মহিলাদের জন্য সুন্নতী লিবাস, অলংকার ও সাজ-সজ্জা (৩)
, ২৭ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১১ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২৫ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মহিলাদের পাতা
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছেÑ
عَنْ حَضْرَت دِحْيَةَ بْنِ خَلِيفَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ أُتِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَبَاطِيَّ فَأَعْطَانِي مِنْهَا قُبْطِيَّةً فَقَالَ اصْدَعْهَا صَدْعَيْنِ فَاقْطَعْ أَحَدَهُمَا قَمِيصًا وَأَعْطِ الْآخَرَ امْرَأَتَكَ تَخْتَمِرُ بِهِ فَلَمَّا أَدْبَرَ قَالَ وَأْمُرِ امْرَأَتَكَ أَنْ تَجْعَلَ تَحْتَهُ ثَوْبًا لَا يَصِفُهَا-
অর্থ: হযরত দিহইয়া ইবনে খলীফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়া’লা আনহুমা উনার থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারকে মিশরের তৈরী অনেকগুলি কাপড় নিয়ে আসা হলো। তিনি আমাকে একটি কাপড় হাদিয়া মুবারক করে বলেন যে, উক্ত কাপড়কে দু’টুকড়া করে এক টুকড়া দ্বারা আপনার আহলিয়ার জন্য ক্বমীছ তৈরী করুন, আর অন্য টুকড়ার দ্বারা উড়না তৈরী করুন। যখন তিনি বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলেন, তখন তিনি পূণরায় নির্দেশ দিলেন যে, আপনার আহলিয়াকে বলবেন তিনি যেন উক্ত ক্বমীছের নীচে অতিরিক্ত পোশাক (সেমিজ) পরিধান করে নেন, যাতে শরীরের গঠন অনুভব করা না যায়। (আবূ দাউদ শরীফ, কানযুল উম্মাল শরীফ, আল-হাকিম-৪/১৮৭, বাইহাক্বী শরীফ-২/২৩৪, তুহফাতুল আবরার শারহু মাছাবীহিস সুন্নাহ-৩/১৪৮, মায়া’লিমুস-সুনান-৪/২০০, মিরকাতুল মাফাতীহি শারহু মিশকাতিল মাছাবীহ-৭/২৭৯০)
মহিলাদের জন্য লাল, হলুদ, সবুজ, রেশমীসহ যে কোন রংয়ের সৌন্দর্য ম-িত ক্বমীছ বা জামা পরিধান করা সুন্নত:
عَنْ حَضْرَتْ عَبْد اللَّهِ بْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ يَنْهَى النِّسَاءَ فِي إِحْرَامِهِنَّ عَنِ الْقُفَّازَيْنِ وَالنِّقَابِ وَمَا مَسَّ الْوَرْسُ وَالزَّعْفَرَانُ مِنَ الثِّيَابِ وَلْتَلْبَسْ بَعْدَ ذَاكَ مَا أَحَبَّتْ مِنْ أَلْوَانِ الثِّيَابِ مِنْ مُعَصْفَرٍ أَوْ خَزٍّ أَوْ حُلِيٍّ أَوْ سَرَاوِيلَ أَوْ خُفٍّ أَوْ قَمِيصٍ-
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়া’লা আনহু হতে বর্ণিত: তিনি বলেন, নিশ্চয় তিনি মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনাকে তিনি বলতে শুনেছেন যে, মহিলাগণকে তিনি ইহরাম অবস্থায় হাত-মোজা, পা-মোজা, মুখমন্ডলে নিক্বাব এবং হলুদ ও লাল রংয়ের পোশাক পরিধান করতে নিষেধ করেছেন। ইহরাম ছাড়া হলুদ, রেশমী, অলংকার, সেলোয়ার, মোজা, ক্বমীছসহ অন্য যে কোন রংয়ের পোশাক পরিধান করতে পারবে। (আবূ-দাউদ, সুনানুল কুবরা লিল-বাইহাক্বী-৫/৮৩, মা’রিফাতুস সুনানি ওয়াল আছার-৭/১৪১, আল-মুসতাদরাক আলাছ-ছহীহাইন-১/৬৬১)
عَنْ حَضْرَتْ عَبْد اللَّهِ بْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ يَنْهَى النِّسَاءَ فِي إِحْرَامِهِنَّ عَنِ الْقُفَّازَيْنِ وَالنِّقَابِ وَمَا مَسَّ الْوَرْسُ وَالزَّعْفَرَانُ مِنَ الثِّيَابِ وَلْتَلْبَسْ بَعْدَ ذَاكَ مَا أَحَبَّتْ مِنْ أَلْوَانِ الثِّيَابِ-
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়া’লা আনহু হতে বর্ণিত: তিনি বলেন, নিশ্চয় তিনি মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনাকে তিনি বলতে শুনেছেন যে, মহিলাগণকে তিনি ইহরাম অবস্থায় হাত-মোজা, পা-মোজা, মুখমন্ডলে নিক্বাব এবং হলুদ ও লাল রংয়ের পোশাক পরিধান করতে নিষেধ করেছেন। ইহরাম ছাড়া হলুদ, রেশমীসহ অন্য যে কোন রংয়ের পোশাক পরিধান করতে পারবে। (কানযুল উম্মাল-৫/১২১, ফতহুল বারী লি-ইবনি হাজার-৪/৫৩, যখীরাতুল উ’ক্ববা ফী শারহিল মুস্তফা-২৪/৬৯, শরহুয যাকানী আলাল মুয়াত্ত্বা-২/৩৪৯)
عَنْ حَضْرَتْ أَنَسٍ رَضِىَ اللّٰهُ تَعَالٰى عَنْه قَالَ رَأَيْتُ عَلَى النُّوْرِ الاُوْلي بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَمِيصًا سِيَرَاءَ حَرِيرًا-
অর্থ: হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়া’লা আনহু থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, আমি হযরত আন-নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনাকে হলুদ রংয়ের লম্বা রেখা বিশিষ্ট রেশমী কাপড়ের ক্বমীছ পরিধান করতে দেখেছি। (মুসনাদে আবূ ইয়া’লা আল-মূসিলী-৬/২৭৭)
-আল্লামা মুহম্মদ মুফীদ্বুর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরযে আইন হচ্ছে- যথাযথভাবে ৫ ওয়াক্ত নামায তারতীব অনুযায়ী যথাসময়ে আদায় করে নেয়া
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (১)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












