সন্তান দত্তক বা পালক নেয়ার পরবর্তী মাসয়ালা

, ২৭ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১১ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২৫ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মহিলাদের পাতা

অনেক দম্পত্তি সন্তান দত্তক বা পালক নেন। কিন্তু শরীয়ত না জানার কারণে অনেক সময় তারা গুনাহের ভাগিদার হন।

মূলত সন্তান দত্তক বা পালক নেয়ার পর যখন সন্তান প্রাপ্ত বয়স্ক বা বালেগ হয়, তখন পূত্র সন্তানের সাথে পালক মায়ের পর্দা ফরজ হয় এবং কন্যা সন্তানের সাথে পালক পিতার পর্দা ফরজ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে পর্দা না করলে মারাত্মক গুনাহে গুনাহগার হতে হয়।

এ ক্ষেত্রে কি করা উচিত?

দত্তক নেয়ার পর বাচ্চার বয়স যদি আড়াই বছরের নিচে হয়, তখনই পালক মায়ের ‍দুধ পান করানো হলে তাদের মধ্যে দুধ পিতা-মাতার সম্পর্ক তৈরী হয়, তখন আর ভবিষ্যতে বেপর্দার গুনাহ হবে না। তবে নিঃসন্তান মা যদি পালক সন্তানকে দুধ পান না করাতে পারেন, তবে কন্যা হলে পালক বাবার দিকের আত্মীয় (যেমন পালক বাবার বোন), আর পূত্র হলে পালক মায়ের দিকে কোন নিকট আত্মীয়দের মধ্যে দুধ পান করানোর মাধ্যমে দুধ সম্পর্ক তৈরী করলে ভবিষ্যতে আর পর্দার বিধান লংঘনের গুনাহে গুনাহগার হতে হবে না।

(এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছি ঢাকা রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার সম্মানিত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার মুবারক ছোহবতে। তিনি কোন এক সুওয়ালের জবাবে এ সমাধান খানা দিয়েছিলেন।)

-উম্মু আমিম।

ট্যাগসমূহঃ