রাজাকার সাঈদির রাজাকারনামা (৩)
এডমিন, ০৫ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৮ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ২৮ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ১৪ চৈত্র, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) বিশেষ প্রতিবেদন

২০০১ সালের ৫ মার্চের দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত নিউজের সারাংশ হলো:- “সেই রাজাকার: ’৭১-এর রাজাকার দেইল্যা এখন মালানা সাঈদী।” ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে প্রকাশিত সংবাদের মূল বিষয়গুলো ক্রমানুসারে বর্ণনা করা হলো।
৭) মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দেইল্যা ছিল পাড়েরহাটের বাদুরা গ্রামের ইউনুস মুন্সীর জামাই এবং বেকার। একটি মুদি দোকানে বসে আড্ডা মারতো।
৮) যুদ্ধকালে পারেরহাট বাজারেও সাঈদী তার রাজাকার বাহিনী নিয়ে হেলাল উদ্দিন পসারী, রইস উদ্দিন পসারী, সইজ উদ্দিন পসারীসহ অর্ধশতাধিক দোকান লুট করে। পারেরহাটে খেয়াসংলগ্ন সুলতান তালুকদারের ঘর দখল করে মুদি, মনিহারী দোকান নিজের নামেই চালু করে।
৯) পিরোজপুরে রাজাকার বাহিনীপ্রধান মানিক খন্দকার তাকে আল-বাদর বাহিনী গঠনের দায়িত্ব দেয়।
১০) স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে দেইল্যা রাজাকার বাহিনীতে নাম লেখায়। মুক্তিযোদ্ধাদের উপর নিষ্ঠুরতা ও নির্মমতা এতই ভয়ঙ্কর ছিল যে, অচিরেই পাকী সেনাদের প্রিয়পাত্র হয়ে উঠে। তাকে ৩০০ রাজাকার বাহিনীর নেতৃত্ব দেয়া হয়। জোরপূর্বক লোকজনকে ধরে নিয়ে রাজাকার, আল-বাদর বাহিনীতে নাম লেখাতে বাধ্য করতো রাজাকার সাঈদী। কেউ রাজাকার বা আল-বাদর হতে না চাইলে, তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হতো বলেও অভিযোগ আছে।