রাজাকার মতিউর সিকদার নাম শুনে আজো আঁতকে উঠে নরসিংদীবাসী (১)
এডমিন, ১৪ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৬ হাদি ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ০৬ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রি:, ২৪ চৈত্র, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) বিশেষ প্রতিবেদন

পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নরসিংদীতে গণহত্যা, লুটপাট আর অগ্নিসংযোগের নারকীয় মহোৎসব চালাতো রাজাকার কমান্ডার জামাত নেতা মতিউরের সিকদার। একাত্তরে নরসিংদীসহ আশপাশের শতাধিক গ্রামকে রক্তাক্ত জনপদে পরিণত করেছিলো কুখ্যাত এ রাজাকার মতিউর রহমান। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ কয়েকটি অভিযোগে মামলা হলেও গ্রেফতার এড়িয়ে এখন সে ব্যবসায়ী ও জামাতের একনিষ্ঠ কর্মী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন, কাউকে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তাকারী হিসেবে বিন্দুমাত্র সন্দেহ হলেই রাজাকার মতিউরের হাতে তার মৃত্যু ছিল নিশ্চিত। স্বাধীনতা যুদ্ধের ৯ মাসে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়দাতাদের সন্ধানে রাজাকার মতিউর রহমান চষে বেড়িয়েছে নরসিংদীর গ্রাম-গ্রামান্তর। নরসিংদী সদর থানার ঘোড়াদিয়ার মতিউর রাজাকারের নামে নরসিংদীর মানুষ আজও আঁতকে উঠেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে ২০১০ সালের ২৬ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হলেও রাজাকার মতিউর রহমান রয়েছে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। দম্ভ নিয়ে রাজধানীতে চালিয়ে যাচ্ছে আমদানি-রফতানি ব্যবসা ও জামাতের সংগঠনিক কার্যক্রম। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ইস্যুতে অর্থাৎ একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকা-ের জন্য অনুশোচনা নেই তার।