মালিকুত তামাম, ক্বাসিমুন নিআম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফাতহ মুবারক উনার বরকত ও ফযীলত (৫)
, ১৭ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২১ ছামিন, ১৩৯২ শামসী সন , ১৭ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি:, ০৪ মাঘ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
হযরত খালিদ বিন ওয়ালীদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার বিজয় লাভের রহস্য:
হযরত ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
وَقَدْ رُوِيَ أَنَّ حضرت خَالِدًا رضى الله تعالى عنه سَقَطَتْ قَلَنْسُوَتُهُ يَوْمَ الْيَرْمُوكِ وَهُوَ فِي الْحَرْبِ فَجَعَلَ يَسْتَحِثُّ فِي طَلَبِهَا فَعُوتِبَ فِي ذَلِكَ فَقَالَ إِنَّ فِيهَا شَيْئًا مِنْ شَعْرِ نَاصِيَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِنَّهَا مَا كَانَتْ مَعِيَ فِي مَوْقِفٍ إِلَّا نُصِرْتُ بِهَا
অর্থ: “বর্ণিত আছে যে, সম্মানিত ইয়ারমুক জিহাদের দিন হযরত খালিদ বিন ওয়ালীদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি যখন জিহাদের মধ্যে ছিলেন, তখন উনার টুপি মুবারক পড়ে যান। তিনি সেটা খোজার জন্য অনেক তাকিদ করছিলেন। একারণে জিহাদ শেষে উনাকে কিছু কথা বলা হয়। (এই প্রচ- জিহাদের মধ্যে আপনি কেন টুপি মুবারক খোজার জন্য এতো তাকিদ করছিলেন?) জবাবে তিনি বলেন, নিশ্চয়ই আমার এই টুপি মুবারক উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুল হুদা মুবারক উনার সামনের দিকের কয়েকখানা নূরুল ফাত্হ মুবারক রয়েছেন। আর যে স্থানে অর্থাৎ যে কোনো জিহাদে আমার সাথে এই টুপি মুবারক থাকেন আমি অবশ্যই বিজয় লাভ করি। ” সুবহানাল্লাহ! (আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ্ ৭/১১৩)
‘শিফা শরীফে’ বর্ণিত রয়েছে-
وَكَانَتْ فِي قَلَنْسُوَةِ حَضْرَتْ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيْدِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ شَعَرَاتٌ مِنْ شَعَرِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَقَطَتْ قَلَنْسُوَتُه فِىْ بَعْضِ حُرُوْبِهِ فَشَدَّ عَلَيْهَا شَدَّةً أَنْكَرَ عَلَيْهِ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَثْرَةَ مَنْ قُتِلَ فِيهَا فَقَالَ لَمْ أَفْعَلْهَا بِسَبَبِ الْقَلَنْسُوَةِ بَلْ لِمَا تَضَمَّنَتْهُ مِنْ شَعَرِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِئَلَّا أُسْلَبَ بَرَكَتَهَا وَتَقَعَ فِىْ أَيْدِى الْمُشْرِكِينَ
অর্থ: “হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার টুপি মুবারক উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কয়েকখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফাত্হ মুবারক (চুল মুবারক) রক্ষিত ছিলেন। কোনো এক জিহাদে উনার ঐ টুপি মুবারক মাটিতে পড়ে যায়। তিনি অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে (সবকিছু ভুলে) টুপি মুবারক খোজার জন্য লেগে যান (এবং পেয়েও যান)। ঐ জিহাদে অনেক মুজাহিদ শাহাদাত বরণ করেন, এ কারণে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা হযরত খালিদ বিন ওয়ালীদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে জিজ্ঞাসা করেন, একটি টুপির জন্য আপনি এতো পেরেশান হয়ে গেলেন কেন? তিনি বললেন-
لَمْ أَفْعَلْهَا بِسَبَبِ الْقَلَنْسُوَةِ بَلْ لِمَا تَضَمَّنَتْهُ مِنْ شَعَرِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِئَلَّا أُسْلَبَ بَرَكَتَهَا وَتَقَعَ فِىْ أَيْدِى الْمُشْرِكِيْنَ
‘আমি শুধু একটি টুপির জন্য এমনটি করিনি, বরং আমি এমনটি এ কারণে করেছি যে, ঐ টুপি মুবারক উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কয়েকখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফাত্হ মুবারক রক্ষিত ছিলেন। (তাই আমি শঙ্কিত ছিলাম যে,) ঐ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফাত্হ মুবারক উনার বরকত আমার থেকে চলে যাবে এবং কোনো মুশরিকের হাতে পড়বে। ” না‘ঊযুবিল্লাহ! (শিফা শরীফ ২/১২৭)
উক্ত কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছে-
وَ كَانَتْ شَعَرَاتٌ مِنْ شَعْرِهِ فِىْ قَلَنْسُوَةِ حَضْرَتْ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيْدِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ فَلَمْ يَشْهَدْ بِهَا قِتَالًا اِلَّا رُزِقَ النَّصْرَ
অর্থ: “হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু উনার টুপি মুবারক উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কয়েকখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফাত্হ মুবারক (চুল মুবারক) রক্ষিত ছিলেন। তিনি যে কোনো জিহাদ মুবারকে ঐ টুপি মুবারকসহ উপস্থিত হতেন এবং মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে সাহায্যপ্রাপ্ত হয়ে বিজয় লাভ করতেন। ” সুবহানাল্লাহ! (শিফা শরীফ ১/২৪৫, হাদায়িকুল আনওয়ার ১/১৬১, বায়হাক্বী শরীফ ইত্যাদি)
-হাফিয মুহম্মদ ইমামুল হুদা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ, সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আর রবি’ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ই’জায শরীফ
১৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড (৭)
১৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড (৬)
১৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড (৫)
১৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক
১৩ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, জান্নাতী ইমাম, সাইয়্যিদুল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহনাওয়াসা আছ ছানী আলাইহিস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মুহব্বত মুবারক করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক
১২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড (৪)
১২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো ‘বাশার’ বা মানুষ বলা কাট্টা কুফরী
১২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড(৩)
১১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ‘আল মানছূর’ লক্বব মুবারক উনার অর্থ মুবারক
১০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যদিুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহসি সালাম উনার এবং মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহমিুস সালাম উনাদরে বশিষে শান মুবারক
১০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড(২)
০৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)