৪৯. প্রসঙ্গ : রোযা অবস্থায় ইনজেকশন, স্যালাইন, ইনসুলিন, ইনহেলার নিলে অবশ্যই রোযা ভঙ্গ হয়ে যায়
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য : রোযা অবস্থায় ইনজেকশন নেয়া জায়িয। তাতে রোযা ভঙ্গ হয়না। কারণ ইনজেকশন মগজ ও পাকস্থলীতে পৌঁছেনা। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার বক্তব্য : এ কথাটি সম্পূর্ণ ভুল ও দলীলবিহীন। কারণ চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে ইনজেকশন অবশ্যই ব্রেইন বা মগজে ক্রিয়া করে। সুতরাং ইনজেকশন, স্যালাইন, ইনসুলিন, ইনহেলার নিলে অবশ্যই রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
[এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর ২১, ২২, ২৩, ২৬, ৪০, ৪১, ৪৩, ৪৬, ৪৭, ৪৮, ৫৩ ও ৬৪তম সং বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল: পবিত্র কুরবানীর পশুর জন্য কোন কোন ত্রুটি থেকে মুক্ত হওয়া জরুরী?
জাওয়াব: পবিত্র কুরবানীর জন্য পশু দোষ-ত্রুটি মুক্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়। পশুর ত্রুটিগুলি দু’ভাগে বিভক্ত। (এক) আয়িবে ফাহিশ অর্থাৎ বড় ধরনের দোষ বা ত্রুটি। যার কোন একটি পশুর মধ্যে থাকলে উক্ত পশু দ্বারা কুরবানী শুদ্ধ হবে না। যেমন- এমন দূর্বল পশু, যার হাড়ে মজ্জা বা মগজ শুকিয়ে গেছে। অথবা যে সকল পশু কুরবানীর জায়গা পর্যন্ত হেঁটে যেতে পারেনা। যেসব পশুর একটি পা এরূপ নষ্ট হয়ে গেছে যে, উক্ত পা দ্বারা চলার সময় কোন সাহায্য নিতে পারে না। যে পশুর কান অথবা লেজের তিনভাগের একভাগ ক বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
পবিত্র কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত কি কি?
জাওয়াব:
পবিত্র কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত হচ্ছে- (১) মুসলমান হওয়া, (২) স্বাধীন হওয়া, (৩) মুক্বীম হওয়া, (৪) বালেগ হওয়া, (৫) মালিকে নিসাব হওয়া, (৬) পাগল না হওয়া অর্থাৎ আক্বলমন্দ হওয়া।
পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার ১০ তারিখের ছুবহে ছাদিক হতে ১২ তারিখের সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যদি কেউ মালিকে নিসাব হয় অর্থাৎ হাওয়ায়িজে আছলিয়াহ (নিত্য প্রয়োজনীয় ধন-সম্পদ) বাদ দিয়ে সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ ভরি রূপা বা তার সমপরিমাণ মূল্যের মালিক হয়, তাহলে তার উপর পবিত্র কুরবানী ওয়াজিব।
উল্ বাকি অংশ পড়ুন...
রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুজ জামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নির্ভরযোগ্য সকল ফিক্বাহ ও ফতওয়ার কিতাবে একথাই উল্লেখ আছে যে, উলামায়ে মুতাকাদ্দিমীন অর্থাৎ পূর্ববর্তী ফক্বীহ উনাদের মতে সকল ইবাদতের বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
প্রতিদিনের ন্যায় পবিত্র সুন্নতী জামে মসজিদে অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানে বিশেষ মাহফিল মুবারক অনুষ্ঠিত হয়। বাদ ইশা মহান মুর্শিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি কুল-কায়িনাতের সকলের উদ্দেশ্যে নসীহত মুবারক পেশ করেন।
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত¦ানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তারাবীহ নামাজ পৃষ্ঠা হিসেবে নয়, তারাবীহ নামাজ রুকু হিসেবে পড়তে হয়। প্রত্যেক রাকায়াতে এক রুকু করে পড়তে হয়। সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নুরাইন আলাইহিস সালাম তিনি সর্বপ্রথম তা বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল: কেউ কেউ বলে তারাবীহ নামায ৮ রাকায়াত পড়াই সুন্নত। আবার কেউ কেউ বলে থাকে, ১২ রাকায়াত। কোন মতটি ছহীহ?
জাওয়াব: সম্মানিত আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের ফতওয়া মুতাবিক পবিত্র তারাবীহ উনার নামায ২০ রাকায়াত পড়াই হচ্ছে সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। অতএব, কেউ যদি ২০ রাকায়াত থেকে এক রাকায়াতও কম পড়ে, তবে তার সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ তরক করার গুনাহ হবে। অর্থাৎ পবিত্র তারাবীহ উনার নামায ২০ রাকায়াতই পড়তে হবে এবং এর উপরই ইজমা বা ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
যারা পবিত্র তারাবীহ উনার নামায ৮ রাকায়াত বলে থাকে, তারা বুখারী শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হযরত উ বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার প্রাথমিক যুগে পবিত্র কুরআন শরীফ খতম বা তিলাওয়াত করে বা করিয়ে উজরত বা পারিশ্রমিক নেয়ার বৈধতা ছিল। পরবর্তীতে ইসলামী খিলাফত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এবং খিলাফতের পক্ষ হতে ইমাম ও কাজী নিযুক্ত করা হয়। সাথে সাথে নিযুক্ত ইমাম ও কাজী ছাহেবদের জন্য খিলাফতের পক্ষ হতে ভাতাও নির্ধারণ করা হয়। যেহেতু খিলাফতের পক্ষ হতে ভাতা নির্ধারণ করা ছিল, সেহেতু পবিত্র কুরআন শরীফ খতম বা তিলাওয়াত করে বা করিয়ে আলাদা উজরত বা পারিশ্রমিক নেয়াটা অপ্রয়োজনীয় হয়ে যায়।
তাই, উলামায়ে মুতাক্বদ্দিমীন বা পূর্ববর্তী ফক্বীহগণ পবিত্র কুরআন শর বাকি অংশ পড়ুন...
খতম তারাবীহ পড়িয়ে উজরত গ্রহণ করা জায়িয
দেওবন্দীদের অনেক কিতাবেই তারা ফতওয়া দিয়েছে- “পবিত্র তারাবীহ উনার নামায বা অন্যান্য সময়ে পবিত্র কুরআন শরীফ খতম করে উজরত বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করা হারাম। নাঊযুবিল্লাহ!
মূলতঃ পবিত্র কুরআন শরীফ খতম বা তিলাওয়াত করে উজরত গ্রহণ করা সম্পর্কিত দেওবন্দীদের উক্ত ফতওয়া অসম্পূর্ণ ও অশুদ্ধ। কারণ উজরত গ্রহণ করা শর্ত সাপেক্ষে জায়িয, আবার শর্ত সাপেক্ষে নাজায়িয। অর্থাৎ সময় অথবা স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হলে ইমামতী, শিক্ষকতা, হজ্জের মাসয়ালা-মাসায়িল ও পবিত্র কুরআন শরীফ শিক্ষা দিয়ে খতম বা তিলাওয়াত করে উজরত বাকি অংশ পড়ুন...












