সাইয়্যদিুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহসি সালাম উনার এবং মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহমিুস সালাম উনাদরে বশিষে শান মুবারক
, ৯ই রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১১ আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ১০ মার্চ, ২০২৫ খ্রি:, ২৩ ফালগুন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২রা রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “যেমন একটা ঘটনা। এটা আসলে তোমাদের আক্বীদাহ্ শুদ্ধ রাখবে। বেশ কিছু দিন আগের কথা। আমি হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে নিয়ে এক স্থানে তাশরীফ মুবারক নিয়েছি। একটি বড় বিল্ডিং। অনেক বড় বিল্ডিং! সেখানে তাশরীফ মুবারক নিয়েছি। ওখানে তাশরীফ মুবারক নিয়ে দেখি, সেখানে চার মাযহাবের চারজন ইমাম উনারা আছেন। চারজন চারটা বিছানায় শুয়ে আছেন। প্রথম ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি, দ্বিতীয় হযরত শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি। এরপর উনারা বাকীরা। সবাই তো মনে হয় মৃতপ্রায়। ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিষয়টা একটা বাচ্চা শিশুর মতো। প্রথম উনি। আমি হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে নিয়ে বাচ্চা শিশুর কাপড়-চোপড় যেভাবে পাল্টায়, ঠিকঠাক করে, তেমন সব ঠিকঠাক করে দিলে উনি যুবক খুব সুন্দর হয়ে গেলেন।
দ্বিতীয় ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনি শোয়া আছেন। উনি সেলোয়ার কামীছ পরে শোয়া। গায়ে কোনো চাদর পরা নেই। উনি অনেক শুকনা মনে হলো। স্যালাইনের রোগী যেমন শুকনা থাকে। উনাদের বাকীরাও ওরকম অনেকটা। এরপর উনাদেরকেও ঠিকঠাক করা হলো। মোটামুটি একটা অবস্থায় পৌঁছে দেয়া হলো। এর মধ্যে ঘুম ভেঙ্গে গেলো।
মূল ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনি সবচেয়ে শক্তিশালী যুবক হলেন। আর উনারা মোটামুটি একটা অবস্থায় আসলেন। (সুবহানা মামদুহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) দেখা গেলো উনাদের কোনো খাদিম-খুদ্দাম কেউ নেই। আর শারীরিক দিক থেকে শরীর অনেক শুকনা ও দুর্বল। স্যালাইনের রোগী না বললেও কাছাকাছি। পরে মোটামুটি একটা অবস্থায় পৌঁছেছেন। এরকম অনেক ঘটনা আছে। একখানা ঘটনা মুবারক বললাম। ” (সুবহানা মামদুহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৫শে শাওওয়াল শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “আজকে একটা ঘটনা মুবারক ঘটেছেন। তোমরা তো এটা শুনার উপযুক্ত না। (১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৪শে শাওওয়াল শরীফ ইয়ামুল আহাদ অর্থাৎ রোববার) সকালের দিকে, ১০-১১টার দিকে হঠাৎ আমি দেখলাম- হযরত ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনি এসেছেন। উনি এসে আমাকে বলতেছেন যে, এক জায়গায় যেতে হবে। কোথায় যেতে হবে? ঐ যে আপনি গিয়েছিলেন চার ইমাম উনাদের ওখানে। উনাদের অবস্থা নিষ্ক্রিয়। সক্রিয় করতে হবে।
কিভাবে করতে হবে? বললেন, ‘ফায়েজ-তাওয়াজ্জুহ্ দিতে হবে। ’ কিভাবে ফায়েজ-তাওয়াজ্জুহ দিতে হবে? বললেন, ‘সেখানে গেলেই চলবে। ’ আমি হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকেসহ রওনা হলাম। গেলাম সেখানে। দেখলাম যে, বিরান। আগেই বিরান দেখে এসেছি। ঐরকমই দেখেছি। বললেন, আবাদ করতে হবে। কিভাবে আবাদ করতে হবে? তো উনি কিছু ব্রাশ ও রং নিয়ে বললেন, আমরা রং করে দেই। উনিসহ আমরা তিনজন মিলে রং করলাম। আবাদ হলো। উনারা চারজনই একদম পুরো সতেজ হলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) গতবার তো ধারাবাহিকতাটা দেখা হয়নি। এবার দেখলাম- ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনি এক নাম্বার। তারপর ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি, তারপর ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি, তারপর ইমাম মালেক রহমতুল্লাহি আলাইহি। এই চারজন। উনারা উনাদের কাজ শুরু করলেন।
ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনি বললেন- উনারা তো সক্রিয় নেই, সক্রিয় করতে হবে। তো সক্রিয় হলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
তারপর ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনি একখানে আমাদের বসার ব্যবস্থা করলেন, খাওয়ানোর ব্যবস্থা করলেন। আচ্ছা, ঠিক আছে; বসলাম। কিছু দিলেন, খেলাম। তারপরে উনি বললেন যে, ‘আমাদের কাজ তো আমরা করেছি। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহান আল্লাহ পাক উনার অর্থাৎ উনাদের তরফ থেকে উনারা কিছু ফায়েজ-তাওয়াজ্জুহ্ দিবেন। ’ ভালো কথা। আমাকে বললেন, ‘তাহলে আপনার পরিবারের সবাইকে আনেন, ফায়েজ-তাওয়াজ্জুহ্ দেওয়া হবে। ’ তোমাদের আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনিসহ সবাইকে এনে আমি বসালাম। সিরিয়াল মতো সবাইকে বসিয়েছি। যারা আছেন সবাইকে বসিয়েছি। নাকীবাতুল উমাম আলাইহাস সালাম, নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম, শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম, হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনারাসহ ছোট-বড় সবাইকে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং মহান আল্লাহ পাক তিনি অর্থাৎ উনারা ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ্ দিলেন। যাই হোক, অনেকক্ষণ থাকলাম। এরপরে এসে পড়লাম। ” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! (আদ দুরারুল মুখতারাহ্ শরীফ ২/৪০)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে মানহানীকারীদের যুগে যুগে ভয়াবহ পরিণতি (৩০)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৫)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি তিনজন উনাদের মুহব্বত ফরয করে দিয়েছেন-
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মেহমানদারী করার মাধ্যমে উদযাপনে শাফায়াত মুবারক লাভ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩০)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৪)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইত্তিবা বা অনুসরণ করার ক্ষেত্রে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের কোন মেছাল নেই
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (২৯)
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৩)
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মাওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (২)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












