মৃত ব্যক্তির কবরে তালক্বীন দেয়ার গুরুত্ব-ফযীলত মুবারক এবং খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক-৫
, ০৭ ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৫ ছালিছ, ১৩৯১ শামসী সন , ২৪ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ০৯ ভাদ্র শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
“তালক্বীন” সম্পর্কে হাফিযুল হুফ্ফায, সুলত্বানুল আরিফীন হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন,
“যখন মৃত ব্যক্তিকে তালক্বীন করবে তখন তার মায়ের নাম নিয়ে বলবে, হে অমুকের সন্তান অমুক! তুমি বলো। আর যদি মায়ের নাম জানা না থাকে তাহলে উম্মুল বাশার হযরত হাওওয়া আলাইহাস্ সালাম উনার নাম মুবারক ধরে বলবে যে, হে অমুকের সন্তান অমুক! তুমি বলো- رَبِّىَ اللهُ (রব্বিইয়াল্লাহ্)- “আমার রব হচ্ছেন মহান আল্লাহ্ পাক তিনি।” وَدِيْنِىَ الْاِسْلَامُ. (ওয়া দ্বীনিয়্যাল ইসলাম) “আমার দ্বীন হচ্ছেন ইসলাম”। نَبِيِّىْ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. (নাবিয়্যী মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) “আমার সম্মানিত নবী ও রসূল হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি।”
আর কোন কোন বর্ণনায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রথমে তিনবার لَا إلٰهَ إلَّا اللهُ (লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু) বলবে এবং কোন কোন বর্ণনায় আছে তিনবার -لَا إلهَ إلَّا اللهُ مُحَمَّدٌ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলে উপরোক্ত কথাগুলো বলবে।
তালক্বীন করার নিয়ম হলো-
মাইয়্যেতকে দাফন করার পর উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ থেকে একজন প্রশ্ন করবে- مَنْ رَبُّكَ. (মার রব্বুকা) তোমার রব কে? অন্যান্য সকলেই বলবে- رَبِيَ اللهُ. (রব্বিইয়াল্লাহ) আমার রব মহান আল্লাহ পাক তিনি।
এরপর বলবে- وَمَنْ نَبِيُّكَ.(ওয়া মান নাবিয়্যুকা) তোমার সম্মানিত নবী কে? অন্যান্য সকলেই বলবে- نَبِيِّىْ مُحَمَّدٌ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (নাবিয়্যী মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার সম্মানিত নবী হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি।
অতঃপর বলবে- وَمَا دِيْنُكَ. (ওয়ামা দ্বীনুকা) তোমার সম্মানিত দ্বীন কি? সকলেই বলবে- دِيْنِىَ الْاِسْلَامُ. (দ্বীনিয়্যাল ইসলাম) আমার সম্মানিত দ্বীন হচ্ছেন পবিত্র ইসলাম।
এভাবে তিন বার বলবে অতঃপর ছাওয়াব রেসানী করে দোয়া মুনাজাত করবে।
-হাফিযুল হাদীছ মুহম্মদ ফজলুল হক্ব
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইস্তিঞ্জার আদব ও ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা সম্পর্কে (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইস্তিঞ্জার আদব ও ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা সম্পর্কে (১)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রয়োজনে ছুরি এবং চাকু দিয়ে খাবার কেটে খাওয়াও মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুতা-মোজা ঝেড়ে পরিস্কার করে পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
চামড়ার মোজা পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০৩)
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০২)
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০২)
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাবার ‘পনির’
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০১)
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত খাছ সুন্নতী বিছানা মুবারক উনার বর্ণনা
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












