসম মানসিকতার কারণে কখন যেন আহাল-আহলিয়া বা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে চিড় ধরতে শুরু করে এই পরকীয়ার কারণে। এ সমস্যা প্রভাব ফেলে চাকরিতে ও পেশায়। এমনকি নিরপরাধ শিশুরাও স্বামী-স্ত্রীর বিরোধের কারণ হত্যার শিকার হয়।
মূলত, অর্থের প্রতি প্রবল দুর্বলতা, দাম্পত্য কলহ ও স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরের প্রতি বিশ্বাসহীনতা, দ্বীনি মূল্যবোধের অবক্ষয়, সামাজিক-রাজনৈতিক-ব্যবসায়িক অস্থিরতা, নাস্তিক্যবাদী সংস্কৃতির আগ্রাসন, বিদেশি অপসংস্কৃতির অনুপ্রবেশ, স্বল্প সময়ে ধনী হওয়ার আকাঙ্খা, সম্মানিত ইসলামী অনুশাসনের আলোকে সামাজিক উন্নয়নে কোনো পদক্ষেপ না থাকা, শিক্ষা সিলেবাসে সম্মানিত ইসলামী জ্ঞান অন্তর্ভূক্ত না থাকা, বিষণœতা ও মাদকাসক্তিসহ বিভিন্ন কারণে এ ধরণের খুনের ঘটনা ঘটছে। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য মতে, দেশে প্রতিদিন গড়ে খুন হচ্ছে ১৪ থেকে ১৫ জন। আর এর অধিকাংশই পারিবারিক ও সামাজিক কারণে হচ্ছে।
মানুষের দ্বীনি মূল্যবোধের অবক্ষয়, সহনশীলতা কমে যাওয়া ও পারিবারিক বন্ধন দুর্বল হয়ে যাওয়ায় পারিবারিক নৃশংসতার প্রবণতা বাড়ছে। হতাশা, মানসিক বিষণœতা ও আর্থিক দৈন্যতা থেকে মানুষ মাদকের দিকেও ঝুঁকছে। নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে কিংবা প্রতিহিংসা মেটাতেও হত্যাকা- ঘটছে। হারাম, অনৈতিক ও আপত্তিকর কর্মকা-ে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। এজন্য আকাশপথে বিদেশী অপসংস্কৃতির আমদানি এবং প্রযুক্তির অপব্যবহার অনেকাংশে দায়ী। অন্যদিকে শিক্ষা সিলেবাসে ইসলামী জ্ঞান অন্তর্ভূক্ত না থাকায় মানুষ আত্মকেন্দ্রিক ও চরম স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছে। ব্যবসা ও চাকরির পাশাপাশি মোবাইলফোন, ফেসবুক ও টুইটার নিয়ে ব্যস্ত থাকায় পরিবারের কেউ কারোর সঙ্গে সময় দিতে পারছে না। ফলে পারিবারিক বন্ধন ঢিলে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, পরকীয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন নানা মনগড়া কর্মসূচি গ্রহণ করে সেগুলো মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু কোনো কার্যক্রমই কাজে আসবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত একটি পারিবারিক জীবন পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার আলোকে বাস্তবায়িত না হবে। পারিবারিক কলহ দূর করার জন্য প্রতিটি পরিবার হতে হবে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার চর্চাকেন্দ্র। পারিবারিক কলহ ও বিবাদ দূর করতে সর্বপ্রথম প্রতিটি পরিবারে পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও দ্বীনচর্চার দিকে নজর দিতে হবে। সমাজ ও পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে সম্মানিত ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক অনুসরণ ও অনুকরণ করতে হবে। কেননা পবিত্র দ্বীন ইসলামই একমাত্র এ বিষয়টির দিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দৃষ্টি দিয়েছে। পারিবারিক সম্পর্ক রক্ষা ও এর স্থিতিশীলতায় বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পারিবারিক বন্ধন যেন অটুট থাকে সে ব্যাপারে অসংখ্য দিক-নির্দেশনা প্রদান করেছে।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- তোমরা প্রত্যেকেই রক্ষক এবং প্রত্যেকেই তার রক্ষিত বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। প্রত্যেক ব্যক্তিই তার পরিবার-পরিজনের রক্ষক এবং সে তার রক্ষিত বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। এবং আহলিয়া বা স্ত্রী তার আহাল বা স্বামীর বাড়ীর রক্ষীতা এবং সে আহালের মাল-সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ ও অধিনস্তদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিতা হবে।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “তোমাদের মধ্যে ওই ব্যক্তি উত্তম যে তার পরিবারের কাছে উত্তম।”
আর পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “আর তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয়ই এটা অশ্লীল কাজ এবং খুবই মন্দ পথ।”
পর নারী কিংবা পর পুরুষের প্রতি কুদৃষ্টি দেওয়া, তাদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করা, কোমল ভাষায় কথা বলা, অবাধে মেলামেশা ইত্যাদি থেকে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে দ্বীন ইসলাম। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন: আমার সম্মানিত নবী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! মুমিনদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের ইজ্জত-আবরু হেফাজত করে। ইহাই তাদের জন্য উত্তম। ইমানদার নারীদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের ইজ্জত-আবরু হেফাজত করে। (পবিত্র সূরা নূর শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩০-৩১)।
মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি বলেন : যদি তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো, তবে পর পুরুষের সঙ্গে কোমল ও আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, ফলে যার অন্তরে ব্যাধি আছে সে কুবাসনা করবে। তোমরা ন্যায়-সঙ্গত কথা বলো। (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩২)।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, ‘হে লোক সকল তোমরা ব্যভিচারকে ভয় করো। কেননা তার ছয়টি অশুভ পরিণাম রয়েছে। তিনটি দুনিয়ায় আর তিনটি পরকালে। দুনিয়ার তিনটি পরিণাম হলো-শ্রীহীনতা, দরিদ্র ও আয়ুষ্কাল হ্রাস। পরকালের তিনটি পরিণাম হলো-মহান আল্লাহ পাক উনার ক্রোধ, মন্দ হিসাব, দোযখের শাস্তি’ (শুয়াবুল ইমান, বায়হাকী)। যে অপরকে পরকীয়ার জন্য ফুসলায় তার ব্যাপারে পবিত্র হাদীছ শরীফে কঠোর সতর্কবাণী এসেছে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, যে অন্যের আহলিয়াকে বা স্ত্রীকে অথবা গোলামকে ফুসলিয়ে তার বিরুদ্ধে উসকে দেবে সে আমার দলভুক্ত নয়। (সুনানে আবু দাউদ)।
আমাদের সমাজ থেকে পরকীয়া দূর করতে হলে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এ ক্ষেত্রে সম্মানিত দ্বীন ইসলামের দিকনির্দেশনাগুলো অনুসরণ করতে হবে।
মূলতঃ এসব সম্মানিত ইসলামী মূল্যবোধ আজ আমাদের পরিবারগুলোতে নেই।
বিপরীতে রয়েছে, কাফিরদের অপসংস্কৃতির ঘৃণ্য আগ্রাসন; এটা দূর করতে হবে। রোধ করতে হবে অপসংস্কৃতির বিস্তার। বিজাতীয় ভিনদেশী অপসংস্কৃতি, অশ্লীল সংস্কৃতির কুপ্রভাবেই মূলত বর্তমানে ভয়ঙ্করভাবে পারিবারিক কলহ ও সামাজিক অবক্ষয় বাড়ছে। খুন, গুম, আত্মহত্যা ও পরকীয়া দিন দিন রেড়েই চলেছে। দ্বীনচর্চা ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালন থেকে বিরত থাকতে পরকীয়া ইন্ধন যোগায়। আক্বীদা বিশ্বাসে সন্দেহ-সংশয় সৃষ্টি করে। বিশেষ করে পারিবারিক সম্পর্কের ভিত নাড়িয়ে দেয়। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে বিরোধ ও সমস্যা তৈরি করে। অতএব, সমাজ-দেশকে বাঁচাতে, বিশেষত পরিবারগুলোকে কলহমুক্ত রাখতে বিধর্মীদের অপসংস্কৃতি রোধ করতে হবে। জাতীয়ভাবে সরকারের জন্য আর প্রতিটি পরিবারের ক্ষেত্রে প্রত্যেকের জন্য এটা অপরিহার্য কর্তব্য। তাহলেই সন্তান ও পরিবার এর কুপ্রভাব থেকে বাঁচতে পারবে। ইনশাআল্লাহ!
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












