রাজাকার সাঈদির রাজাকারনামা (৪)
এডমিন, ০৭ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ৩০ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ৩০ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ১৬ চৈত্র, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) বিশেষ প্রতিবেদন

আল ইহসান ডেস্ক:
২০০১ সালের ৫ মার্চের দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত নিউজের সারাংশ হলো: “সেই রাজাকার, ’৭১-এর রাজাকার দেইল্যা এখন মালানা সাঈদী।” ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে প্রকাশিত সংবাদের মূল বিষয়গুলো ক্রমানুসারে বর্ণনা করা হলো।
১১) ১৯৭১ সালের জুন মাসে মদন সাহার দোকান ও বাড়ি লুট করার পর এদের নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। গোপাল বণিক নামে এক ব্যাক্তিকে আটক করে পাক বাহিনীর হাতে তুলে দেয়। পরে বলেশ্বর নদীর ঘাটে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। রাজাকার সাঈদীর সহযোগীরা কৃষ্ণকান্ত সাহাকে হত্যা করে। নারায়ণ সাহা, বিপদ সাহাসহ আরো কয়েকজনের দোকান লুট করে।
১২) লুণ্ঠনের পাশাপাশি বহু বাড়ি-ঘর পোড়ানো, কতিপয় হিন্দুকে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করা হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরি করে পাক বাহিনীকে তা সরবরাহ করা হয়। তাদের মাতা-পিতাসহ আত্মীয়স্বজনদের হয়রানি, নির্যাতন ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ রয়েছে। পাকী বাহিনীর ভোগের জন্য বলপূর্বক মেয়েদের ধরে এনে রাজাকার সাঈদী পাকিস্তানী ক্যাম্পে পাঠিয়ে দিতো।
১৩) এক পৌঢ়া অভিযোগ করেছে, তার স্বামীকে হত্যা করেছে রাজাকার সাঈদী। হত্যার বিচার চেয়ে পায়নি। কারণ রাজাকার সাঈদীর যোগাযোগ ছিল প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে।