সাফফাহ (سَفَّاحٌ) শব্দ মুবারক উনার তাহক্বীক্ব বা শাব্দিক বিশ্লেষণ: সাফফাহ (سَفَّاحٌ) শব্দ মুবারকখানা ইসমে ফায়িল মুবালাগাহ। ইহা سفح মাদ্দাহ হতে নির্গত। মহান আল্লাহ পাক উনার (غَفَّارٌ) গফফার, (سَتَّارٌ) সাত্তার, (جَبَّارٌ) জাব্বার ইত্যাদি ছিফতী নাম মুবারক উনাদের ন্যায় এই (سَفَّاحٌ) সাফফাহ শব্দ মুবারকখানাও আধিক্যের অর্থ প্রদান করবে। অর্থাৎ (غَفَّارٌ) গফফার অর্থ যেমন সর্বশ্রেষ্ঠ ক্ষমাশীল। যাঁর উপর আর কোনো ক্ষমাশীল নেই। তেমনিভাবে (سَفَّاحٌ) সাফফাহ অর্থ হচ্ছেন- সর্বশ্রেষ্ঠ মুুক্তিদানকারী। যাঁর উপর আর কোনো মুক্তিদানকারী নেই। অর্থাৎ তিনি হচ্ছেন মহান আল্লা বাকি অংশ পড়ুন...
যে যত বেশী মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের নিসবত মুবারক হাছিল করবে সে তত বেশী কামিয়াবী হাছিল করবে। আর সেই নিসবত-তা‘য়াল্লুক্ব হাছিল করার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছেন- কামিল শায়েখ। এ বিষয়টি ভালোভাবে উপলব্ধি করার লক্ষ্যে প্রাসঙ্গিক একখানা ওয়াক্বেয়াহ মুবারক উনার অবতারণা- হযরত আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে চিনেন না, এমন কোন আলিম পৃথিবীর বুকে নেই। উনারই জীবনী মুবারক-এ ঘটে যায় বাকি অংশ পড়ুন...
শেষ যামানায় কিছু নামধারী মুসলমান মুর্তি পূজারীদের সাথে মিশে যাবে:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ ثَوْبَانَ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تَلْحَقَ قَبَائِلُ مِنْ أُمَّتِي بِالْمُشْرِكِينَ وَحَتَّى يَعْبُدُوا الأَوْثَانَ
অর্থ: হযরত ছাওবান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মুশরিকদের সাথে আমার উম্মতের কতিপয় গোত্র না মিলিত হওয়া পর্যন্ত ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের যুগ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত চলে আসা প্রতিষ্ঠিত এবং সর্বজনস্বীকৃত একটি ইবাদত হচ্ছে, পবিত্র ছলাতুল জুমুয়াহ উনার পূর্বের ৪ রাকায়াত নামায বা ‘ক্বাবলাল জুমুয়াহ’; যা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। এটা মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারাই সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত।
কিন্তু বাতিলপন্থিরা এই পবিত্র নামায নিয়ে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ, মিথ্যা, বানোয়াট, বিভ্রান্ত্রিকর ও গোমরাহীমূলক বক্তব্য দেয়। তারা প্রচার করছে- ‘জুমুয়ার আগে বিধিবদ্ধ কোন সুন্নত নামায নেই, এর কোনো দলীল নেই। এমনকি তাদের মধ্যে বাকি অংশ পড়ুন...
একবার বৃষ্টিসিক্ত দিনে ইমামুশ শরীয়ত, ওয়াত তরীক্বত, হযরত হাসান বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি রাস্তা দিয়ে কোথাও যাচ্ছিলেন। বিপরীত দিক থেকে একজন বালক আসছিলো। ছেলেটি কিছুটা এলোমেলোভাবে হাঁটছিলো। যেহেতু রাস্তা পিচ্ছিল ছিলো তাই হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছেলেটিকে সাবধানে হাঁটতে বললেন। পড়ে গেলে তার ক্ষতি হবে, সেটা স্মরণ করিয়ে দিলেন। প্রত্যুত্তরে ছেলেটি বললো, আমি যদি পড়ে যাই, তাহলে শুধু আমারই ক্ষতি হবে অর্থাৎ আমার মাথা ফেটে যাবে। কিন্তু আপনি পড়ে গেলে গোটা মুসলিম জাহানের মাথা ফেটে যাবে। কারণ আপনি সমগ্র মুসলিম জাহা বাকি অংশ পড়ুন...
সর্বজনমান্য ও নির্ভরযোগ্য বহু ইমাম-মুজতাহিদ এবং আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের কর্তৃক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তারীখ মুবারক উনাকে ‘ঈদ, ঈদে আকবর ও ঈদে আ’যম’ হিসেবে গ্রহণ করার দলীল:
(১৬) আল ইমামুল কাবীর, শাইখুল ইসলাম আল্লামা হযরত ইমাম শিহাবুদ্দীন আহমদ ইবনে হাজার হাইতামী শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি (পবিত্র বিছাল শরীফ ৯৭৪ হিজরী শরীফ) তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ উনার সম্মানিত অধিব বাকি অংশ পড়ুন...
১। পশুর মতো হবে।
২। বরং তার চেয়ে অধম হবে।
৩। শরয়ী হুকুম-আহকাম থেকে গাফিল হবে।
বাকি অংশ পড়ুন...
অন্তর থাকা সত্বেও বুঝবে না।
চোখ থাকা সত্বেও দেখবে না।
কান থাকা সত্বেও শুনবে না।
বাকি অংশ পড়ুন...
কিছু নামধারী মাওলানা যারা মূলত মানুষের ঈমান নষ্টের কাজে ব্যস্ত রয়েছে। বিশেষ করে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক খাটো করাই তাদের মূল কাজ। এরা প্রচার করছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যিকির মুবারক করা যাবে না। করলে সেটা শিরিক হয়ে যাবে। নাঊযুবিল্লাহ!
আসলেই কি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যিকির মুবারক করলে শিরিক হবে? সম্মানিত ইসলামী শরীয়তে এ বিষয়ে কি বলা হয়েছে? সেটাই আমরা দেখবো নিম্নোক্ত বাকি অংশ পড়ুন...
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
সমাজ জীবনে সাধারণ মুসলমান তো বটেই, কার্যক্ষেত্রে আলিম দাবিদারদের মাঝেও পবিত্র কুরআন শরীফ নিয়ে ফিকিরের প্রবণতা তথা এর হাক্বীক্বত উপলব্ধির চেতনা খুবই কম পরিলক্ষিত হয়। এই উদাসীনতার দিকে নির্দেশ করে মহান আল্লাহ্ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তারা কি পবিত্র কুরআন শরীফ সম্পর্কে ফিকি বাকি অংশ পড়ুন...












