সম্মানিত ইসলামী শরীয়তে- তথাকথিত ট্রান্সজেন্ডার মতবাদ, তৃতীয় লিঙ্গ ও হিজরা! (১)
, ০৪ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৭ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ৩১ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মহিলাদের পাতা
ট্রান্স শব্দের অর্থ পরিবর্তন, আর জেন্ডার শব্দের অর্থ হলো লিঙ্গ। সুতরাং ট্রান্সজেন্ডার শব্দের অর্থ হলো লিঙ্গ পরিবর্তন করা। সাধারণত মানুষ বা প্রাণী যে লিঙ্গ ধারণ করে জন্মগ্রহন করে তা কখনোই হাক্বীক্বীভাবে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। মূলত নির্দিষ্ট জেন্ডার বা লিঙ্গ নিয়ে জন্ম গ্রহণ করা এটা প্রাকৃতিক অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার পদত্ত। আর চিকিৎসাবিজ্ঞানও এ ব্যাপারে একমত যে, কেউ নির্দিষ্ট লিঙ্গ ধারণ করে জন্মগ্রহণ করার পর সে চাইলেও কখনোই প্রকৃতপক্ষে লিঙ্গ পরিবর্তন করতে পারে না। কেউ যদি অস্ত্রোপচার করে লিঙ্গ পরিবর্তন করেও থাকে, তবুও সেটা কখনোই কার্যকরী হয় না।
যারা ট্রান্সজেন্ডারের দাবি তুলছে, তারা কখনোই পরিবর্তিত জেন্ডার দিয়ে সন্তান জন্মদানে সক্ষম হবে না। সুতরাং বোঝা গেল, ট্রান্স মতবাদের এই ব্যাপারটি সম্পূর্ণ বানোয়াট, ভিত্তিহীন, অকার্যকর এবং ভুয়া দাবির অর্ন্তভুক্ত। শব্দার্থ ও বাস্তবতা দ্বারাই বোঝা যায়, এখানে লিঙ্গ নিজে নিজেই পরিবর্তন হয় না, বরং পরিবর্তন করানো হয়। এখন তাহলে তাদের এই দাবির পেছনে মূল উদ্দেশ্য কী? তা গভীরভাবে ফিকির করতে হবে।
উল্লেখ্য যে, ট্রান্সজেন্ডার বা লিঙ্গ পরিবর্তন করার বিষয়টি তিনভাবে হতে পারে বা হয়ে থাকে। (১) শুধুমাত্র পোশাক পরিচ্ছদ পরিবর্তনের মাধ্যমে বাহ্যিক বা যাহিরী ছুরত পরিবর্তন করা। অর্থাৎ ছেলেরা মেয়েদের পোশাক আর মেয়েরা ছেলেদের পোশাক পরিধান করা।
(২) অস্ত্রোপচার করে লিঙ্গ পরিবর্তন করা।
(৩) মনস্তাত্বিকভাবে কোনো ছেলে নিজেকে মেয়ে মনে করা এবং কোন মেয়ে নিজেকে ছেলে মনে করা। আর এ তিনটির প্রত্যেকটিই সম্মানিত ইসলামী শরীয়তে হারাম, নাজায়েয, কুফরী ও প্রতারণামূলক। মূলত নিজেদের অশ্লিলতা, অশালীনতা ও কুরুচিপূর্ণ মনোবাঞ্চনা পূরণের লক্ষেই ট্রান্সজেন্ডার বা লিঙ্গ পরিবর্তন করা হয়ে থাকে।
এ ধরনের মতবাদ ধারণ করা, প্রচার করা, সমর্থন করা কখনোই দ্বীন ইসলাম বা শরীয়তসম্মত নয়। বরং এ ধরনের বিভ্রান্তিকর গুমরাহীমূলক বিষয়ের প্রতিবাদ করা প্রতিটি মুসলমান, ঈমানদারের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য।
-আল্লামা মুহম্মদ ফজলুল হক্ব।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ইমামুল হুদা, ইমামু আহলিল ইয়াক্বীন, সুলালাতুন নুবুওওয়াহ, সিরাজুল মিল্লাহ, আল ইমামুল খমিস, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম বাক্বির আলাইহিস সালাম উনার কতিপয় মহাসম্মানিত ক্বওল শরীফ
২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাই সত্যের মাপকাঠি (১)
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৫)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত রজব মাস হলেন মহান আল্লাহ পাক উনার মাস
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে না
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
হযরত উম্মে সুরাইকা দাওসিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












