মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সংশ্লিষ্ট মহাসম্মানিত দিন এবং রাত মুবারক-এ স্বয়ং রহমত মুবারক উনার মালিক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাছিল করা যায়
, ১১ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৫ ছামিন, ১৩৯২ শামসী সন , ১২ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি:, ২৭ পৌষ , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহিলাদের পাতা
যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
سَلَامٌ عَلَيْهِ يَوْمَ وُلِدَ وَيَوْمَ يَـمُوتُ وَيَوْمَ يُبْعَثُ حَيًّا
অর্থ: হযরত ইয়াহইয়া আলাইহিস সালাম উনার প্রতি সম্মানিত সালাম অর্থাৎ সম্মানিত রহমত, বরকত, সাকীনা, সন্তুষ্টি-রেযামন্দি মুবারক। যেদিন তিনি বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন, যেদিন তিনি বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন এবং যেদিন তিনি পুনরুত্থিত হবেন। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা মারইয়াম: আয়াত শরীফ ১৫)
হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত শান মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
اَلسَّلَامُ عَلَىَّ يَوْمَ وُلِدْتُّ وَيَوْمَ اَمُوْتُ وَيَوْمَ اُبْعَثُ حَيًّا
অর্থ: আমার (হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার) প্রতি সম্মানিত সালাম অর্থাৎ সম্মানিত রহমত, বরকত, সাকীনা, সন্তুষ্টি-রেযামন্দি মুবারক। যেদিন আমি বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছি, যেদিন আমি বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করবো এবং যেদিন আমি পুনরুত্থিত হবো। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা মারইয়াম: আয়াত শরীফ ৩৩)
সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফদ্বয় উনাদের ব্যাখ্যায় আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আলোচ্য আয়াত শরীফদ্বয় উনাদের মধ্যে বর্ণিত ‘সালাম’ লফয মুবারক উনার অর্থ মুবারক হচ্ছেন- সর্বপ্রকার সম্মানিত নিয়ামত, রহমত, বরকত, সাকীনাহ, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আলোচ্য সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফদ্বয় উনাদের মাধ্যমে সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সবাইকে বিষয়টি জানিয়ে দিলেন যে, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের এবং হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের সংশ্লিষ্ট সম্মানিত দিন এবং রাত মুবারক-এ সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের উপর আখাছ্ছুল খাছ সর্বপ্রকার সম্মানিত নিয়ামত, রহমত, বরকত, সাকীনাহ, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক বর্ষিত হয়ে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! বান্দা-বান্দী, উম্মতের মধ্যে যাঁরা এ সকল মহাসম্মানিত দিন এবং রাত মুবারক উনাদের তা’যীম-তাকরীম মুবারক করবেন, উনারাই এ সকল আখাচ্ছুল খাছ সম্মানিত সর্বপ্রকার নিয়ামত, রহমত, বরকত, সাকীনাহ, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক লাভে ধন্য হবেন। সুবহানাল্লাহ!
এখন বলার বিষয় হচ্ছে সাইয়্যিদুনা হযরত রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইয়াহ্ইয়া আলাইহিস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের তারীখ, বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের তারীখে অর্থাৎ উনাদের সংশ্লিষ্ট সম্মানিত দিন এবং রাত মুবারক-এ আখাচ্ছুল খাছ সর্বপ্রকার সম্মানিত নিয়ামত, রহমত, বরকত, সাকীনাহ, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক বর্ষিত হয়। যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের দিন এবং রাত, বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের দিন এবং রাত মুবারক এবং উনাদের সংশ্লিষ্ট মহাসম্মানিত দিন এবং রাত মুবারকসমূহে কতো বেমেছাল আখাচ্ছুল খাছ সর্বপ্রকার সম্মানিত নিয়ামত, রহমত, বরকত, সাকীনাহ, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক বর্ষিত হয়ে থাকেন সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ! কেননা উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ اِمَامِ الْاَوَّلِ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ اِنَّ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُوْلُ نَـحْنُ اَهْلُ بَيْتٍ طَهَّرَهُمُ اللهُ مِنْ شَجَرَةِ النُّبُوَّةِ وَمَوْضِعِ الرِّسَالَـةِ وَمُـخْتَلِفِ الْمَلَائِكَةِ وَبَيْتِ الرَّحْمَةِ وَمَعْدِنِ الْعِلْمِ
অর্থ: ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সবসময় ইরশাদ মুবারক করতেন, আমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের (আমাদেরকে) সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক উনার বৃক্ষ, সম্মানিত রিসালাত মুবারক উনার স্থান, বিভিন্ন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের, উনাদের দ্বারা সম্মানিত খিদমত মুবারক, সম্মানিত রহমত মুবারক উনার ঘর মুবারক এবং সম্মানিত ইলম মুবারক উনার খনি মুবারক (ইত্যাদি সমস্ত কিছু) থেকে পবিত্র রেখেছেন, ছমাদ তথা বেনিয়ায (অমুখাপেক্ষী) করেছেন। ” সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে দুররে মানছূর ৬/৬০৬, তাফসীরে ইবনে আবী হাতিম ৯/৩১৩৩)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَـحْنُ اَهْلُ بَيْتٍ لَّا يُقَاسُ بِنَا اَحَدٌ
অর্থ: হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। আমাদের সাথে অন্য কারো ক্বিয়াস বা তুলনা করা যাবে না। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! (দায়লামী ৪/২৮৩, জামি‘উল আহাদীছ ২২/২১৯, কানযুল উম্মাল ১২/১০৪, জাম‘উল জাওয়ামি’ ১/২৪৯৫০, যাখায়েরুল ‘উক্ববাহ ফী মানাক্বিবে যাওইল কুরবা লিমুহিব্বে ত্ববারী ১/১৭, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১১/৭ ইত্যাদি)
মূলত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সংশ্লিষ্ট মহাসম্মানিত দিন এবং রাত মুবারক উনাদেরকে যদি কেউ তা’যীম-তাকরীম মুবারক করেন, তাহলে তিনি স্বয়ং যিনি সর্বপ্রকার সম্মানিত নিয়ামত, রহমত, বরকত, সাকীনাহ, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক উনাদের মালিক সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাছিল করবেন, যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে হাছিল করবেন এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের আখাছ্ছুল খাছ তা‘য়াল্লুক-নিসবত, কুরবত, নিয়ামত মুবারক হাছিল করবেন। সুবহানাল্লাহ! যা বান্দা-বান্দী, উম্মত সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্য সবচেয়ে বড় চাওয়া-পাওয়া। সুবহানাল্লাহ!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












