বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চলতো সার্টিফিকেট জালিয়াতি
, ২৫ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৬ হাদী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ০৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি:, ২৩ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) দেশের খবর
রাজধানীর পীরেরবাগ থেকে টাকার বিনিময়ে আসল সার্টিফিকেট তৈরি করার অভিযোগে গ্রেপ্তার কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামানের অপকর্ম সম্পর্কে জানতো বোর্ডের ঊর্ধ্বতনরাও।
বোর্ডের ঊর্ধ্বতন অনেক কর্মকর্তা তার কাছ থেকে আর্থিক ভাগ নিতো বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গতকাল ইয়াওমুল খামীস (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, সম্প্রতি পীরেরবাগে অভিযান চালিয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সার্টিফিকেট তৈরির কারখানার সন্ধান পায় ডিবি। এ সার্টিফিকেট কিন্তু জাল নয় বরং সরকার যে কাগজ ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের সনদ দেয়, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামান একই কাগজ ব্যবহার করে সার্টিফিকেট বানাতো। অর্থাৎ সে শিক্ষা বোর্ড থেকে কাগজ এনে বাসায় বসে সার্টিফিকেট বানাতো।
রেজাল্ট অনুযায়ী সে টাকা নিতো। তবে ৩৫ হাজারের কমে কাজ করতো না। সার্টিফিকেট বানানোর পর সেই রেজাল্টের তথ্য শিক্ষা বোর্ডের সার্ভারে আপলোড করে দিতো। এ সার্টিফিকেট দিয়ে অনেকে বিদেশে গেছে, অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে, আবার অনেকে চাকরি করছে। এভাবে সে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি সার্টিফিকেট দিয়েছে।
ডিবিপ্রধান বলেন, গ্রেপ্তারের পর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামানকে আমরা রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে সে অনেক চমকপ্রদ তথ্য দিচ্ছে।
শিক্ষা বোর্ড থেকে সনদ তৈরির কাগজ কীভাবে বের করা হতো এমন প্রশ্নের জবাবে শামসুজ্জামান গোয়েন্দা পুলিশকে জানিয়েছে, সবাইকে ম্যানেজ করে অর্থাৎ শিক্ষা বোর্ডের সবার সঙ্গে যোগসাজশ করে কাগজ বের করা হতো। এমনকি তার এ সার্টিফিকেট তৈরির কারখানার বিষয়ে অনেক সাংবাদিক জানতো। সবাই তার কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শামসুজ্জামানের অবৈধভাবে সার্টিফিকেটের বিষয়ে একাধিকবার তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বোর্ডের কর্মকর্তারা তদন্ত করতে গিয়ে দেখলেন অনেক কিছু বেরিয়ে আসছে। ফলে সেটাও ধামাচাপা পড়ে যায়। নিজে না বোঝার দোহাই দিয়ে অভিযোগ তদন্তের জন্য পাঠানো হয় কম্পিউটার কাউন্সিলে। পরে তারাও চুপ হয়ে যায়।
শামসুজ্জামান আমাদের বলেছেন, সার্টিফিকেট তৈরির বিষয়টি সবাই জানতো। টাকার বিনিময়ে সবাই তার কাছে ম্যানেজ হতো। আমরা সবকিছুই তদন্ত করছি।
শামসুজ্জামানের অপকর্মের ব্যাপারে কারা তদন্ত করতে গিয়ে চুপ হয়ে গেছেনতাদেরও আমরা খুঁজছি। রিমান্ডে পাওয়া তথ্য যাচাই করে যত রাঘব বোয়াল জড়িত সবার নাম প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
টানা এক মাস ধরে দাবদাহে রেকর্ড
০১ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
গরমে প্রতিদিন বাড়ছে লোডশেডিং, কোথায় কেমন
০১ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দেশজুড়ে বৃষ্টি কবে হতে পারে, জানাল আবহাওয়া অফিস
০১ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সর্বজনীন পেনশনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে কর্মসূচি
০১ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
টানা সাত দফা কমলো স্বর্ণের দাম
০১ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
হিট স্ট্রোকে ৯ দিনে ১১ জনের মৃত্যু
০১ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার সুপারিশ
০১ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ভাতের সঙ্গে প্রতিদিন কাঁচা মরিচ খাওয়া কি ভালো
০১ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১০ জনের যাবজ্জীবন
০১ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক বেশি অভিযুক্ত’
০১ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নমনীয় মুদ্রা বিনিময় হার চায় আইএমএফ
০১ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
তীব্র গরমে নাকাল শ্রমজীবী মানুষ
০১ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)