ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ পবিত্র হজ্জ ও পবিত্র উমরা সম্পর্কে (২৫)
পবিত্র হজ্জ ও পবিত্র উমরা সম্পর্কে-
, ১৯ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৯ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ২৮ মে, ২০২৪ খ্রি:, ১৪ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
بِسَبْعِ مِأَةِ ضِعْفٍ
পবিত্র হজ্জের খরচ হচ্ছে জিহাদের খরচের মতো। কমপক্ষে একে সাতশ’গুণ সে লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ! কাজেই এখন পবিত্র হজ্জে খরচ করবে ঠিক আছে কিন্তু শুধু খরচ করলেইতো হবে না। তার সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতো পালন করতে হবে। এখন সেখানে কোন অবস্থায় সে বেপর্দা-বেহায়া কাজ করতে পারবে না, নাফরমানীমূলক কোন কাজ করতে পারবে না, ঝগড়া- ঝাটি, ফিতনা- ফাসাদ সে করতে পারবে না তখন তার পবিত্র হজ্জে মাবরূর নছীব হবে। অন্যথায় তার পবিত্র হজ্জে মাবরূর নছীব হবে না। বিষয়টা ফিকির করতে হবে। এখন এই পবিত্র হজ্জে মাবরূরের জন্য একদিক থেকে পর্দা করা আরেক দিক থেকে ছবি থেকে বেঁচে থাকা এবং তার সংশ্লিষ্ট যত প্রকার অবৈধ কাজ আছে তা থেকে বেঁচে থাকতে হবে। এখন মেয়েদের জন্য যেমন বলা হচ্ছে তারা মাহরাম ছাড়া পবিত্র হজ্জ করতে পারবে না। পুরুষদের জন্য এখানে শুধু পথ এবং পাথেয় আমভাবে বলা হয়েছে। কিন্তু খাছভাবে কোন প্রকার নাফরমানী, কুফরী- শিরিকী, হারাম, অবৈধ কাজ, শরীয়ত বিরোধী কোন কাজ সে করতে পারবে না পবিত্র হজ্জে যেতে হলে। যদি করে তাহলে তার কখনও সেটা কবুল হবে না। পবিত্র হজ্জে মাবরূর তার নছীব হবে না। নাউযুবিল্লাহ! পয়সা সে খরচ করতে পারবে কিন্তু পবিত্র হজ্জে মাবরূর নছীব হবে না।
এখন সৌদি আরব সরকার সে জুলুম করে যাচ্ছে। সেটা বলতে হবে। বিশ্ববাসী যারা মুসলমান তাদের বলা উচিত। এখন সে যেমন চাঁদ নিয়ে হেরফের করে থাকে। এখন সমস্ত ব্যবস্থা যদি ঠিকও থাকে কিন্তু চাঁদের তারিখ তো সে হেরফের করে যাচ্ছে। উকূফে আরাফাহ ৯ তারিখে ফরয, সে ৮ তারিখে করতেছে। নাউযুবিল্লাহ! তাহলে পবিত্র হজ্জ আদায় হবে কি করে? পবিত্র হজ্জে যাওয়ার ফরয যে বিষয় সেটাতো সাকেত হয়ে গেল। এটাতো মুসলমানরা ফিকির করে না। মেয়েদের জন্য যেমন মাহরাম দরকার, পুরুষদেরও সেভাবে সমস্ত অশ্লীল-অশালীন, নাফরমানীমূলক কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। বিরত থেকে সে যদি পবিত্র হজ্জ সম্পাদন করতে পারে তখন তার পবিত্র হজ্জে মাবরূর নছীব হবে। অন্যথায় তার পবিত্র হজ্জে মাবরূর নছীব হবে না। বিষয়টা খুব ফিকির করতে হবে। পবিত্র হজ্জের অনেক ফাযায়িল-ফযীলত, অনেক বুযূর্গী-সম্মান। কিন্তু এ বুযূর্গী- সম্মান সে কখন আদায় করবে যখন সে শর্ত- শারায়েত পূরণ হবে, তখন সেটা পবিত্র হজ্জ করলে সেটা তার হাছিল হবে। আর যদি সে শর্ত- শারায়েত ব্যতিত করে। এখন একটা লোক, আমভাবে যদি বলা হয়, নামায পড়তে যেয়ে সে নামাযের জন্য ওযূই করলো না। নাউযুবিল্লাহ! তার নামায হবে কি করে? আর ওযূ করার পর সে নামায শুরু করলো, সে নামাযে এদিক-সেদিক তাকালো, এলোমেলো কাজ করলো তারতো নামায এভাবেই ফাসেদ হয়ে যাবে। সে আমলে কাছীর করে তারতো নামায ফাসিদ হয়ে যাবে। এখনতো পবিত্র হজ্জও তারা সেরকম করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ! বিষয়টা ফিকির করতে হবে।
কাজেই পবিত্র হজ্জে মাবরূর যেটা বলা হচ্ছে, পবিত্র হজ্জে মাবরূর সমস্ত গুনাহখাতা মাফ করে, তার বদলা জান্নাত। যদি সে শর্ত-শারায়েত অনুযায়ি করতে পারে তখন তার গুনাহখাতা মাফ হবে, তার রিযিকে বরকত হবে, ইহকাল পরকালে তার কামিয়াবী হাছিল হবে। সুবহানাল্লাহ! কাজেই বিষয়টা ফিকির করতে হবে।
পবিত্র হজ্জে মাবরূরের যে বিষয়টা, পবিত্র হজ্জে মাবরূর কাকে বলা হয়, তার কি খুছূছিয়াত, তার কি শর্ত-শারায়েত সে বিষয়গুলো আমরা সামনে ইনশাআল্লাহ আলোচনা করবো। এখন আমভাবে যে বিষয়টা সেটা হচ্ছে, পবিত্র হজ্জে মাবরূর ব্যতীত কারো হাক্বীক্বী কামিয়াবী হাছিল করা সম্ভব নয় এবং পবিত্র হজ্জের কোন ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান যা বলা হলো সেটা সে কশ্মিনকালেও হাছিল করতে পারবে না। যদি করতে চায় তাহলে তাকে পবিত্র হজ্জে মাবরূর করতে হবে। আর পবিত্র হজ্জে মাবরূর করতে হলে তার পুরা শর্ত-শারায়েতগুলি পালন করতে হবে। তখন তার জন্য পবিত্র হজ্জে মাবরূর নছীব হবে। কাজেই আমরা সামনে ইংশাআল্লাহ আলোচনা করবো যাতে বিষয়গুলি সকলে বুঝতে পারে এবং সে অনুযায়ী আমল করতে পারে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আখেরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র ছোহবত মুবারক গ্রহণের ফাযায়িল-ফযীলত, গুরুত্ব-তাৎপর্য ও আবশ্যকতা:
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
যে নিজে পর্দা করে না ও অধীনস্থদের পর্দা করায় না সে দাইয়ূছ
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হাক্বীক্বী মৃত্যুকে স্মরণ করার মধ্যেই শহীদী দরজা মিলে
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শরীয়তের দৃষ্টিতে কোন রোগই ছোঁয়াচে নয়, ছোঁয়াচে বিশ্বাস করা কুফরী
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মূর্তি, প্রতিমা, ভাস্কর্য, ম্যানিকিন ও ছবি নাজায়িয ও হারাম
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
হযরত আব্বাদ ইবনে বিশর ইবনে ওয়াকাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (২)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৩)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা কবীরা গুনাহ ও অসন্তুষ্টির কারণ
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সর্বক্ষেত্রে ফায়সালাকারী হিসেবে মেনে নেয়াই ঈমানদারের পরিচয়
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












