অমুসলিম মহিলাদের দ্বীন ইসলাম গ্রহণের ঈমানদীপ্ত ঘটনা:
ব্রিটিশ দখলদারিত্বের যুগে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন যে ব্রিটিশ নারী
, ১৩ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৫ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ২৪ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ১০ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহিলাদের পাতা
লেডি এভলিন কাবল্ড থেকে 'লেডি জয়নব':
মুসলিম দেশগুলো ভ্রমণ করতে গিয়ে ধনীদের অনেকেই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার প্রতি আকৃষ্ট হতেন। লেডি এভলিন মারে, এডিনবার্গের এক ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান, শৈশবের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন স্কটল্যান্ড ও উত্তর আফ্রিকা যাওয়া-আসা করে।
তিনি লিখেছেন, 'সেখানে আমি আরবি বলতে শিখি। আমি প্রায়ই আমার তত্ত্বাবধায়কের চোখ এড়িয়ে বাড়ীর বাইরে যেতাম। আমার আলজেরিয়ান বন্ধুদের সাথে মসজিদে ঘুরে বেড়াতাম। ধীরে ধীরে অবচেতন মনে আমি পুরোপুরি মুসলমান হয়ে উঠি।'
বাবা মায়ের মতই লেডি এভলিনও ঘুরে বেড়াতে ভীষণ ভালোবাসতেন। লেডি এভলিন ঠিক কবে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন তা জানা যায় না। তবে ছোটবেলার অভিজ্ঞতার রেশ তার মনে রয়ে গিয়েছিল।
একবার ছুটি কাটাতে এভলিন রোমে গেলেন। সেখানে তার সঙ্গে দেখা হয় পোপের। এক চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “হঠাৎ পোপ যখন আমাকে জিজ্ঞাসা করলো, আমি ক্যাথলিক কিনা, আমি থমকে গেলাম, একটু ভাবলাম, তারপর বললাম, আমি মুসলমান।”
“আমি জানি না তখন আমাকে ঠিক কী পেয়ে বসেছিল। অনেক বছর ধরে আমি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার কথা ভাবিওনি। হঠাৎ আমার মনের মধ্যে যেন একটি বাতি জ্বলে উঠল। আমি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে আরো জানতে ও পড়তে শুরু করলাম।”
লেডি এভলিনের আত্মজীবনীর ভূমিকায় ইতিহাসবিদ উইলিয়াম ফেইসি লিখেছে, “বেশিরভাগ ধর্মান্তরিত মুসলমান আকৃষ্ট হয়েছিলেন সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার আধ্যাত্মিক দিকের প্রতি।”
মধ্যপ্রাচ্যে লেডি এভলিন তার বন্ধুদের কাছে পরিচিত ছিলেন 'লেডি জয়নব' নামে। সেখানে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত জায়গাগুলোতে তার অবাধ যাতায়াত ছিল। তিনি মুসলিম সংস্কৃতিতে নারীদের আধিপত্যমূলক প্রভাব নিয়ে একটি লেখাও লিখেছিলেন।
পঁয়ষট্টি বছর বয়সে তিনি হজ্ব পালন করতে পবিত্র মক্কা শরীফ যান। তার এই হজ্বযাত্রা নিয়ে তিনি পরে একটি বই প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি লেখেন যে, ‘ঐ যাত্রা তাকে অফুরান আনন্দের পাশাপাশি দিয়েছে সৌন্দর্য আর বিস্ময়ের অগাধ উপকরণ।’
১৯৬৩ সালে, ৯৫ বছর বয়সে স্কটল্যান্ডের এক নার্সিং হোমে তিনি মারা যান।
তিনি লিখে গিয়েছিলেন, তার কবরে যেন পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ২৪ নম্বর সুরা, পবিত্র সূরা আন নূর শরীফ উনার ৩৫ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ খোদাই করা হয়।
হাইল্যান্ডে তার কবরে '‘পবিত্র সূরা আন্ নূর শরীফ’ উনার পবিত্র আয়াত শরীফ খোদাই করা হয়েছিল, তবে পরে এটি ইসলামবিদ্বেষীরা ছুরি দিয়ে খুঁচিয়ে নষ্ট করে দেয়।
তিনি তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন, “আমাকে লোকে প্রায়ই জিজ্ঞাসা করে যে, আমি কখন এবং কীভাবে মুসলিম হলাম।”
উত্তরে আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি যে, আমি আসলেই জানি না প্রথম কখন সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার আলো আমাকে ছুঁয়েছে।আমার মনে হয় আমি সবসময়ই মুসলিম ছিলাম।
-উম্মু রাহাত।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
প্রসঙ্গ অনুমতি নিয়ে ঘরে প্রবেশ করা এবং কারো ঘরে উঁকি দেয়া
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহিলাদের সুন্নতী লিবাস, অলংকার ও সাজ-সজ্জা (১৬)
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহিলাদের জন্য মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া জায়িয নয়
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহিলাদের জন্য মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া জায়িয নয়
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য (৭)
২৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সুওয়াল: যার জাররা পরিমাণ ঈমান আছে সেও একদিন জান্নাতে যাবে। ইহা পবিত্র হাদীছ শরীফ কি-না? যদি পবিত্র হাদীছ শরীফ হয় তাহলে জাররা পরিমাণ বলতে কি বুঝানো হয়েছে?
১৩ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সুওয়াল: মৃত ব্যক্তির লাশের কাছে কান্নাকাটি করা, দোয়া-কালাম পড়া, কথাবার্তা বলা হয়। এগুলো মৃত ব্যক্তি শুনতে পায় কি না? বুঝতে পারে কি না?
১৩ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দাইয়ূছ জান্নাতে প্রবেশ করবে না
১৩ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র আশুরা সম্পর্কিত সুওয়াল জাওয়াব
১২ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র আশুরা সম্পর্কিত সুওয়াল জাওয়াব
১১ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শৈশবকাল থেকেই সন্তানকে ব্যক্তিত্ব বা আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন হওয়ার শিক্ষা দান করতে হবে (৪)
১০ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
হাসপাতালে নারীর নিরাপত্তা এবং শরয়ী পর্দাভিত্তিক আল মুতমাইন্নাহ মা ও শিশু হাসপাতালের প্রয়োজনীয়তা
০৯ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)