শৈশবকাল থেকেই সন্তানকে ব্যক্তিত্ব বা আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন হওয়ার শিক্ষা দান করতে হবে (৪)
, ০৩ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১২ ছানী, ১৩৯২ শামসী সন , ১০ জুলাই, ২০২৪ খ্রি:, ২৬ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মহিলাদের পাতা
স্মর্তব্য যে, সম্মানিত দ্বীন ইসলামই হলেন সম্মান-মর্যাদার প্রাণকেন্দ্র।
আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
نَحْنُ قَوْمٌ اَعَزَّنَا اللهُ بِالْاِسْلَامِ
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে সম্মানিত ইসলাম দ্বারা মর্যাদাবান করেছেন। কাজেই, কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃত নিজের ব্যক্তিত্ব বা আত্মসম্মান বিলিয়ে দেয় তাহলে সে যেন নিজেই নিজেকে লাঞ্ছিত করলো।
পবিত্র সূরা নিসা শরীফ উনার ৯৭নং আয়াত শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে-
إِنَّ الَّذِينَ تَوَفَّاهُمُ الْمَلَائِكَةُ ظَالِمِي أَنْفُسِهِمْ قَالُوا فِيمَ كُنْتُمْ قَالُوا كُنَّا مُسْتَضْعَفِينَ فِي الْأَرْضِ قَالُوا أَلَمْ تَكُنْ أَرْضُ اللَّهِ وَاسِعَةً فَتُهَاجِرُوا فِيهَا فَأُولَئِكَ مَأْوَاهُمْ جَهَنَّمُ وَسَاءَتْ مَصِيرًا
অর্থ: যারা নিজ আত্মার উপর জুলুম করলো সম্মানিত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা তাদের জান কবজ করতঃ বলেন, তোমরা উহারই (অত্যাচার) মধ্যে ছিলে। তারা বলে আমরা যমীনে দূর্বল ছিলাম। হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণ উনারা বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার যমীন কি প্রশস্ত ছিল না, যেখানে তোমরা হিজরত (দেশ ত্যাগ) করে আশ্রয় নিতে? কাজেই, তাদের ঠিকানা জাহান্নামে। আর জাহান্নাম সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট ঠিকানা। ”(সূরা নিসা শরীফ: আয়াত শরীফ ৯৭)
কাজেই, যতক্ষণ পর্যন্ত শক্তি সামর্থ্য থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত জিল্লত বা হীনতা-নীচুতাকে গ্রহণ করবে না। যদি বাধ্য হয়, নিরুপায় হয় তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্ষমা করে দিবেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি এ সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক করেন-
إِلَّا الْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ لَا يَسْتَطِيعُونَ حِيلَةً وَلَا يَهْتَدُونَ سَبِيلًا فَأُولَئِكَ عَسَى اللَّهُ أَنْ يَعْفُوَ عَنْهُمْ وَكَانَ اللَّهُ عَفُوًّا غَفُورًا
অর্থ: কিন্তু স্ত্রী-পুরুষ, বাচ্চাদের মধ্যে যারা অসহায় কোন উসীলা এবং পথের সন্ধান পায় না তাদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্ষমা করে দিবেন। অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক তিনি মার্জনাকারী, ক্ষমাশীল। (সূরা নিসা: আয়াত শরীফ ৯৮-৯৯)
-আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত উম্মে সুরাইকা দাওসিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (৩)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (১০)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে না
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সর্বাবস্থায় আজল বা তাড়াহুড়া না করে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












