মহিলাদের জন্য ইলম অর্জন ফরজ, তবে পর্দার সহিত, বেপর্দা হয়ে নয়
, ১৪ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২০ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ১৮ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ০২ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মহিলাদের পাতা
কিছু মুর্খ, বকলম, কম আক্বল ধর্মব্যবসায়ীরা বলে থাকে- মেয়েদের এত ইলম অর্জন করার প্রয়োজন নেই। ” (নাউযুবিল্লাহ)
অপরদিকে আরো কিছু গ- মূর্খ, ধর্মদ্রোহী, বিভ্রান্তকারীর বলছে- “নারী-পুরুষ ভেদাভেদ নেই উভয়ের জন্য সমধিকার। ”
যার ফলে আমরা আজ দেখতে পাই পুরুষ-মহিলা এখন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্কুল-কলেজ এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে একত্রিত হচ্ছে। মূলত উপরোক্ত উভয়টিই বিভ্রান্তিকর ও কুফরীমূলক। কেননা, আমরা পূর্ববর্তী যামানার দিকে লক্ষ্য করলে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহিলা ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা আনহুন্না উনাদের জীবনী মুবারকে দেখতে পাই উনারা প্রত্যেকে ছিলেন বাহরুল আলীমা, ফক্বীহা তো বটেই এবং আলীমা, ফক্বীহা পয়দাকারী ছিলেন। আর মূলত মেয়েদেরকে এজন্যই বেশি ইলম অর্জন করতে হবে কেননা সাধারণতঃ মেয়েরা ঘরে অবস্থান করে আর একটি সন্তান দিনের বেশিরভাগ সময়ই তার মায়ের সাথে অতিবাহিত করে এবং কমপক্ষে একটি সন্তান ৮-১০ বছর বয়স পর্যন্ত মায়ের নিকটে অবস্থান করে। এখন যদি মহিলারা আলীমা, ফক্বীহা, দ্বীনদার, পরহেযগার হন সহজেই তার সন্তান, আত্মীয়-স্বজনদেরকে শরীয়ত মুতাবিক গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন এবং দ্বীনি ইলম দান করতে পারবেন, আর তখনই সম্মানিত সুন্নত মুতাবিক আদর্শ সমাজ গড়ে উঠবে।
আর ইলম অর্জনের নামে বেপর্দা হয়ে পুরুষ-মহিলা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অশ্লীল পরিবেশে ইলম অর্জন করাও হারাম-নাজায়িয। বরং মহিলারা ইলম অর্জন করবে পর্দায় থেকে। পর্দায় থেকে তারা আলীমা, ফক্বীহা, আল্লাহওয়ালীরূপে গড়ে উঠবেন।
মূলত এখন সারা পৃথিবীতে যদি আমরা অন্বেষণ করি তবে এরূপ কোনো স্থান বা কোনো মাদরাসা পাওয়া কষ্টকর হবে যেখানে সম্পূর্ণ পর্দার সাথে হাক্বীক্বীভাবে ইলম অর্জন করা সম্ভব। আর আজ দ্বীন ইসলাম উনার কুহেলীময় দিনে একমাত্র সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনিই মু’মিনা হওয়ার জন্য কুফরীর অন্ধকার থেকে আলোর দিশা ইলমের দিশা দেখাচ্ছেন। আর উনিই আজ মু’মিনাদের জন্য দয়া ইহসান করে সুমহান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মাদরাসা “মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা” তৈরী করেছেন যা পৃথিবীর ইতিহাসে অদ্বিতীয় এবং এখানে সম্পূর্ণ পর্দার সাথে ইলমে ফিক্বাহ ও ইলমে তাছাওউফ তো অবশ্যই তার সাথে সাথে আলীমা, ফক্বীহারূপে গড়ে ওঠার আনুসাঙ্গিক যত ইলমের প্রয়োজন তাও উনি শিক্ষা দিচ্ছেন।
আর এছাড়াও তিনি দয়া ইহসান মুবারক করে বিশেষভাবে প্রতি রবীউল আউওয়াল শরীফ এবং রমাদ্বান শরীফ পুরা মাসব্যাপী তা’লীম দান করেন এবং প্রতি সপ্তাহে ইয়াওমুল জুমুয়াহ (জুমুয়াবার) ও ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার) এবং প্রতিদিন ‘ফালইয়াফরহূ’ মজলিস উনার মাধ্যমে আমাদেরকে ইলম দান করে আলীমা, ফক্বীহা হওয়ার তাওফীক দান করছেন। অর্থাৎ এখন প্রতিটি নারীর জন্য সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার ছোহবত মুবারকে এসে ঈমান, আমল পরিশুদ্ধ করা আবশ্যক। মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন আমাদের প্রত্যেককে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার ছোহবত মুবারক লাভে ধন্য হওয়ার এবং উনার শাহী বুস্তানুল ইলম (ইলমের বাগান) উনার হাক্বীক্বী শাজারাতুল ইলম (ইলমের গাছ) তথা আলীমা, ফক্বীহা অর্থাৎ আম্মাজী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনি যেভাবে চান সেভাবে গড়ে উঠার তাওফীক্ব দান করেন। (আমীন)
-আহমদ মাহবূবা সুলতানা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












