সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার নছীহত মুবারক:
সম্মানিত নেক ছোহবত ইখতিয়ার এবং উনার তাছির বা ক্রিয়া
, ২৮ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৪ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ০২ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ১৭ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মহিলাদের পাতা
যতক্ষণ নেক ছোহবতে থাকা হয় ততক্ষণ নেক তাছির পড়ে, জান্নাত-জাহান্নামের কথা স্মরণ হয় এবং আমলও করা হয়। আর যখন নেক ছোহবত থেকে বের হয়ে যাওয়া হয় তখন নেক তাছিরও থাকেনা, আমলের প্রতি আগ্রহও থাকেনা। এই কারণেই মহান আল্লাহ পাক তিনি সূরা তওবা শরীফ উনার ১১৯ নং আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
كُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَ
অর্থ মুবারক: তোমরা ছদিক্বীন উনাদের সঙ্গী হয়ে যাও।
এখানে বিষয়টি ফিকিরের যে,মহান আল্লাহ পাক তিনি كُوْنُوْا مَعَ الْقُرْاٰنِ
বলতে পারতেন। কিন্তু তিনি বলেছেন-
كُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَ
অর্থাৎ- ছদিক্বীন তথা হক্কানী-রব্বানী ওলীআল্লাহ, যারা দায়েমীভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার যিকিরে মশগুল উনাদের সঙ্গী হতে বলেছেন। কেননা, আহলে যিকির তথা ওলীআল্লাহ উনাদের উপর দায়েমীভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত মুবারক নাযিল হয়।
একটি ঘটনার মাধ্যমে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হবে। একদিন এক ব্যক্তি একজন ওলীআল্লাহ উনাকে সুওয়াল করলেন, “মানুষ বলে, ওলীআল্লাহ উনার কবরের পাশে দাফন করতে। এটা কেন বলে? তখন ছিল গরমকাল, ওলীআল্লাহ উনাকে উনার একজন খাদিম পিছনে পাখা দিয়ে বাতাস করছিল। ওলীআল্লাহ সুওয়ালকারীকে কাছে ডাকলেন। সুওয়ালকারী উনার কাছে আসার পর তিনি উনাকে বললেন, তোমার গায়ে কি বাতাস লাগছে? তখন লোকটি বলল, জ্বী। ওলীআল্লাহ পুনরায় বললেন, তোমাকে কি বাতাস করা হচ্ছে? সে বলল, না। তিনি বললেন, তাহলে কাকে বাতাস করা হচ্ছে? লোকটি বলল, আপনাকে। তিনি পুনরায় বললেন, আমাকে বাতাস করা হচ্ছে তাহলে তোমার গায়ে কেন বাতাস লাগছে? লোকটি উত্তর দিল, আপনার নিকটবর্তী হওয়ার কারণে। তখন ওলীআল্লাহ উনি বললেন, মুহ্সিনীন তথা হক্কানী-রব্বানী ওলীআল্লাহ উনাদের নিকট মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত মুবারক নাযিল হয়। আর যারা উনাদের নিকটে আসবে তারাও সেই রহমত মুবারক উনার হিস্সা লাভ করবে। ”
যেমন এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি সূরা আ’রাফ শরীফ উনার ৫৬ নং আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন-
إِنَّ رَحْمَتَ اللهِ قَرِيبٌ مِّنَ الْمُحْسِنِينَ
অর্থ মুবারক: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত মুবারক মুহসিনীন তথা ওলীআল্লাহ উনাদের নিকট রয়েছে।
সুতরাং হক্বানী-রব্বানী ওলীআল্লাহ উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করলে রহমত মুবারক লাভ করা যাবে। আর রহমত মুবারক লাভ করতে পারলে নেক কাজ করা সহজ-সম্ভব হবে, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ছহীহ সমঝ পয়দা হবে এবং হক্ব-নাহক্ব পার্থক্য করার যোগ্যতা হাছিল হবে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












