সবজি উৎপাদন ১২ বছরে ৭ গুন বাড়লেও বাড়ছেনা বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন। উৎপাদন পর্যায়েই সবজিতে মিশছে ২০ গুন বিষাক্ত কীটনাশক। ক্যান্সার, প্যারালাইসিস, কিডনি রোগ, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছেই।
সরকারের উচিত, বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে বৃহৎ মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা এবং তার দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।
, ০৯ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২০ হাদী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি:, ০৬ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মন্তব্য কলাম
বাংলাদেশে গত এক যুগে সবজি উৎপাদনে ঘটে গেছে এক নীরব বিপ্লব। বর্তমানে বছরে ১ কোটি ৭২ লাখ টন সবজি উৎপাদন করে বাংলাদেশ বিশ্বে সবজি উৎপাদনে তৃতীয় অবস্থানে উন্নীত হয়েছে এটা দেশের কৃষি ও কৃষকের জন্য এক বিশাল অর্জন ও গর্বের বিষয়। দেশে বর্তমানে ৬০ জাতের ২০০ ধরনের সবজি উৎপাদন হচ্ছে। এই সবজি উৎপাদনের সঙ্গে দেশের ১ কোটি ৬২ লাখ কৃষি পরিবার অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। বাংলাদেশ থেকে ৫০টিরও বেশি দেশে সবজি রপ্তানি হচ্ছে। কিন্তু সবজি উৎপাদন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেলেও বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে এখনো কাঙ্খিত সাফল্য অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশ। ফলে অনেক দেশেই সবজি রফতানিতে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে দেশের সবজিকে। তবে অল্প পরিসরে হলেও বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনের পথে বাংলাদেশ।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, বিষমুক্ত সবজি নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করছে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ইউনিয়নের ৫০০ কৃষক। সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব, রাসায়নিক সার ও রাসায়নিক বালাইনাশক ছাড়া সবজি আবাদ করছে তারা। এতে দারুণ সফলতা পেয়েছে কৃষকরা। তাদের চাষাবাদ ঘিরে গদখালীকে বিষমুক্ত সবজি চাষের ‘মডেল’ বলছে কৃষি কর্মকর্তারা। এই সবজি ক্ষেতের বিশেষত্ব হলো- এখানে রাসায়নিক সার ও রাসায়নিক বালাইনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে না। সম্পূর্ণ জৈবসার ও জৈব বালাইনাশক এবং ক্ষতিকর পোকা দমনে ব্যবহার করা হচ্ছে হলুদ ফাঁদ পদ্ধতি।
শুধু যশোরই নয় বরং দেশের নীলফামারী, বাগেরহাট, কুমিল্লা, রংপুর, রাজশাহীসহ বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে বিষমুক্ত সবজি চাষ শুরু হয়েছে। কৃষক ও পরিবেশকে বাঁচাতে দেশে প্রথমবারের মতো ১০টি উপজেলার ১০ ইউনিয়নকে মডেল হিসেবে নিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আইপিএম প্রকল্পের আওতায় ১০০ একর করে মোট এক হাজার একর জমিতে বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি চাষ করা হচ্ছে। পরিবেশবান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ‘আইপিএম মডেল ইউনিয়ন’-এ বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি চাষ করছে। প্রকল্পভুক্ত এসব সবজিক্ষেতে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে পরিবেশবান্ধব ভার্মি কম্পোস্ট। ক্ষতিকর পোকামাকড় দমনে রাসায়নিক কীটনাশকের পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে সেক্স ফেরোমোন ফাঁদ, হলুদ আঠালো ফাঁদ, নেট হাউস, জৈব বালাইনাশক, ইকোমেকস, বায়োট্রিন ইত্যাদি।
বলাবাহুল্য, আমসহ ফলমুলে ফরমালিন ব্যবহার বন্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হলেও সবজিতে বিষ ব্যবহারের সুনির্দিষ্ট কোন নিয়ন্ত্রণ আইন নেই। যার কারণে মাঠে চাষিদের কীটনাশক ব্যবহার বন্ধে কঠোর হওয়া যায় না। উৎপাদন পর্যায়ে বেগুন, শিম, ফুলকপি ও শাকের জমিতে কৃষকরা সহনীয় মাত্রার চেয়ে অবাধে অনেকগুণ বেশি বিষাক্ত কীটনাশক ছিটাচ্ছে। খুচরা ও পাইকারির চেয়ে উৎপাদন পর্যায়ে স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে সর্বোচ্চ ২০ গুণ পর্যন্ত অতিরিক্ত বিষ মেশানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। ফলে সাধারণ মানুষ তাদের অজ্ঞাতসারেই বিভিন্ন রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে।
কৃষক বালাইনাশক ব্যবসায়ীদের পরামর্শে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক ব্যবহার করে। যেসব পোকামাকড় অতিসহজেই হাতে-নাতে কিংবা কৃষিতাত্ত্বিক পদ্ধতিতে দমন করা যায়, সেক্ষেত্রেও কীটনাশক ব্যবসায়ীদের কুপরামর্শে কৃষক অধিক মাত্রায় ক্ষতিকর কীটনাশক প্রয়োগ করে। কীটনাশকের ক্ষতিকর দিক বিবেচনা না করে অপেক্ষমাণ সময় শেষের আগেই শাকসবজি তুলে বাজারে বিক্রি করে কৃষক। ওইসব বিষ মিশ্রিত শাকসবজি খাওয়ার কারণেই দেশে ক্যান্সার, প্যারালাইসিস, কিডনি রোগ, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে। মারা যাচ্ছে অসংখ্য মানুষ। কীটনাশকের নামে মানুষ হত্যার এক নির্মম কার্যক্রম চলছে।
বালাইনাশকের নির্বিচার ব্যবহারে মানুষই শুধু দুরারোগ্য ব্যাধিতেই ভুগছে না, ধ্বংস হচ্ছে উপকারী বন্ধু পোকামাকড়। পোকার দেহে সৃষ্টি হচ্ছে কীটনাশক প্রতিরোধ ক্ষমতা। কীটনাশকের কারণে দূষিত হচ্ছে মাটি, পানি ও বাতাস। ধ্বংস হচ্ছে মাটিতে বসবাসকারী উপকারী অণুজীব ও কেঁচোর মতো উপকারী প্রাণী। মাটি হারাচ্ছে সহজাত উর্বরতা। বালাইনাশকের অবশিষ্টাংশ বৃষ্টি ও সেচের পানিতে চুইয়ে পড়ছে প্রাকৃতিক নীরাশয়, নদী-নালা ও খালবিলে। ধ্বংস হচ্ছে পানীজপ্রাণী ও উদ্ভিদ। বিনষ্ঠ হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য এবং পানিবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে কৃষি।
সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো, সরকার যেখানে বিষমুক্ত সবজি চাষের চেষ্টা করছে সেখানে কতিপয় কৃষি কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণে সরকারের এই উদ্যোগ ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, তারা বিষমুক্ত সবজি চাষের কতিপয় প্রযুক্তি কৃষকদের মাঝে বুঝিয়ে দিয়েই দায় সারছে। পরবর্তীতে তাদের আর কোনো খোজ খবর রাখছে না। ফলে কৃষকরা কীটনাশক কোম্পানিগুলোর নানা কুপরামর্শে সবজির বেশি ফলনের জন্য সেই বিষই প্রয়োগ করছে। কিন্তু সেগুলো আবার বাজারে বিষমুক্ত সবজি হিসেবেই বিক্রি হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিশ্বের ২৬টি দেশের ২ কোটি ৫০ লাখ হেক্টর জমিতে জৈবিক উপায়ে সবজিসহ কৃষিপণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে। এছাড়া উন্নয়নশীল দেশগুলোও এদিক থেকে পিছিয়ে নেই কারণ সেখানেও কৃষিক্ষেত্রে রাসায়নিকের ব্যবহার বাদ দিয়ে শুধুমাত্র জৈবিক ও কীটনাশকমুক্ত পদ্ধতির চাষাবাদের আওতায় এসেছে প্রায় ২ কোটি হেক্টর কৃষি জমি। জৈব সার দিয়ে চাষ করলে প্রথম এক থেকে দুই বছর ফলন কিছুটা কম হয়, তবে চার থেকে পাঁচ বছর পর রাসায়নিক সার দিয়ে চাষ করা জমির তুলনায় ফলন বেশি হবে। জৈবসার প্রয়োগ ও জৈব কীটনাশক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ধানসহ বিভিন্ন ফসল এবং সবজির উৎপাদন খরচ শতকরা ২৫-৩০% কমিয়ে আনা সম্ভব। জৈব সার ব্যবহার করলে ফসলের উৎপাদন খরচ রাসায়নিক সারের চেয়ে শতকরা ৫০-৬০% কম হয়।
সঙ্গতকারণেই আমরা মনে করি, অযথাই ভুরি ভুরি প্রকল্প গ্রহণ করে সেগুলো দুর্নীতির অঙ্গরাজ্যে পরিণত না করে সেই অর্থ দিয়ে বৃহৎ মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করে দেশে কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে এনে কীটনাশকমুক্ত উন্নত প্রযুক্তি ও জৈবিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে সবজির উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে সাথে রফতানিও বৃদ্ধি করা সম্ভব। এতে করে দেশের অর্থনীতিতে শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি দেশের মানুষের জনস্বাস্থ্যও রক্ষা পাবে। ক্ষতিকর কীটনাশকের হাত থেকে পরিবেশও রক্ষা পাবে।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
রাজধানীর সব ভবনে ছাদ বাগানের হাজারো কোটি টাকার উপরে আয় এবং অতিরিক্ত অক্সিজেন প্রাপ্তিসহ বহুবিধ সুফলের পাশাপাশি প্রয়োজনীয়তাও অনেক। রাজধানীবাসীর উচিত স্বতঃস্ফূর্তভাবে ছাদ বাগান কার্যক্রমে এগিয়ে আসা।
০১ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
খাবারে এমনকী মায়ের দুধেও ঢুকছে প্লাষ্টিক কণা পাশাপাশি বাংলাদেশী বিজ্ঞানীর গবেষণায় জানা গেছে, মানুষের শ্বাসনালিতেও জমছে মাইক্রোপ্লাস্টিক স্থায়ী বিকলাঙ্গতা ও ক্যান্সার বৃদ্ধির শঙ্কায় দেশের জনগন। বিষয়টি ভয়াবহ- সত্ত্বর গুরুত্বের সাথে নজর দিন
৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নারীরা এখন প্রকাশ্যে সিগারেট থেকে সব ধরণের মাদক সেবন ও বিকি-কিনিতে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে গেছে। রক্ষা পেতে নারীদের জন্য সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করার বিকল্প নেই
২৮ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান
২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অবহেলায় কৃষিতে ব্যবহৃত হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ও রাসায়নিক; বাড়ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি। বিলুপ্তির পথে ১৯২ জাতের উপকারী পোকা। সরকারের উচিত অবিলম্বে কীটনাশক ও রাসায়নিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রন করে জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও কৃষিকে বিষমুক্ত করা।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসকরা লাভবান হলেও চিকিৎসার উচ্চ ব্যয় মেটাতে গিয়ে প্রতিবছর দারিদ্রসীমায় চলে যাচ্ছে অর্ধকোটি মানুষ চিকিৎসার সরকারি ব্যয় আগের তুলনায় বেড়েছে। তারপরও মানুষের চিকিৎসা ব্যয় বেড়েই চলেছে। যার বড় একটি কারণ চিকিৎসকদের একটি অংশের অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ সরকারকে সত্ত্বর ব্যবস্থা নিতে হবে।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
খাবারের নামে আমরা কী খাচ্ছি? ভেজাল খাবারে দেশব্যাপী চলছে নীরব গণহত্যা। ভেজাল দমনে ইসলামী মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
রক্ত নিয়ে বাণিজ্য- মেশানো হচ্ছে স্যালাইন, লবণ পবিত্র দ্বীন ইসলামী মূল্যবোধের প্রসার ব্যতীত রক্ষা নেই
২২ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
তথাকথিত ইসলামী ব্যাংকগুলো আদৌ ইসলামী নয়। সুদবিহীন ব্যাংক নয়। দ্বীনদার, পরহেজগার মুসলমানের জন্য সুদবিহীন ইসলামী ব্যাংকের সুবিধা ও সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
২১ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গঃ জবরদখলে থাকা সরকারি সম্পত্তি, পরিত্যক্ত সম্পত্তি, খাস জমি অথবা রেলওয়ের বেহাত জমি। পরিত্যক্ত জমির হিসাব ভূমি মন্ত্রণালয়ে নেই। উদ্ধারেও সক্রিয় ও জোরদার তৎপরতা নেই।
২০ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভূমি সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় আইন-কানুন জানেনা দেশের সিংহভাগ মানুষ পাঠ্যপুস্তকে ভূমি বিষয়ক আইন ও নিয়মকানুন এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)