পারিবারিক তালিম:
সন্তানদের ও পরিবারের সকলকে সালাম দেয়া শিক্ষা দান করুন
, ২০ ই জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৬ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ০৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহিলাদের পাতা
সালাম দেয়া সুন্নত মুবারক। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সালাম দেয়ার ক্ষেত্রে অগ্রগামী ছিলেন। আবাল বৃদ্ধ সবাইকে সালাম দিয়েছেন।
সালামের জাওয়াব দেয়া ওয়াজিব। কারো সাথে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য সালাম হচ্ছে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠতম মাধ্যম বা উপায়। সালাম দিলে মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত নাযিল হয়। অন্তরে মুহব্বত পয়দা হয়, বিদ্বেষভাব দূর হয়, দিলে প্রশান্তি আসে। মুয়াশারাত, মুয়ামালাতের জন্য সালামের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। স্বয়ং খালিক্ব, মালিক রব, মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই সালাম দানের শিক্ষাদাতা।
عَنْ حضرت أَبِي هُرَيْرَةَ رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَلَقَ اللَّهُ آدَمَ عليه السلام على صورته طوله ستون ذِرَاعًا فَلَمَّا خَلَقَهُ قَالَ اذْهَبْ فَسَلِّمْ عَلَى أُولَئِكَ النَّفَرِ وَهُمْ نَفَرٌ مِنَ الْمَلَائِكَةِ جُلُوسٌ فَاسْتمِعْ مَا يُحَيُّونَكَ فَإِنَّهَا تحِيَّتكَ وَتحِيَّةُ ذُرِّيَّتكَ فَذَهَبَ فَقَالَ السَّلَامُ عَلَيْكُمْ فَقَالُوا السَّلَامُ عَلَيْكَ وَرَحْمَةُ اللَّهِ
অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি আবুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি করলেন। অতঃপর হযরত ফেরেস্তা আলাইহিমুস সালাম উনাদের দিকে ইশারা করে বললেন, আপনি ঐ সকল হযরত ফেরেস্তা আলাইহিমুস সালাম উনাদের নিকট যান। উনাদেরকে সালাম করুন। উনারা আপনার সালামের কি জাওয়াব দেন, তা শুনুন। কেননা উহাই আপনার এবং আপনার পরবর্তী সন্তানগণের জন্য সালাম উনার তরতীব বা পদ্ধতি। সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল বাশার ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি হযরত ফেরেস্তা আলাইহিমুস সালাম উনাদের নিকট গেলেন। উনাদেরকে খিতাব বা সম্বোধন করে বললেন, আসসালামু আলাইকুম। হযরত ফেরেস্তা আলাইহিমুস সালাম উনারা বললেন, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ)
মহান আল্লাহ পাক তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে খিতাব বা সম্বোধন করে বলেন-
وَإِذَا جَاءَكَ الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِآيَاتِنَا فَقُلْ سَلَامٌ عَلَيْكُمْ ـ
অর্থ: (আমার মহাসম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) মু’মিনগণ যখন আপনার মহাপবিত্র দরবার শরীফে আসে তখন আপনি তাদেরকে বলুন, “আসসালামু আলাইকুম”। (পবিত্র সূরা আনয়াম শরীফ-৫৪)
বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আবূ যর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু তিনি বলেন, একদিন আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র দরবার শরীফে হাজির হলাম। তিনি আমাকে “আসসালামু আলাইকুম” বলে অভিবাদন জানালেন। আর আমি উত্তরে বললাম, ওয়া আলাইকুমুস সালাম।
হযরত আবূ যর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু তিনি আরো বলেন, ইসলামের ইতিহাসে সর্বপ্রথম যাকে সালাম দেয়া হয়, আমিই সেই ব্যক্তি। (ফাতহুল বারী- ১১/০৪)
সালাম দিলে অহংকার দূর হয়:
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
البادئ بالسلام بريء من الكبر ـ
অর্থ: যে ব্যক্তি প্রথম সালাম দেয় সে অহংকার থেকে মুক্ত। (শুয়াবুল ঈমান)
সালামদাতা মহান আল্লাহ পাক উনার নৈকট্যপ্রাপ্ত:
পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে-
عَنْ حضرت أَبِي أُمَامَةَ رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ أَوْلَى النَّاسِ بِاللَّهِ مَنْ بَدَأَ السَّلَام.
অর্থ: হযরত আবূ উমামাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, প্রথম যে সালাম দেয় সে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট উত্তম। (আহমদ শরীফ, তিরমিজি শরীফ, আবূ দাঊদ শরীফ)
-আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












