মহিলা ও পুরুষদের চোখের দৃষ্টির পর্দা সম্পর্কে জানার কিছু বিষয় (৩)
, ২৩ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৯ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ২৭ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ১১ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহিলাদের পাতা
অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত আছে, ইমাম জাছছাছ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, চক্ষু নিম্নগামী করার নির্দেশ আমাদের জন্য যাদেরকে দেখা হারাম তাদের সম্পর্কেই। হযরত মুহম্মদ বিন ইসহাক রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত মুহম্মদ বিন ইবরাহীম রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে, তিনি হযরত সালামা ইবনে আবূ তুফাইল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে, তিনি হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে আলী আলাইহিস সালাম! নিশ্চয়ই আপনার জন্য জান্নাতে বিশেষ ধনভান্ডার রয়েছে, আর আপনিই সেই ধনভান্ডারের মালিক। আপনি প্রথম দৃষ্টির পর পুনরায় দৃষ্টি দিবেন না। কেননা আপনার প্রথম দৃষ্টি ক্ষমা করা হবে, কিন্তু দ্বিতীয় দৃষ্টি ক্ষমা করা হবে না।” হযরত আবূ যুরায়া রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত জারীর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণনা করেন। তিনি হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হঠাৎ পড়ে যাওয়া দৃষ্টি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন, “তিনি আমাকে নির্দেশ দেন যে, আমি যেন সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টি ফিরিয়ে নেই।” সুবহানাল্লাহ! (আহকামুল কুরআন লিশ্ শফী ওয়াত থানুবী ৩য় জি:)
মহান আল্লাহ পাক তিনি মু’মিন পুরুষ ও মহিলাগণকে যা হালাল নয় এমন কিছু থেকে চোখকে ফিরিয়ে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। কোন পুরুষের জন্য বেগানা নারীর প্রতি তাকানো হালাল বা জায়িয নয়। অনুরূপভাবে কোন মহিলার জন্যও পর পুরুষের দিকে তাকানো জায়িয বা হালাল নয়।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো কয়েকটা বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে।
হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, “কোন পুরুষ অন্য কোনো পুরুষের ছতরের দিকে তাকাবে না, অনুরূপভাবে কোনো মহিলা অন্য কোন মহিলার ছতরের দিকে তাকাবে না। কোনো পুরুষ অপর কোনো পুরুষের সাথে একই চাদরের নীচে যেন না শোয়, অনুরূপভাবে একজন মহিলা অপর মহিলার সাথে যেন একই চাদরের নীচে না শোয়।” (মুসলিম শরীফ, শরহুন নববী, ফতহুল মুলহিম)
এখানে যে ছতরের কথা বলা হয়েছে, তা হলো নাভী থেকে হাটুর নীচ পর্যন্ত।
মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন আমাদের সকলকে হাক্বীক্বী পর্দা সম্পর্কে জানার এবং ইখলাছের সাথে আমল করার তাওফিক দান করেন। (আমীন)
-আহমদ উম্মু হাসান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












