সম্মানিতা মহিলা আউলিয়া-ই কিরাম উনাদের পরিচিতি
, ২৪শে জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ৩০ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ২৭ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মহিলাদের পাতা
হযরত বিবি হাকীমাহ দামেশকিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহা:
তিনি দামেস্কের আরিফা এবং আবিদাগণের সর্দার ছিলেন। তিনি রাবিয়া শামিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহা উনার উস্তাদ ছিলেন। হযরত শায়েখ আহমদ বিন আবিল হাওয়ারী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন যে, রাবেয়া শামিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহা বলেন, আমি হাকীমাহ দামেশকিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট পৌঁছলাম। তখন তিনি কুরআন শরীফ পড়ছিলেন। যখন তিনি ফারেগ হলেন তখন আমাকে বললেন, হে রাবেয়া ! আমি শুনেছি যে, তোমার আহাল বা স্বামী (হযরত আহমদ হাওয়ারী রহমতুল্লাহি আলাইহি) তোমার মাথার উপর আর একজন মহিলাকে নিতে চান। আমি বললাম, হ্যাঁ। হযরত হাকীমাহ দামেশকিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহা ইহা শুনে বললেন, সে কি আকল জ্ঞান রাখে, ইহা সে কিভাবে পছন্দ করলো যে, সে দুইজন বিবির সাথে মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে মশগুল থাকতে পারবে? হয়ত তুমি এই আয়াত শরীফ সম্পর্কে জানো-
إِلَّا مَنْ أَتَى اللهَ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ (কিন্তু সে ব্যতীত যে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট প্রশান্ত অন্তঃকরণ নিয়ে এসেছে)। আমি বললাম, আমি তো এর তফসীর জানি না। তিনি বললেন, এই পবিত্র আয়াত শরীফের তফসীর এই যে, তুমি আল্লাহ পাক পর্যন্ত পৌঁছো, এবং তোমার অন্তরে মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত আর কিছুই থাকবে না। রাবেয়া রহমতুল্লাহি আলাইহা বলেন, আমি উনার নিকট থেকে বিদায় নিয়ে বাইরে আসলাম। আর উনার ইরশাদের এমন একটা বোঝা আমার উপর পড়লো, আমি ঝুঁকে ঝুঁকে চলছিলাম। আর রাস্তায় আমার সাথে যে সব লোকের সাক্ষাত হতো তাদের থেকে আমি পর্দা করতাম, তারা যেন এই মনে না করে ইনি রাবেয়া শামিয়া। (নাফাহাতুল উনস, পৃষ্ঠা ৮৮৫)
হযরত বিবি ফাতেমা আল-বারদা’ইয়াহ রহমতুল্লাহি আলাইহা:
হযরত বিবি ফাতেমা আল-বারদা’ইয়াহ রহমতুল্লাহি আলাইহা তিনি ছিলেন আরদাবিলের অধিবাসী। বর্ণিত আছে যে, তিনি আরেফাহ ছিলেন। আর উনার কথাবার্তা জাহেরীভাবে শরীয়ত পরিপন্থী (দ্ব্যর্থবোধক) মনে হতো। একদিন একজন শায়েখ উনাকে এই হাদীছে কুদসী শরীফ উনার ব্যাখ্যা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন-
أَنَا جَلِيْسٌ مَنْ ذَكَرَنِى (আমি ঐ ব্যক্তির সাথী হই যে আমার যিকির করে)। অতঃপর এর উপর অনেকক্ষণ আলোচনা চললো। অতঃপর তিনি এর ব্যাখ্যা এভাবে করেন যে, নিঃসন্দেহে যিকির হচ্ছে এই যে, সব সময়ে মহান আল্লাহ পাক উনাকে স্মরণ করা সত্ত্বেও তোমার যিকির উনার মধ্যে ফানা হয়ে যাবে, আর উনার যিকির বাকী থাকবে এভাবে যে, না মাকান (স্থান) হবে, না যামান (সময়) হবে। (নাফাহাতুল উন্স্, ৮৮৯ পৃষ্ঠা)
-আল্লামা সাঈদ আহমদ গজনভী।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












