নছীহতে কায়িম মাকামে উম্মাহাতুল মু’মীনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম
রাগ ও লোভকে উপযুক্ত স্থানে প্রয়োগ করা উচিত-১
, ২৬ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৩ সাদিস ১৩৯১ শামসী সন , ১১ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ২৬ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহিলাদের পাতা
বলাবাহুল্য, আত্মসংযম বা রাগ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন কাজ। কিন্তু আত্মসংযম করা এবং মন্দ ব্যবহারকারীকে ক্ষমা করা এক বিশেষ গুণ। যে ব্যক্তি এই গুণ অর্জন করতে পারবে, স্বীয় শত্রু তার অনুগত হয়ে যাবে এবং সর্বকালীন বিপদ-আপদ থেকে সে মুক্তি লাভ করবে অর্থাৎ সে দোজাহানে কামিয়াবী হাছিল করতে পারবে। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি সূরা আলে ইমরান শরীফ-এর ১৩৪ নং আয়াত শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন,
وَالْكَاظِمِيْـنَ الْغَـيْظَ وَالْعَافِيْـنَ عَنِ النَّاسِ ۗ وَاللهُ يُـحِبُّ الْمُحْسِنِيْـنَ ﴿১৩৪﴾ سورة آل عمران
যারা রাগ সংবরণ করেন এবং মানুষকে ক্ষমা করেন (উনারাই মুহসিনীন)। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি মুহসিনীন উনাদেরকে মুহাব্বত করেন। সুবহানাল্লাহ!
তাই রাগ সংবরণ করার নির্দেশনা দিয়ে পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ أَبـِيْ هُرَيْـرَةَ رَضِيَ اللهُ تَـعَالٰـى عَنْهُ اَنَّ رَجُلًا قَالَ لِلنَّبـِىِّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَوْصِنِـىْ قَالَ لاَ تَـغْضَبْ فَـرَدَّ ذٰلِكَ مِرَارًا قَالَ لَا تَـغْضَبْ. (رواه البخارى)
হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। একদা এক ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বললেন, আমাকে কিছু উপদেশ দিন। তিনি বললেন, আপনি রাগ করবেন না। লোকটি পুনরায় এ কথাটি কয়েকবার বললেন। তিনি প্রতিবারই বললেন, আপনি রাগ করবেন না।
[বুখারী শরীফ]
পবিত্র হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
وَ عَنْ عَطِيَّةَ ابْنِ عُرْوَةَ السَّعْدِىِّ رَضِيَ اللهُ تَـعَالٰـى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ الْغَضَبَ مِنَ الشَّيْطَانِ وَ اِنَّ الشَّيْطَانَ خُلِقَ مِنَ النَّارِ وَ اِنَّـمَا تُطْفَا النَّارُ بِالْمَاءِ فَاِذَا غَضِبَ اَحَدُكُمْ فَـلْيَـتَـوَضَّأْ .(رواه ابو داود)
হযরত আতিয়্যাহ ইবনে উরওয়াহ আসসা’দী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই ক্রোধ বা রাগ শয়তানের পক্ষ থেকে আসে। আর শয়তানকে আগুন থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আগুন পানি দ্বারা নিভানো হয়। সুতরাং যখন তোমাদের কারো রাগ আসে, তখন সে যেন ওযূ করে।
[আবূ দাঊদ শরীফ]
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (১০)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে না
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সর্বাবস্থায় আজল বা তাড়াহুড়া না করে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
হাশরের ময়দানে যে ৫টি প্রশ্নের উত্তর প্রত্যেককেই দিতে হবে
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












