শিশু পালন ও পরিচর্যা:
শিশুর দেহ ও মন গঠনে নজর দিতে হবে
, ০৯ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৫ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ১৩ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ২৮ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহিলাদের পাতা
মানব বাগানে শিশুরা ফুল। শিশুরা স্বপ্ন। মায়েরা বাগানের মালিক। মায়ের আদরে গড়ে ওঠে শিশু। মায়ের হাতে তাদের স্বপ্নের আগামী।
বাবার স্নেহ ও শাসন সন্তান পরিচর্যায় সহায়ক। তবে মায়ের মুহব্বত আদর স্নেহে নির্মিত হয় সন্তানের ভবিষ্যত। শিশুর স্বপ্নিল আগামী গড়তে লালন পালনে সচেতন হতে হয় অভিভাবকদের। এ আলোচনায় সম্মানিত দ্বীন ইসলাম তথা শরীয়তসম্মতভাবে শিশু সন্তানের যতেœর বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করবো। ইনশাআল্লাহ!
প্রথমেই দেহ গঠন:
দেহের পরিচর্যার ক্ষেত্রে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের সংস্থান হতে হবে হালাল উপার্জনের মাধ্যমে। মায়েদের সন্তানের স্বাস্থ্য, পরিচ্ছন্নতা ও আনন্দদায়ক শরীয়তসম্মত বিষয়ের প্রতি যতœবান হতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে মা-বাবাকে।
হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিষয়টির প্রতি সবিশেষ গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার অনুরাগী এবং হালাল ভক্ষণকারী নয়, এমন কোনো মহিলাকে যেন শিশুর লালন-পালন ও দুগ্ধপানের জন্যে নিয়োগ দেওয়া না হয়। কারণ হারাম দুধের মধ্যে কোনো বরকত থাকে না। সুতরাং এর থেকে শিশুর যে শারীরিক বিকাশ-সেটা হবে দুষ্টমূল থেকে তার গঠন। তখন তার স্বভাব দুষ্টুমি ও অপবিত্র বিষয়ের দিকে ঝুঁকে পড়বে। ’
শিশুর মন বনে সততার বীজ:
মন আলোকিত হোক মায়ার জোছনায়, শিশুর মনে বীজ বুনুক সততার। ঈমানের আলোয় আলোকিত হোক শিশু মন। হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি তার বক্তব্যে এই দিকেই ইঙ্গিত করেন- শিশুদের ‘পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের জ্ঞান আহরণ করাবেন। অধ্যয়ন করাবেন ছাহাবীগণ উনাদের আখলাক মুবারক, আউলিয়ায়ে কিরামগণ উনাদের জীবনী মুবারক ও মহান আল্লাহ পাক উনার প্রিয় বান্দাদের ঘটনাবলী এবং শিশুদের বুঝ হওয়ার সাথে সাথে ওলী-আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের ছোহবতে পাঠাবেন যাতে আদর্শবান মানুষদের প্রতি মুহব্বত অঙ্কুরিত হয়। ’
এছাড়াও নান্দনিক চরিত্র ও ভালো আচরণে গড়ে তুলতে হবে শিশুদের। হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘শিশু হচ্ছে মা-বাবার নিকট মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত একটি আমানত। তার পবিত্র আত্মা যে কোনো ছবি ও অংকন থেকে মুক্ত, নির্মল ও উৎকৃষ্ট একটি রতœ। সেখানে যা অংকিত হবে তাই সে গ্রহণ করতে সক্ষম। যেদিকে তাকে আকৃষ্ট করা হবে সেদিকেই সে আগুয়ান হবে।
সুতরাং যদি কল্যাণকর বিষয় বা শিষ্টাচার শিক্ষা ও এর ওপর তাকে অভ্যস্ত করা হয়; তাহলে এভাবেই সে গড়ে উঠবে। সৌভাগ্য তার পদচুম্বন করবে ইহ ও পরলোকে। সে সফলতা ও পুরস্কারের অংশীদার হবে তার মা-বাবা এমনকি শিক্ষকরাও।
পক্ষান্তরে যদি তাকে মহান আল্লাহ পাক না করুন, চতুষ্পদ জন্তুর মতো ছেড়ে দিয়ে অকল্যাণ ও মন্দের ওপর অভ্যস্ত করা হয়, তাহলে সে হবে ব্যর্থ মনোরথ ও হতভাগ্য। তখন এর দায়ভার সন্তানের লালন-পালনের দায়িত্বপ্রাপ্ত অভিভাবকদের কাঁধে গিয়ে পড়বে।
-সাইয়্যিদ মুক্তাদুল ইসলাম।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরযে আইন হচ্ছে- যথাযথভাবে ৫ ওয়াক্ত নামায তারতীব অনুযায়ী যথাসময়ে আদায় করে নেয়া
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (১)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












