যে সমস্ত দেশ লুটপাটের কারণে গরিব হয়?

, ২৮ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১২ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২৬ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পাঁচ মিশালী

পৃথিবীতে এমন বহু দেশ রয়েছে যেখানকার অধিবাসীদের ঠিকমত খাবার জোটে না। সেসব দেশের অবস্থা এতটাই তথৈবচ যে জনগণের মৌলিক চাহিদা তো দূরের কথা, সঠিক খাবারের জোগানও নেই।

অশিক্ষা, দারিদ্র্য, মূল্যস্ফীতি ও বেকারত্বে ধুঁকছে সেসব দেশগুলি। বিশ্বের সবচেয়ে গরিব দেশের কথা এই প্রতিবেদনে জানা যাবে।

মূলতঃ সে সকল দেশের জাতীয় সম্পদ অন্যান্য কাফির রাষ্ট্রগুলো লুটপাট করে নিয়ে যায় এবং সে সকল মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলোকে নাজুক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেয়। মূলত এ কারণেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি। আসলে সমস্ত কাফির-মুশরিকদের দেশগুলোই গরীব ও সুপার ফকির।

দক্ষিণ সুদান:

আফ্রিকার দেশ দক্ষিণ সুদান বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ। দক্ষিণ সুদানের ১১ মিলিয়ন মানুষ চরম দারিদ্র্যের সম্মুখীন। দক্ষিণ সুদানের রাজধানীর নাম জুবা। ২০১১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে দেশটি পৃথিবীর দরিদ্রতম দেশের মধ্যে চলে এসেছে। তেলের ভা-ারে সমৃদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ সুদান তাদের অর্থনীতি মজবুত করে উঠতে পারেনি।

বুরুন্ডি:

বুরুন্ডি বিশ্বের দ্বিতীয় দরিদ্রতম দেশ। এই দেশটি দীর্ঘদিন ধরে গৃহযুদ্ধের সম্মুখীন। এখানকার ৮০ শতাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। পানি, বিদ্যুৎ ইত্যাদি সাধারণ জিনিসগুলোর জন্য এখনও লড়তে হচ্ছে বুরুন্ডিকে।

সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক:

মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র বিশ্বের তৃতীয় দরিদ্রতম দেশ। অথচ স্বর্ণ, তেল, ইউরেনিয়াম ও হীরের মতো বহু মূল্যবান রতœভান্ডার থাকা সত্ত্বেও দারিদ্রতায় ডুবে আছে এই দেশ। এই দেশের মোট জনসংখ্যা ৫৫ লাখ।

সোমালিয়া:

সোমালিয়া বিশ্বের চতুর্থ দরিদ্রতম দেশ। গোটা দেশজুড়ে অস্থিতিশীলতা, সেনাবাহিনী অত্যাচার এবং দস্যুদের কারণে বিপর্যস্ত এই দেশ। ১৯৬০ সালে সোমালিয়া স্বাধীনতা লাভ করে। বর্তমান সময় পর্যন্ত সোমালিয়া অর্থনৈতিকভাবে সমস্যায় রয়েছে। এই দেশের মোট জনসংখ্যা ১ কোটি ২৬ লাখ।

কঙ্গো:

কঙ্গো বিশ্বের পঞ্চম দরিদ্রতম দেশ। স্বৈরাচার, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং সহিংসতা কঙ্গোর অবস্থাকে আরও খারাপ করেছে। কঙ্গোর জনসংখ্যার তিন-চতুর্থাংশ দিনে দুই ডলারও (ভারতীয় মুদ্রায় ১৬৬ টাকা) খরচ করতে পারে না।

ট্যাগসমূহঃ