নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘হালালও স্পষ্ট হারামও স্পষ্ট।’
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- পবিত্র তারাবীহ নামাযে বা অন্য যে কোনো সময় পবিত্র কুরআন শরীফ খতম বা তিলাওয়াত করে বা করিয়ে উজরত বা পারিশ্রমিক নেয়া ও দেয়া উভয়টাই হালাল এবং জায়িয। সুবহানাল্লাহ!
তাই পবিত্র কুরআন শরীফ খতম বা তিলাওয়াত করে উজরত বা পারিশ্রমিক নেয়াকে নাজায়িয বলা কুফরী।
, ১০ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২২ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ২১ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ০৭ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ‘ফতওয়ায়ে আলমগীরী’ ৪র্থ খ-ের, ৪৬৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, “সময় নির্দিষ্ট করে কবরের নিকট পবিত্র কুরআন শরীফ পাঠ করে উজরত বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করার ব্যাপারে আলিম উনারা মতভেদ করেছেন। (কেউ বলেন জায়িয নয়, আর কেউ কেউ বলেন এটা জায়িয)। মূলত, এটাই (অর্থাৎ শেষোক্তটাই) গ্রহণযোগ্য মত। অনুরূপ ‘সিরাজুল ওহহাজ’ কিতাবে উল্লেখ আছে।” ‘বাহরুর রায়েক’ কিতাবের ৫ম খ-, ২২৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, “নিশ্চয় ফতওয়াগ্রাহ্য মতে পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করে উজরত বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করা জায়িয।” পুরাতন ছাপার ‘জাওহারাতুন নাইয়্যারাহ’ কিতাবে উল্লেখ আছে, “(আলিমগণ) পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করে উজরত বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করার ব্যাপারে ইখতিলাফ বা মতবিরোধ করেছেন। কেউ কেউ বলেন ওটা জায়িয নয়, আর কেউ কেউ বলেন জায়িয, এ মতটিই (অর্থাৎ শেষোক্তটিই) মনোনীত বা গ্রহণযোগ্য মত।”
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ‘রফউল গিশাওয়াহ লিমাহমূদ আফেন্দী’ কিতাবে উল্লেখ আছে, হযরত আল্লামা মাহমূদ আফেন্দী মুফতীয়ে দামেশক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমাকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়েছে যে, আলিম, ফাযিল হযরত আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ ইবনে আবিদীন শামী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ‘রদ্দুল মোহতার’, ‘তনকীহ’ ও ‘শিফাউল আলীল’ কিতাবসমূহে পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করে উজরত বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করা নাজায়িয লিখেছেন, এটা মাযহাবের ফতওয়াগ্রাহ্য মত কি?” আমি উক্ত বক্তব্যের জবাবে বললাম যে, “সংশোধনকারী (অর্থাৎ হযরত আল্লামা ইবনে আবিদীন শামী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উক্ত তিন কিতাবে যা লিখেছেন, তা উলামায়ে মুতাকাদ্দিমীন অর্থাৎ পূর্ববর্তী আলিম উনাদের মত। কেননা উনাদের মতে ইবাদতের বিনিময়ে উজরত বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করা নাজায়িয ছিল। কিন্তু উলামায়ে মুতাআখখিরীন অর্থাৎ পরবর্তী আলিম উনারা স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন যে, ফতওয়াগ্রাহ্য মতে পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করে উজরত বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করা জায়িয। এটা অধিকাংশ পরবর্তী আলিম উনাদের মত। এ সম্পর্কিত বর্ণনাগুলো প্রায় মুতাওয়াতির পর্যন্ত পৌঁছেছে। সবগুলোই ফতওয়ার আলামত (চিহ্ন) সহ প্রকাশিত হয়েছে এবং ইসলামী শহরের প্রবীণ ও প্রসিদ্ধ আলিম উনারা এটা জায়িয হওয়ার ফতওয়া দিয়েছেন। আমি উনাদের উল্লেখিত বর্ণনাগুলো সঙ্কলন করবো। তিনি প্রায় ৪০ খানা কিতাব হতে তৎসমস্ত সঙ্কলন করেন।” (অনুরূপ ‘তাফসীরে ইকলীল শরীফ’ কিতাবেও উল্লেখ আছে)
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- সময় অথবা স্থান নির্ধারণের শর্তে পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করে উজরত বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করা জায়িয। এ সম্পর্কে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ উনার ২৩-২৪তম সংখ্যায় ৫১টি অকাট্য দলীল দ্বারা ফতওয়া প্রদান করা হয়েছে। আরো দলীল আমাদের কাছে বিদ্যমান রয়েছে। তাছাড়া মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ গবেষণা কেন্দ্র হতে এ বিষয়ে একখানা রেসালা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে উলামায়ে ‘সূ’দের মনগড়া, দলীলবিহীন প্রচারণায় বিভ্রান্ত না হয়ে অকাট্ট ও নির্ভরযোগ্য দলীলের ভিত্তিতে প্রমাণিত বিষয়ের উপর আমল করার জন্য সকলকে তাকীদ করা হয়েছে।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সালাম আদান-প্রদান করা হচ্ছে ‘শিয়ারুল ইসলাম’। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- এক মুসলমান আরেক মুসলমানকে সালাম দেয়া খাছ সুন্নত। আর ‘সালাম’ উনার জাওয়াব দেয়া হচ্ছে ওয়াজিব। সুবহানাল্লাহ! তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- কাফির-মুশরিক, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীক্বা বাদ দিয়ে মহাপবিত্র সুন্নত তরীক্বা অনুযায়ী পরস্পর-পরস্পরকে সালাম আদান-প্রদান করা। যা ইহকাল ও পরকালে বেমেছাল রহমত-বরকত ও সাকীনা লাভের কারণ হবে।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি “ইছনাইনিল আযীম শরীফ” (সোমবার) মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত নূরুত তাশরীফ মুবারক প্রকাশ করার কারণে এ মুবারক দিবসটি হচ্ছেন- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত। তাই কুল-কায়িনাতের সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- প্রতিটি সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ বা মহাসম্মানিত মহাপবিত্র ইছনাইনিল আযীম শরীফ উনাকে মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ হিসেবে উদযাপন করা। সুবহানাল্লাহ!
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- গান-বাজনা করা ও শ্রবণ করা কবীরাহ গুনাহ। গান-বাজনার আসরে বসা ফাসিক্বী এবং গান-বাজনার স্বাদ গ্রহণ করা কুফরী। তাই প্রত্যেকের জন্য ফরয হচ্ছে- হারাম গান-বাজনাসহ সর্বপ্রকার অশ্লীল-অশালীন হারাম কাজ থেকে বিরত থাকা।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ পবিত্র ১৪ই জুমাদাল উখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! পঞ্চম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, হুজ্জাতুল ইসলাম, হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এ উপলক্ষে সকলের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করার লক্ষ্যে মাহফিল করে এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ করে উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক হতে ইবরত-নসীহত মুবারক হাছিল করে তা আমলে বাস্তবায়ন করা।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- রাস্তা উন্নয়ন, নদী সংরক্ষণ, মেট্রোরেল ও উড়াল সেতু নির্মাণ, সৌন্দর্যবর্ধন ইত্যাদি যে কোন অজুহাতে পবিত্র মসজিদ ভাঙ্গা বা স্থানান্তর করা সম্পূর্ণরূপে হারাম, কবীরা গুনাহ ও কুফরী। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মালিকুত তামাম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নূরুত তাশরীফ মুবারক উনার তারিখ পবিত্র ১২ই শরীফ। সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ হচ্ছেন সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ এবং সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! তাই কুল-কায়িনাতের সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- প্রতি আরবী মাসের মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনাকে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ হিসেবে উদযাপন করা। সুবহানাল্লাহ!
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানী ও কটাক্ষ করে লেখা সমস্ত বই ও পত্র-পত্রিকার লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক, প্রচারক, সমর্থক সকলেই কাট্টা মুরতাদের অন্তর্ভুক্ত।
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
খালিক্ব মালিক রব হিসেবে মহান আল্লাহ পাক তিনি যেরূপ এক এবং একক। তদ্রুপ হাবীব ও মাহবুব হিসেবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও এক এবং একক। সুবহানাল্লাহ!
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদে রসূল, ইবনে হাদিউল উমাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস কায়িনাতবাসীদের জন্য সুমহান ঈদ বা খুশির দিন। সুবহানাল্লাহ!
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- প্রত্যেক মুসলমান জিন-ইনসান, পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই তাযকিয়া বা আত্মশুদ্ধি লাভ করা ফরয। সুবহানাল্লাহ! আর সেজন্য একজন হক্কানী রব্বানী শায়েখ বা মুরশিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করে ইলমে তাছাউফ অর্জন করাও ফরয। সুবহানাল্লাহ!
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ সুমহান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৭ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! অতএব, সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- এ মুবারক দিবস উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করার পাশাপাশি উনাকে মুহব্বত করা, অনুসরণ-অনুকরণ করা ও উনার যথাযথ খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেয়া।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার সুস্পষ্ট ঘোষণা মুবারক অনুযায়ী- ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিক, হিন্দু-বৌদ্ধ, বেদ্বীন-বদদ্বীনদেরকে যে কোন অবস্থাতেই বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা, মুহব্বত করা ও অনুসরণ-অনুকরণ করা হারাম ও কুফরী। কাজেই, প্রত্যেক মুসলমান ও দেশের সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- কোনো অবস্থাতেই কাফির-মুশরিকদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ ও মুহব্বত না করা এবং সর্ব ক্ষেত্রেই তাদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা থেকে বিরত থাকা।
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












