রাজাকার সাঈদির রাজাকারনামা (২)
এডমিন, ০৩ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৬ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ২৬ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ১২ চৈত্র, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) বিশেষ প্রতিবেদন

‘এ্যাসোসিয়েট অব পাকিস্তান আর্মি’ বইটির লেখক এএসএম সামসুল আরেফিন। ঐ বইয়ের পর্যালোচনায় দেখা যায়, বইয়ের সূত্র অনুযায়ী ২০০১ সালের ৫ মার্চের দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত নিউজের সারাংশ হলো: “সেই রাজাকার, ’৭১-এর রাজাকার দেইল্যা এখন মালানা সাঈদী।” ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে প্রকাশিত সংবাদের মূল বিষয়গুলো ক্রমানুসারে বর্ণনা করা হলো।
১) ১৯৭১ সালে সে রাজাকার দেইল্যা বলে পরিচিত ছিলো। স্বাধীনতার পর ভোল পাল্টিয়ে মালানা সাঈদী হয়েছে।
২) উপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদের পিতা পিরোজপুরের এসডিপিও ফয়েজুর রহমান আহমেদের হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত ছিলো বলে অভিযোগ রয়েছে।
৩) অভিযোগ আছে যে, ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ বিজয়ের প্রাক্কালে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজকে হত্যা করেছে।
৪) বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরেই সে পালিয়ে যায় এবং ১৯৮৫ সালে দেশে (পিরোজপুরে) ফিরে আসে। এসে ধর্মব্যবসা শুরু করে। দেশে বলতে পিরোজপুরের কথা বলা হয়েছে।
৫) ওয়াজের ক্যাসেটের মাধ্যমে তালেবান স্টাইলে বিপ্লবের স্বপ্ন দেখে রাজাকার সাঈদী। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী ওহাবী নেতা বিন লাদেনের ভাবশিষ্য বলে তার পরিচয় ক্রমশঃ ব্যাপক হয়ে উঠে।
৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সংবাদদাতা তদন্তে অনুসন্ধানে জানতে পারে, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকী বাহিনীর হাতে মুক্তিযোদ্ধাদের তুলে দেয়া হয়। হত্যা, দোকানপাট, বাড়িঘর, লুটপাট, নির্যাতন নিপীড়ন করা হয়।