মুবারক শানের খিলাফ সকল বর্ণনাই অগ্রহণযোগ্য যদিও সেটা বর্ণিত হয় পবিত্র বুখারী শরীফসহ অন্যান্য প্রসিদ্ধ কিতাবে
, ২৯ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ২৫ রবি’, ১৩৯৩ শামসী সন , ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ০৯ আশ্বিন, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
কোনো বর্ণনা যদি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুবারক শানের খিলাফ হয় তবে তা গ্রহনযোগ্য নয়; বরং পরিত্যাজ্য।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুবারক শানের খিলাফ এলোমেলো বক্তব্য কাফির মুশরিক মুনাফিকরা সবসময়েই দিয়ে আসছে। নাউযুবিল্লাহ!
এসকল ক্ষেত্রে মু’মিন মুসলমানদের দায়িত্ব-কর্তব্য কী হবে, সেটা কিন্তু যিনি খলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি জানিয়ে দিয়েছেন।
উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দিকা আলাইহাস সালাম উনার শান মুবারকে মুনাফিকরা অপবাদ দিলে সে বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
لَوْلَا إِذْ سَـمِعْتُمُوْهُ ظَنَّ الْمُؤْمِنُوْنَ وَالْمُؤْمِنَاتُ بِأَنْفُسِهِمْ خَيْرًا وَّقَالُوْا هٰذَا إِفْكٌ مُبِيْنٌ
অর্থ: যখন তোমরা একথা (অপবাদ) শুনতে পেলে, তখন মু’মিন-মুমিনাগণ কেন নিজেদের সর্ম্পকে ভালো ধারণা পোষণ করলে না, কেন বললে না যে এটা সুস্পষ্ট অপবাদ। (পবিত্র সূরা নূর শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ১২)
এই পবিত্র আয়াত শরীফে মহান আল্লাহ পাক তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের শান মুবারক উনার খিলাফ কিছু শুনলে দায়িত্ব কর্তব্য হলো-
১. ভালো ধারনা পোষন করা। (এমন বিষয় কখনো হতেই পারে না। মুবারক শানের খিলাফ কিছু চিন্তা করাও কুফরী। )
২. এই কথা বলা যে, এটা সুস্পষ্ট অপবাদ।
তাহলে যদি বুখারী শরীফে বর্ণিত হয়, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। নাউযুবিল্লাহ! তাহলে এই বর্ণনা কি করে গ্রহণযোগ্য হতে পারে?
সুনানে তিরমিযী শরীফ বা অন্যান্য কিতাবে বর্ণিত হয় হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি মদ পান করেছেন। নাউযুবিল্লাহ! তা কি করে গ্রহণযোগ্য হতে পারে?
উনাদের শান খিলাফ বর্ণনায় সনদে ত্রুটি থাকা স্বাভাবিক। যেমন হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনাকে নিয়ে বর্ণিত হাদীছটি যে জাল/বানোয়াট তা প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু প্রমাণিত হয়েছে ১৪০০ বছর পর। এই সময়ের মধ্যে শত শত কিতাবে এই জাল বর্ণনাটি বর্ণনা করা হয়েছে। যদি তখন এই মূলনীতি অনুসরণ করা হতো তবে হাজার বছর ধরে উনাদের শান মুবারকের অপবাদ দেয়া সম্ভব হতো না।
আমরা ইমাম মুজতাহিদ উনাদের দোষারোপ করবো না। উনারা উনাদের অবস্থান থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। উনাদের কিতাবে মুবারক শানের খিলাফ যত বর্ণনা রয়েছে তা চিহ্নিত করে ছাঁটাই করাই হচ্ছে দায়িত্ব-কর্তব্য।
-মুহম্মদ গোলাম ছামদানী।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইলিম অর্জন করার পর সে অনুযায়ী যে আমল করে না, তার তিনটি অবস্থার যে কোনো একটি হবেই-
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৪)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ঢিলা-কুলুখের বিধান
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বেপর্দা হওয়া শয়তানের ওয়াসওয়াসাকে সহজ করার মাধ্যম
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় খরচ করলে তা দ্বিগুণ-বহুগুনে বৃদ্ধি করে ফিরিয়ে দেয়া হয়
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আসমাউর রিজাল, জারাহ ওয়াত তা’দীল, উছুলে হাদীছ শরীফ উনার অপব্যাখ্যা করে অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাকে জাল বলছে ওহাবী সালাফীরা (১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৩)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












