মসজিদে সিসি ক্যামেরা!! উলামায়ে সূ’দের বদ আমলই কি এর জন্য দায়ী নয়?
, ১৪ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০১ সাদিস ১৩৯১ শামসী সন , ২০ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ১৪ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) আপনাদের মতামত
হ্যাঁ পাঠক! সবার স্বাভাবিক চলাচলের মাঝেও আমার থমকে যাওয়ার কারণ ছিলো- মসজিদের প্রবেশমুখেই বসানো সিসি ক্যামেরা। কিছুুদিন আগে সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানতে পেরেছিলাম- প্রশাসন কথিত সন্ত্রাসবাদ ঠেকানোর অজুহাতে মসজিদে মসজিদে সিসি ক্যামেরা লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু তখন ব্যাপারটিকে এত গুরুত্ব দিয়ে ভাবিনি। মনে করেছিলাম- গণতান্ত্রিক প্রশাসনতো এরকম উদ্ভট ও অযৌক্তিক কত কিছুই তো করার উদ্যোগ নিয়েছে, কিন্তু সবকিছুতো আর বাস্তবে করতে পারেনি। কারণ দেশের মানুষের বাধা, আপত্তি ও প্রতিবাদ ইত্যাদি।
কিন্তু ‘মসজিদে সিসি ক্যামেরা’ বসানোর মতো এমন একটি চরম ইসলামবিরোধী ও ইসলাম অবমাননাকর বিষয় বাস্তবে দেখবো সেটা কল্পনাও করিনি। পবিত্র হাদীছ শরীফে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ছাহিব নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাজার হাজার বার ছবি তোলা, আঁকা, রাখা, দেখা ইত্যাদিকে অত্যন্ত কঠোর ও শক্তভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। এমনকি যেখানে ছবি থাকবে সেখানে মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত মুবারকও বর্ষিত হবে না -এটাও ঘোষণা দিয়েছেন। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার এত শক্ত ও কঠোর নিষেধাজ্ঞার পরও কিভাবে মসজিদে সিসি ক্যামেরা বসানো হলো- এটা অত্যন্ত কঠিন চিন্তা ও ফিকিরের বিষয়।
পরক্ষণেই ভাবলাম- মসজিদ সংশ্লিষ্ট যে সকল খতীব-ইমাম-মুয়াজ্জিন রয়েছে তারা কি করে এখনো এই মসজিদে নামায পড়ানো জারি রেখেছে? ‘কোনো নামাযী ব্যক্তির আশেপাশে ছবি থাকলে নামায হয় না’ এই মাসয়ালাটি কি তাদের জানা নেই? যেখানে সিসি ক্যামেরা দিয়ে হাজার হাজার ছবি অনবরত তোলা হচ্ছে- সেখানে কি করে তারা নামাযের ইমামতি করে যাচ্ছে?
তাহলে তো এটাই স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে- মসজিদ সংশ্লিষ্ট ওই সকল খতীব-ইমাম-মুয়জ্জিনরাই প্রকাশ্য এই হারাম কাজের সাথে জড়িত। কারণ আমাদের এই দেশসহ বিশ্বজুড়েই উলামায়ে সূ’ ধর্মব্যবসায়ীরা অনবরত অহরহ ছবি তুলে যাচ্ছে। তারা সরাসরি নিজেরাই এই হারাম কাজের সাথে জড়িত থাকার কারণেই প্রশাসনকে মসজিদে সিসি ক্যামেরা বসানোতে বাধা দিতে পারেনি। নাউযুবিল্লাহ!
অথচ আজ যদি সকল ইমাম খতীবরা একত্রে সিসি ক্যামেরা বসানোর প্রতিবাদ করে, প্রতিবাদে সিসি ক্যামেরা বসানো মসজিদে নামায পড়া বন্ধ করে দেয়- তাহলে কেউই মসজিদে সিসি ক্যামের বসানোর সাহস পাবে না।
-রিয়াসাত পারভেজ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
খ্রিস্টানদের অনুষ্ঠানকে ‘বড়দিন’ বলা যাবে না
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্বাধীন আরাকান চাই!
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশের সার্বভৌমত্বের সংকটে- দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে এগিয়ে আসতেই হবে
১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পৃথিবীর সবচাইতে কুখ্যাত কিছু নৌদস্যুর অপকীর্তি
২৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ফসলের একটি অংশ যায় রাজাকার ত্রিদিবের সন্তান দেবাশীষের ঘরে! -এদেশে উপজাতি চৌকিদারকে কেন ‘রাজা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে?
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
উলামায়ে ছু’দের বদ আমলই কি এর জন্য দায়ী নয়?
২২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাংলাদেশে জিএম ফুড প্রচলনের সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে
১৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
জান্নাতী এবং জাহান্নামী ব্যক্তিদের কিছু আলামত
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ঔ পনিবেশিক-ব্রাক্ষণ্যবাদী আগ্রাসন ও ষড়যন্ত্র পরিভাষা, শব্দ ও বানান আগ্রাসন (১)
১৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সমস্ত প্রকার অশ্লীলতাই হারাম
১২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইলিশ ধরায় বাংলাদেশ-ভারতের নিষেধাজ্ঞার সময়ে বড় পার্থক্য নিষেধাজ্ঞার নামে ভিনদেশী জেলেদের জামাই আদরে সাগর থেকে ইলিশ নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয় আর দেশীয় জেলেদের জেলে পুরা হয় জেলেদের প্রতি এ নির্মম জুলুম আর কতকাল?
১১ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আধুনিকতা নাম দিয়ে হারাম ‘ছবি’ তোলা থেকে বিরত থাকুন
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












