সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মাহাতিল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার বেমেছাল শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক
এডমিন, ০৭ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৫ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ২৩সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৮ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اَلنَّبِـىُّ اَوْلـٰى بِالْمُؤْمِنِيـْنَ مِنْ اَنْـفُسِهِمْ وَاَزْوَاجُهٗ اُمَّهٰتُـهُمْ
“নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা মু’মিন উনাদের নিকট উনাদের জানের চেয়েও অধিক প্রিয় এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিতা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা আলাইহিন্নাস সালাম।” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় উল্লেখ করতে হয়- উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র স্বপ্ন মুবারক-এ দেখেন যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাকে বলেন, ‘আপনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের পরে সকলের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা আলাইহাস সালাম।’ সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম!
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিলাফত মুবারক হাদিয়া মুবারক করা প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَاذْكُرْنَ مَا يُتْلَىٰ فِي بُيُوتِكُنَّ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ وَالْحِكْمَةِ
“আপনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফসমূহে যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক নাযিল হয়েছেন এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ ইরশাদ মুবারক হয়েছেন, সেগুলো থেকে আপনারা জিন-ইনসানকে, সমস্ত সৃষ্টিকে ওয়াজ করুন, নছীহত করুন, তাদেরকে হিদায়াত করুন।” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
এই সম্পর্কে একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঘটনা মুবারক- উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র স্বপ্ন মুবারক-এ দেখেন যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সাল্লাম উনারা এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা উনাদের পক্ষ থেকে উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিলাফত মুবারক হাদিয়া মুবারক করেন। সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিলাফত মুবারক উনার নিদর্শন মুবারক স্বরূপ একখানা চাবি মুবারক কুদরতীভাবে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক (মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাত মুবারক) উনার মধ্যে এসে পৌঁছেছেন। সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম! অতঃপর উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাকে একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আসন মুবারক উনার মধ্যে বসিয়ে দেয়া হলো। সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম! তখন উনারা বললেন, ‘এখন থেকে আপনি এই মহাসম্মাতি মহাপবিত্র আসন মুবারক উনার মধ্যে বসে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিলাফত মুবারক পরিচালনা করবেন।’ সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম!
তাহলে উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান-মান, ফযীলত মুবারক কত বেমেছাল তা আর বলার অপেক্ষাই রাখে না। সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।