মহিলাদের জন্য মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া জায়িয নয়
, ২৪ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৩ ছালিছ, ১৩৯১ শামসী সন , ১২ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ২৮ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহিলাদের পাতা
ফিকাহ ও ফতওয়ার কিতাবে বর্ণিত হয়েছে, “প্রাপ্তা বয়স্কা মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদে যাওয়া মাকরূহ্ তাহরীমী বা নিষিদ্ধ এবং মুতায়াখখিরীনদের মত হলো বৃদ্ধাদেরও যে কোন সময় যে কোন নামাযে উপস্থিত হওয়া নিষেধ বা হারাম।” )আইনুল হিদায়া ১ম খ- ৪৫৮ পৃষ্ঠা, কাফী, তাব্য়ীন, ফতওয়ায়ে হিন্দিয়া ১ম খ- ১৩২ পৃষ্ঠা(
ফিকাহ ও ফতওয়ার কিতাবে আরো বর্ণিত হয়েছে-
ولايحضرن الجماعة لقوله تعالى وقرن فى بيوتكن وقال النبى صلى الله عليه وسلم صلاتها فى قعر بيتها افضل من صلاتها فى صحن دارها وصلاتها فى صحن دارها افضل من صلاتها فى مسجدها وبيوتهن خيرلهن لايؤمن الفتنة من خروجهن اطلقه فشمل الشابة والعجوز وصلاة النهارية والليلية والفتوى اليوم على الكراهة فى الصلاوات كلها.
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, মহিলাগণ তোমরা ঘরের মধ্যে আবদ্ধ থাক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “মহিলাদের মসজিদে নামায পড়ার চেয়ে ঘরের বারান্দায় নামায পড়া উত্তম এবং ঘরের বারান্দায় নামায পড়ার চেয়ে ঘরের গোপন প্রকোষ্ঠে নামায পড়া সর্বোত্তম। তাই মহিলাগণ জামায়াতে উপস্থিত হবে না, প্রাপ্তা বয়স্কা হোক অথবা বৃদ্ধা, রাত্রে হোক অথবা দিনে। কারণ সাধারণতঃ তাদের বের হওয়া ফিৎনা থেকে নিরাপদ নয়। তাই পরবর্তী ফক্বিহ্দের ফতওয়া হলো- প্রাপ্তা বয়স্কা হোক অথবা বৃদ্ধা সকল নামাযে জামায়াতের জন্য উপস্থিত হওয়াই মাকরূহ্ তাহরীমী বা নিষিদ্ধ। (বাহ্রুর রায়িক শরহে কানযুদ দাক্বায়িক্ব ১ম খ- ৩৫৮ পৃষ্ঠা, মাদানুল হাকায়িক ১ম খ- ১৪৩ পৃষ্ঠা, আহসানুল মাসায়িল ৩৮ পৃষ্ঠা, মিনহাতুল খালিক, আল মাজ্মাউল আন্হুর)
ফিকাহ ও ফতওয়ার কিতাবে আরো বর্ণিত হয়েছে, “প্রাপ্তা বয়স্কা মহিলাদের জামায়াতে উপস্থিত হওয়া, মাকরূহ্ তাহরীমী হওয়ার ব্যাপারে ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি ও ছাহিবাইন রহমতুল্লাহি আলাইহিম একমত। মতবিরোধ শুধুমাত্র বৃদ্ধাদের বেলায়, ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, বৃদ্ধা মহিলাগণ যোহর, আছর ও জুমুয়ায় উপস্থিত হতে পারবে না, ছাহিবাইন বলেন, সকল নামাযেই উপস্থিত হতে পারবে। কিন্তু মুতাআখ্খিরীন ফকীহ্গণ এর বিপরীত মত প্রকাশ করেন অর্থাৎ প্রাপ্তা বয়স্কা হোক অথবা বৃদ্ধা যে কোন নামাযের জামায়াতে উপস্থিত হওয়াই নিষেধ বা হারাম। নাহরুল ফায়িক কিতাবে উল্লেখ আছে, মুতাআখ্খিরীনদের উক্ত মত ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকেই নেওয়া হয়েছে। (শরহে বিকায়া ১ম খ- ১০৮ পৃষ্ঠা, শরহে সিকায়া ১ম খ- ১৮৭ পৃষ্ঠা, নাহরুল ফায়িক)
-আল্লামা সাইয়্যিদ আবূ খুবাইব
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত উম্মে সুরাইকা দাওসিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (৩)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (১০)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে না
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সর্বাবস্থায় আজল বা তাড়াহুড়া না করে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












