সাইয়্যিদাতুনা হযরত নূরুর রবিয়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র শান মুবারক উনার খিলাফ বুখারী শরীফে বর্ণিত জাল হাদীছের খন্ডন (১)
(মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ থেকে সংকলিত)
, ১০ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৪ ছামিন, ১৩৯২ শামসী সন , ১১ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি:, ২৬ পৌষ , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহিলাদের পাতা
সাধারণ মানুষ বুখারী শরীফের নাম শুনে, ছিহাহ ছিত্তাহ্’র নাম শুনে ধরেই নেয় এখানে যা আছে সব বর্ণনাই চোখ বুঝে গ্রহণযোগ্য। কিন্তু এ ধারণা করার সুযোগ কোথায়? কারণ পবিত্র হাদীছ শরীফ লিপিবদ্ধ হওয়ার প্রাক্কালেই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ইমামদের সবোর্চ্চ সর্তকতার পরও বিভিন্ন বাতিল ফিরকা যেমন- রাফিজী, খারেজী, মুরজিয়া, মুশাব্বিহা ইত্যাদি বাতিল ফিরকার বিভিন্ন বাতিল কথা বিভিন্ন জায়গায় ঢুকে গেছে।
এ কারণে রাজারবাগ শরীফের প্রাণপ্রিয় মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি উছূল মুবারক শিক্ষা দিয়েছেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের, হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সুমহান শান মুবারকের খিলাফ কিছু যদি কোন কিতাবে থাকে, তা যে কিতাবই হোক না কেন, সে বর্ণনা কখনোই গ্রহণযোগ্য হবে না বরং তা বাতিল বলে গণ্য হবে।
এ সম্মানিত উছূল উনার মানদ-ে এ ধরনের বর্ণনার স্বরূপ অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেরিয়ে আসছে বর্ণনাগুলোর প্রকৃত চিত্র। আজকে বুখারী শরীফ থেকে এমন এক বর্ণনা নিয়ে পর্যালোচনা করবো যেখানে আক্বীদা বিধ্বংসী বাতিল কথা উল্লেখ আছে।
বুখারী শরীফের কিতাবুল ফারায়েজ অধ্যায়ে বর্ণিত আছে-
حَدَّثَـنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَـنَا هِشَامٌ، أَخْبَـرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْـقَةِ عَلَيْـهَا السَّلَامُ أَنَّ فَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ وَالْعَبَّاسَ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَتَـيَا أَبَا بَكْرٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ يَلْتَمِسَانِ مِيْـرَاثَـهُمَا مِنْ رَّسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُمَا حِيْـنَئِذٍ يَطْلُبَانِ أَرْضَيْهِمَا مِنْ فَدَكَ وَسَهْمَهُمَا مِنْ خَيْـبَـرَ فَـقَالَ لَـهُمَا أَبُـوْ بَكْرٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَـقُوْلُ لَا نُـوْرَثُ مَا تَـرَكْنَا صَدَقَةٌ إِنَّمَا يَأْكُلُ آلُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ هٰذَا الْمَالِ قَالَ أَبُـوْ بَكْرٍ عَلَيْهِ السَّلاَمُ وَاللهِ لاَ أَدَعُ أَمْرًا رَأَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصْنَـعُهٗ فِيْهِ إِلَّا صَنَـعْتُهٗ قَالَ فَـهَجَرَتْهُ فَاطِمَةُ عَلَيْـهَا السَّلَامُ فَـلَمْ تُكَلِّمْهُ حَتّٰى مَاتَتْ
অর্থ: .......হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ্ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। একবার সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি ও সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা দুইজন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীকে আকবর আলাইহিস সালাম উনার কাছে আসলেন উনাদের ওয়ারিশত্ব বিষয়ে কথা বলার জন্য। উনারা তখন উনাদের ফাদাকের জমি এবং খায়বারের অংশের কথা বলেছিলেন। তখন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীকে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি উনাদের বললেন, আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে শুনেছি, তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, আমরা যা কিছু (সম্পদ) ছেড়ে যাই কেউ তার ওয়ারিশ হবে না, সবই ছদাকাহ্। এ সম্পদ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের তত্তাবধানে থাকবে। সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীকে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আমি এতে যেভাবে করতে দেখেছি, তা সেভাবেই করব, কোন ব্যতিক্রম করব না। (কিতাবের ইবারত অনুযায়ী) রাবী বলেন, তারপর থেকে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি (হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম) উনাকে পরিত্যাগ করেছিলেন, পবিত্র বিছাল শরীফ পর্যন্ত উনার সাথে কথা বলেননি। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)। (বুখারী শরীফ ৬৭২৬)
বুখারী শরীফের এই বর্ণনাটি থেকে শান মুবারক উনার খিলাফ কয়েকটি বিষয় চিহ্নিত হয়। যেগুলো নিয়ে এই লেখায় আলোকপাত করা হবে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












