যাদের অ্যালার্জিজনিত সমস্যা থাকে তাদের জন্য কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস ক্ষতিকর। কারণ তাদের ধুলো-বালি, ময়লায় খুব বেশি সমস্যা হয়। এসবের কারণেই দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। তাই কম্বল বা চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে তা বাদ দেওয়া ভাল।

আর হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা যদি কারো জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন, তাহলে সে মা’ছূম অর্থাৎ নিষ্পাপ হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ!

শুধু তাই নয়; মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক এতো সীমাহীন বেমেছাল বুলন্দ থেকে বুলন্দতর করেছেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক শুরু করার আগেই মহান আল্লাহ পাক তিনি উক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফতকারী ব্যক্তিকে মা’ছূম করে দেন। সুবহানাল্লাহ!

এ প্রসঙ্গে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৩শে সফর শরীফ লাইলাতুল আহাদ শরীফ (রোববার রাতে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি গতকাল জুমু‘আহ্-এর ওয়ায শরীফ-এ যখন এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ দু’খানা আলোচনা করছিলাম, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে বললেন, কোনো গুনাহ্গার আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করুক, এটা মহান আল্লাহ পাক তিনি পছন্দ করেন না। যার কারণে মহান আল্লাহ পাক তিনি আলোচনাকারীকে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আলোচনা মুবারক শুরু করার আগেই মা’ছূম করে দেন।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো বললেন, আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আলোচনা মুবারক যে করে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আলোচনা মুবারক শুরু করার আগেই তার গুনাহ্-খতাগুলো মাফ করা হয়, তারপর তার দ্বারা আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আলোচনা মুবারক করানো হয়।’ কোনো গুনাহ্গার আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আলোচনা মুবারক করতে পারবে না। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আলোচনা মুবারক করার আগে তার গুনাহ্গুলি মাফ করে দেই। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সে মা’ছূম অবস্থায় আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আলোচনা মুবারক করে। পরে সে গুনাহ্ করলে তারটা তার উপর। সে যখন আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আলোচনা মুবারক করে, তখন সে মা’ছূম অবস্থায় আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আলোচনা মুবারক করে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! গুনাহ্গার, নাপাক লোক আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আলোচনা মুবারক করতে পারে না। আমি এবং আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা গুনাহ্ থেকে মা’ছূম। আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আলোচনা মুবারক যখন কেউ করে, তখন সে মা’ছূম হয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আলোচনা মুবারক করে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!”

-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ ইবনে ছিদ্দীক্ব।