সম্মানিতা মহিলা আউলিয়া-ই কিরাম উনাদের পরিচিতি মুবারক
, ২৬ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০২ সাদিস , ১৩৯২ শামসী সন , ৩০ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ১৪ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মহিলাদের পাতা
হযরত রায়হানাহ ওয়ালাহা রহমতুল্লাহি আলাইহা :
তিনি বছরার এক আবেদা ছিলেন। হযরত ছালেহ মাররি রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম-সাময়িক ছিলেন। তিনি উনার জামার বুকের দিকের অংশে এই শে’র লিখে রেখেছিলেন-
أَنْتَ أُنْسِي وَهَمَّتِى وَسُرُورِي ... قَدْ أَبَى الْقَلْبُ أَنْ يُحِبَّ سِوَاكَا
يَا عَزِيزِي وَهَمَّتِى وَمُرَادِى ... طَالَ شَوْقِي مَتَى يَكُونُ لِقَاكَا
لَيْسَ سُؤْلِي مِنَ الْجِنَانِ نَعِيمٌ ... غَيْرَ أَنِّي أُرِيدُهَا لِأَرَاكَا
(অর্থ: আপনি আমার মুহব্বত, আমার হিম্মত, আমার আনন্দ। আপনি ছাড়া কাউকে মুহব্বত করা আমার অন্তর অস্বীকার করে। হে আমার প্রিয়, হে আমার হিম্মত, হে আমার আরজু। আমার আগ্রহ সুদীর্ঘ হয়ে গিয়েছে, আপনার সাথে কখন আমার মোলাকাত হবে। আমি আপনার নিকট জান্নাত ও ইহার নিয়ামত সমূহ সুওয়াল করি না, আমি শুধু আপনার সাথে মোলাকাতের আরজুই করি। ) (নাফাহাতুল উনস, পৃষ্ঠা ৮৮২)
হযরত মুয়াজা আদাবিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহা :
তিনি হযরত রাবেয়া আদাবিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহা উনার সম-সাময়িক ছিলেন এবং উনার ছোহবতে থাকতেন। কথিত আছে যে, তিনি ৪০ বছর পর্যন্ত আসমানের দিকে মুখ উঠিয়ে দেখেননি এবং রাত্র ব্যতীত দিনে কোন খাবার খাননি। সারা রাত জাগ্রত থাকতেন। লোকেরা যখন বললো যে, আপনি নিজ নফসকে কেন এত কষ্ট দিচ্ছেন? তিনি উত্তরে বলেন, আমি তো নফসকে কোন কষ্ট দেই নি, আমি রাতের ঘুম দিনের উপর ঢেলে দিয়েছি এবং দিনের খানা রাতের উপর ঢেলে দিয়েছি। (নাফাহাতুল উনস, পৃষ্ঠা ৮৮২)
হযরত বিবি আফিরাহ আবিদাহ রহমতুল্লাহি আলাইহা :
তিনিও বছরার অধিবাসী ছিলেন এবং হযরত মুয়াজা আদাবিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহা উনার ছোহবতে ছিলেন। উনার ক্রন্দনের ধারা এরূপ ছিল যে, তিনি কাঁদতে কাঁদতে উনার দৃষ্টিশক্তি লোপ পাচ্ছিল। কেউ উনাকে বললো, অন্ধ হওয়া তো একটি কঠিন বিষয়। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার থেকে অন্ধ থাকা (পর্দায় থাকা) তো আরো বেশী কঠিন। (নাফাহাতুল উনস, পৃষ্ঠা ৮৮৩)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












