যেদেশে জনগণকে সব ক্ষমতার উৎস ধরা হয়, সেদেশের জনগণ থেকে ভেজালশূন্যতা আশা করা যায় না। সেদেশে সর্বত্রই ভেজাল, এমনকি মশলাতেও ভেজাল পাওয়া যাবে- এটাই স্বাভাবিক। গণতান্ত্রিক আইন দ্বারা ভেজাল রোধ করা সম্ভব নয়।
, ২১ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০২ হাদী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ০১ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি:, ১৮ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মন্তব্য কলাম

বিভিন্ন ঘাসের বীজ, চাল ও ডালের গুঁড়া, ধানের তুষে রঙ মিশিয়ে এসব মসলা তৈরি ও বিক্রি করা হয়। রাজধানী ঢাকার কারওয়ান বাজার, শ্যামবাজার, মৌলভীবাজার, মিরপুর, টঙ্গী এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় এ ধরনের মসলা তৈরির কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় ঘাসের বীজের সঙ্গে রঙ মিশিয়ে ভেজাল গুঁড়া মসলা তৈরির কার্যক্রম হাতেনাতে ধরা পড়ে। এতে দেখা যায়, ঘাসের বীজ বা কাউন যা পাখির খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তা ভেজাল মসলার মূল উপকরণ। ঘাসের বীজ গুঁড়া করে ক্ষতিকর রঙ মেশানো হয়। এতে লাল রঙ মেশালে তৈরি হয়ে যায় মরিচের গুঁড়া। আর হলুদ রঙ মেশালে একই গুঁড়া হয়ে যাচ্ছে হলুদের। এর সঙ্গে কিছু পচা কাঁচামরিচ শুকিয়ে দিলে মরিচের গুঁড়ায় হাল্কা ঝাল হয়। আর নকল হলুদের গুঁড়ায় কিছু আসল হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে দিলে কেউ ভেজাল মসলা হিসেবে আর চিহ্নিত করতে পারেন না। গরম মসলা গুঁড়ায় মেশানো হচ্ছে কয়লা। প্যাকেটজাত হয়ে তা ঠাঁই নিচ্ছে ভোক্তার রান্নাঘরে। মরিচ, হলুদ ও মসলার নামে বিক্রি হওয়া এ ভেজালসামগ্রী মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে ভোক্তাদের জন্য।
জানা গেছে, ১৫ বছর ধরে কয়েকটি গোষ্ঠী এই ভেজাল মসলার গুড়া তৈরী করছে। গভীর রাতে রঙ মেশানোর কাজ করা হয়। তৈরি ভেজাল গুঁড়া মসলার বেশিরভাগই বিক্রি হয় ঢাকা, সিলেট, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। অধিক লাভের আশায় বাইরের পার্টি এসে এখানে ভেজাল মসলার অর্ডার দেয়। আসল হলুদ ও মরিচের গুঁড়া ২৫০ টাকা কেজি হলেও ভেজাল এ মসলার গুঁড়া মেলে ১৩০ টাকায়। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী কারওয়ান বাজারের সব কারখানায় এভাবেই ভেজাল দেয়া হয়।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগরীসহ আশপাশের উপজেলায় মরিচ-হলুদ-মসলা তৈরির ১৫০টির মতো মিল রয়েছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের অনুমোদন আছে মাত্র ৩৫টির। পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে মিলগুলোয় চলছে ভেজাল মরিচ, হলুদ ও গুঁড়া মসলা উৎপাদনের উৎসব।
চাক্তাই ও খাতুনগঞ্জ এলাকা থেকে প্রাপ্ত সংবাদে জানা যায়, রাজাখালীর শান্তি মিয়ার গলির এক মরিচের মিলে দুটি মেশিনে চলছে ভেজাল মরিচ ও হলুদের গুঁড়া তৈরির কাজ। রঙ, বোম্বাই মরিচ ও ধানের কুঁড়া গুঁড়া করার পর এসব উপাদান আনুপাতিকহারে মেশানো হয়। এরপর মিশ্রিত ভেজাল গুঁড়া প্যাকেজিং কারখানায় নিয়ে প্যাকেট করে বাজারে ছাড়া হয়। জানা যায়, প্রতিদিন এক থেকে দেড় টন মরিচ-হলুদ-গরম মসলা প্রস্তুত করার সক্ষমতা আছে এ মিলটির। তবে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী, মাসে ১০-১৫ টন উৎপাদন করে তারা। একই এলাকায় অন্যান্য মরিচের মিলেও প্রতিদিন এক থেকে দেড় টন মরিচের গুঁড়া উৎপাদন হয় বলে জানা যায়।
রাজধানীর পাশাপাশি, চট্টগ্রামের শহর-বন্দর-নগরের বাজারগুলোতে চলছে ভেজাল হলুদ মরিচের গুঁড়া বিক্রির মহোৎসব। ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকির পাশাপাশি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ক্রেতাসাধারণ। এদিকে বরিশাল নগরীর হাটখোলাসহ অলিগলিতেও গড়ে উঠেছে অসংখ্য হলুদ মরিচ ভাঙ্গানোর মিল। এই সকল মিল মালিকদের সাথে বিভিন্ন শ্রেণীর পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে নির্দিষ্ট একটি সময় ওই সকল ভেজাল মাল ভাঙ্গাবার জন্য মিলমালিকরা দুপুরে অথবা রাতে ভেজাল হলুদ মরিচের গুঁড়া করে থাকে বলে জানা যায়।
আরেক অনুসন্ধানে জানা গেছে, মরিচের গুঁড়া তৈরি করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় অত্যন্ত নিম্নমানের মরিচ। ওই মরিচের সাথে অর্ধেক পরিমাণে আতপ চাল বা কোনো ক্ষেত্রে চালের কুঁড়া মিশিয়ে গুঁড়া করা হয়। একই সাথে মরিচের রং উজ্জ্বল করার জন্য ব্যবহার করা হয় হাজার পাওয়ারের লাল রং। একইভাবে হলুদের সাথে অর্ধেক বা তার চেয়ে কম বেশি পরিমাণে মেশানো হয় আতপ চাল বা চালের কুঁড়া। হলুদের রংয়ের উজ্জ্বলতা আনার জন্য ব্যবহার করা হয় সরিষা ফুলের রং। এই সব মরিচ ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে তরকারী রান্না করার পরে দেখা যায় তরকারী অনেক বেশি লাল রং হয়েছে এবং রান্নার পরে নিচে তলানী জমে। এর কারণে তরকারী স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়।
এই সব ভেজাল হলুদ মরিচের গুঁড়া কম দামে দোকানদারদের প্রতি আস্থা রেখে ক্রয় করে এলাকাবাসী। ফলে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি যারা এই ভেজাল মসলা খায় তারা স্বাস্থ্যের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। রং মিশ্রিত ভেজাল হলুদ ও মরিচের গুঁড়া নিয়মিত ব্যবহার করায় ক্যান্সারসহ মারাত্মক রোগের কারণ হতে পারে বলে চিকিৎসকগণের অভিমত। ভেজাল মসলায় রান্নাকৃত খাদ্য খেলে পেটের পীড়া, লিভার ও কিডনীর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে বলে চিকিৎসকরা জানায়। এমনকি ক্যান্সারের মতো জটিল রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
মূলত, ভেজাল পণ্য উৎপাদন ও বিপণনের সঙ্গে জড়িত শক্তিশালী সিন্ডিকেট চক্রের অপতৎপরতা রোধে সরকারিভাবে প্রয়োজনীয় কোনো উদ্যোগ নেই। কালেভদ্রে ভেজালবিরোধী অভিযানে ভেজাল মিশ্রণকারীরা গ্রেফতার হয়। কঠিন আইন না থাকায় আইনের ফাঁক গলিয়ে জামিনে বের হয়ে আবার তারা ভেজাল মিশ্রণের কাজে নেমে পড়ে। ভেজাল বাণিজ্য রোধে সরকারিভাবে কঠোর আইন প্রণয়ন, ব্যবসায়ীদের নৈতিক মানসিকতা সৃষ্টি ও সর্বোপরি মানুষের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টি প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, আমরা মনে করি যে- শুধু আইনের বল প্রয়োগেই এ ভেজাল প্রবণতা রোধ করা যাবে না। কারণ মানুষের তৈরি আইনের গোলকধাঁধায় মানুষ সহজেই পার পেয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে অত্যাবশ্যকীয় হলো- মানুষের সৃষ্টিকর্তা খালিক্ব মালিক রব আল্লাহ পাক উনার প্রতি অনুগত হওয়া ও উনার ভয় লালন করা এবং এ সম্পর্কিত মূল্যবোধ ও চেতনা জাগ্রত করা।
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার পরিভাষায় বান্দা হিসেবে প্রত্যেককে দুটি হক্ব আদায় করতে হয়। একটি হলো ‘হক্কুল্লাহ্্’। যার অর্থ হলো- মহান আল্লাহ পাক উনার হক্ব। যথা- পবিত্র নামায, পবিত্র রোযা, পবিত্র হজ্জ, পবিত্র যাকাত ও আনুষাঙ্গিক ফরয, ওয়াজিব, সুন্নত ইত্যাদি বিষয়। অপরটি হলো- ‘হক্কুল ইবাদ’ বা বান্দার হক্ব। অর্থাৎ কোনো বান্দার প্রতি অপর বান্দার যে হক্ব রয়েছে তা যথাযথভাবে আদায় করা বা নষ্ট না করা। যেমন কোনো দোকানির কাছ থেকে জিনিস কেনা বা কোনো খাদ্য বিক্রেতার কাছ থেকে খাদ্য কেনা হলে সেক্ষেত্রে বিক্রেতা যদি তা যথাযথভাবে বিক্রি না করে অর্থাৎ যদি কোনো ভেজাল বা পঁচা খাদ্য বা জিনিস বিক্রি করে বা মাপে কম দেয়, তাহলে তাতেও হক্কুল ইবাদ বিশেষভাবে নষ্ট হয়। কারণ এতে যত বান্দা সে ভেজাল খাবার খাবে, তাতে তাদের মস্তিষ্ক, চোখ বা অন্য কোনো অঙ্গ-প্রতঙ্গ বা গোটা দেহের যত ক্ষতি হবে এবং সে কারণে আরো যত ক্ষতি হবে সব ক্ষতির দায়ভার বর্তাবে ওই ভেজাল বিক্রেতার উপর।
আবার পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সবচেয়ে গরীব কে? অতঃপর তিনি বলেন, সবচেয়ে গরীব ওই ব্যক্তি- যে ক্বিয়ামতের দিনে পাহাড় পরিমাণ নেকি নিয়ে উঠবে। মানুষ মনে করবে সে নিশ্চিত জান্নাতী। কিন্তু এরপর তার একের পর এক পাওনাদাররা আসবে। যাদের হক্ব সে নষ্ট করেছে। তখন তার নেকী দ্বারা তাদের সে হক্ব আদায় করা হবে। এরপরও বাকি থেকে যাবে। তখন পাওনাদারদের গুনাহ তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে। কিছুক্ষণ পূর্বে যে ব্যক্তি ছিল নিশ্চিত জান্নাতী এখন সে ব্যক্তি হয়ে পড়বে নিশ্চিত জাহান্নামী। ” পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এ ব্যক্তিকেই সবচেয়ে গরীব বলা হয়েছে।
মূলত, আজকের যুগে ধর্মব্যবসায়ী তথা উলামায়ে ‘সূ’দের প্রাদুর্ভাব থাকায় এহেন পবিত্র ইসলামী চেতনা কারো মাঝে নেই বললেই চলে। বরং উলামায়ে ‘সূ’রাও যেভাবে অসততায় আর দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়েছে- তা দেখেই ভেজালকারী ও দুর্নীতিবাজরা আরো সাহসী ও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তার পরিণতিতেই সারাদেশব্যাপী এত ভেজাল আর দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অবহেলায় কৃষিতে ব্যবহৃত হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ও রাসায়নিক; বাড়ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি। বিলুপ্তির পথে ১৯২ জাতের উপকারী পোকা। সরকারের উচিত অবিলম্বে কীটনাশক ও রাসায়নিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করে জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও কৃষিকে বিষমুক্ত করা।
১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অন্তর্বর্তী সরকারেও দেশে ব্যবসা পরিস্থিতির উন্নতি তো হয়ইনি বরং পতিত জালিম সরকারের চেয়েও অবনতি হচ্ছে অথচ ব্যবসায়ীরা দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি ব্যবসায়ীদের একান্ত প্রয়োজনগুলো এবং চরম ক্ষতিকর ও বাধাগ্রস্থ দিকগুলোও নির্ণয় করতে ব্যর্থ হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ বাঁচাতে হলে ব্যবসাকে বাঁচাতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
‘ইসলামভীতি মোকাবেলায় জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস’ হলেও কার্যকরী কিছুই হচ্ছে না ইসরাইলকে সহযোগিতা করতে আমেরিকায় ইসলামোফোবিয়ার বিস্তার আরো বাড়ানো হচ্ছে
১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রসঙ্গ: শিশুদের জন্য ইন্টারনেট নিরাপদ করতে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল গাইড লাইন তৈরি করছে সরকার নিয়ন্ত্রনহীন ইন্টারনেট জগতে প্রবেশ করে অশ্লীলতা, হিংস্রতা ও অপসংস্কৃতিতে লিপ্ত হচ্ছে শিশু কিশোররা সরকারের উচিত হবে এই গাইডলাইনে দীর্ঘসূত্রিতা না রেখে তা ত্বরিৎ বাস্তবায়ন করা।
১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
৯৮ ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলমানের সংজ্ঞা কতজন মুসলমান জানে? প্রকৃত মুসলমান না হয়ে শুধু বাহ্যিক মুসলমান দাবি কী অন্যায় নয়? মুসলমান মাত্রই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করতে হবে।
১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম অন্যান্য ধর্মের সাথে সমমর্যাদার ভিত্তিতে সহাবস্থানে থাকতে পারে না। পবিত্র দ্বীন ইসলাম কখনোই কথিত ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র অধীন হতে পারে না।
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সংবিধান, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিরোধী আপত্তিকর শব্দ প্রকাশের বিপরীতে মহান আল্লাহ পাক উনার ‘কুদরত’ ও ‘রহমত’ এ ছিফত মুবারক দ্বয়ের ব্যাপক প্রচলন ঘটাতে হবে
১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
দেশে ভেজাল ওষুধের দৌরাত্ম বাড়ছেই। ১২ হাজার কোটি টাকার ওষুধের এক-দশমাংশই নিম্নমানের। ভেজাল ওষুধে বহুবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। সরকার এখনই প্রতিরোধ না করলে দেশের জনস্বাস্থ্য মহাবিপর্যয়ের মুখে পড়বে।
১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দেশের লবণচাষীরা হাজার কোটি টাকার লবণ আমদানী ঠেকিয়ে রেখেছে লবণচাষীদের উপর বিভিন্ন চাপ, বাধা ও নিয়ন্ত্রণ তৈরী করছে সিন্ডিকেট অপরদিকে দেদারছে নিষিদ্ধ ও ক্ষতিকর সোডিয়াম সালফেট আমদানী করে লবণ বলে বাজারজাত করা হচ্ছে
০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালন করা কী অপরাধ? সংবিধান কী পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের সুযোগ দেয়নি? পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যে কী বেপর্দা ও ছবির বিরুদ্ধে বলা হয়নি? তাহলে কী রাষ্ট্রযন্ত্রের উচিত নয়- ছবি না তুলে, বেপর্দা না হয়ে দ্বীনদার মুসলমানরা যাতে সাংবিধানিক সুযোগ পায় সে অধিকার সংরক্ষিত করা। প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করা।
০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নিজেদের জীবন পঙ্গু করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে যারা ক্ষমতায় বসিয়েছে, সেই ছাত্র-জনতা এখন চিকিৎসা পাচ্ছে না। তাদের বিক্ষোভ করতে হচ্ছে, রাস্তায় নামতে হচ্ছে! নিয়মের জটিলতায় ক্ষতিপূরণ পেতে দেরি আহত ও নিহতদের পরিবারের লালফিতায় আটকা গণঅভ্যুত্থানে আহতদের ক্ষতিপূরণ
০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নিজেদের জীবন পঙ্গু করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে যারা ক্ষমতায় বসিয়েছে, সেই ছাত্র-জনতা এখন চিকিৎসা পাচ্ছে না। তাদের বিক্ষোভ করতে হচ্ছে, রাস্তায় নামতে হচ্ছে! এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা এর চেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকতা এই অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য আর কি হতে পারে?
০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)