রোযা অবস্থায় ইনজেকশন, ইনসুলিন, স্যালাইন, ইনহেলার ইত্যাদি নিলে অবশ্যই রোযা ভঙ্গ হবে
, ০৭ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ৩০ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ৩০ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ১৬ চৈত্র, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মহিলাদের পাতা
সম্মানিত শরীয়ত উনার ফতওয়া হলো- রোযা অবস্থায় যেকোনো ধরনের ইনজেকশন নিলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। যেমন, “হিদায়া মা’য়াদ দিরায়া” কিতাবের ১ম খণ্ডের ২২০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
ومن احتقن ... افطر لقوله صلى الله عليه وسلم الفطر مما دخل.
অর্থ: “এবং যদি কোনো ব্যক্তি ইন্জেকশন নেয়... তাহলে রোযা ভঙ্গ হবে। কারণ মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, “কিছু ভিতরে প্রবেশ করলে রোযা ভঙ্গ হবে।”
স্মরণীয় যে, উক্ত ইবারতে احتقن শব্দের উল্লেখ রয়েছে। আরবী অভিধান গ্রন্থসমূহে احتقن শব্দটি حقنة- محقنة - احتقان ইত্যাদি শব্দ থেকে উদ্ভূত হয়েছে। এবং বিশেষ করে احتقن শব্দটি বাবে افتعال ওজনে احتقان ক্রিয়ামূল থেকে অতীতকালীন ক্রিয়ার শব্দরূপ। এছাড়া অভিধানগ্রন্থে সরাসরি احتقن শব্দটিরও উল্লেখ রয়েছে। উক্ত প্রতিটি শব্দেরই অর্থ হচ্ছে ইন্জেকশন, সিরিঞ্জ ইত্যাদি। [তথ্যসূত্র: আল ক্বামূসুল জাদীদ (আরবী-উর্দু), আধুনিক আরবী- বাংলা অভিধান ইত্যাদি]
“বাহরুর রায়িক” কিতাবের ২য় খ-ের ২৭৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
واذا احتقن ... افطر لقوله عليه السلام الفطر مما دخل وليس مـما خرج.
অর্থ: “যদি কোনো ব্যক্তি ইন্জেকশন নেয়... তাহলে রোযা ভঙ্গ হবে। কারণ মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, কিছু ভিতরে প্রবেশ করলে রোযা ভঙ্গ হবে এবং বের হলে রোযা ভঙ্গ হবে না।”
“ফতওয়ায়ে আলমগীরী” কিতাবের ১ম খন্ডের ২০৪ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
ومن احتقن ... افطر.
অর্থ: “এবং যদি কোন ব্যক্তি ইন্জেকশন নেয়... তাহলে রোযা ভঙ্গ হবে।” অনুরূপ “ফতওয়ায়ে শামীতে” ও উল্লেখ আছে।
অতএব, প্রমাণিত হলো ইন্জেকশন নিলে অবশ্যই রোযা ভঙ্গ হবে।
কেননা রোযা ভঙ্গের শর্তই হচ্ছে, রোযা ভঙ্গকারী কোনোকিছু শরীরের ভিতরে প্রবেশ করা, আর ইঞ্জেকশন দ্বারা প্রয়োগকৃত ঔষধ ভিতরে প্রবেশ করে এবং তা পাকস্থলী ও মগজে পৌঁছে থাকে। যা রোযা ভঙ্গের মূল কারণ।
-মুহম্মদ আব্দুল্লাহ, কুড়িগ্রাম
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরযে আইন হচ্ছে- যথাযথভাবে ৫ ওয়াক্ত নামায তারতীব অনুযায়ী যথাসময়ে আদায় করে নেয়া
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (১)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মেহমানদারী করার মাধ্যমে উদযাপনে শাফায়াত মুবারক লাভ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












