ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুসরণ করার গুরুত্ব ও ফযীলত (৪৫)
, ১২ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২০ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ১৮ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ০৩ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
ঐ উযীর সেটা বুঝতে পরলো। সে বুঝতে পেরে বললো- হে আমীর! এটা তো হযরত হাতেম আসেম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বাড়ী। উনি খুব বুযূগর্, আল্লাহ্ওয়ালা লোক। উনার ঘরে কিন্তু খাওয়ার কিছু নেই, আমাদেরকে যে মেহ্মানদারী করবেন। তেমন কিছু নেই, তো আমাদের উচিত উনাকে কিছু সাহায্য করা।
তখন সে আমীর বললো, তাহলে ঠিক আছে, কি করা যায়? প্রত্যেকের কোমরে একটা কোমরবন্ধনী ছিল, একটা বেল্ট ছিল, সেটা তারা খুলে রাখল। বললো- ঠিক আছে, এটার যত মূল্য হয়, সেই মূল্য দিয়ে আমরা নিয়ে যাব। এটা তাদেরকে হাদিয়া দিব। আমরা এটা খরীদ করে নিয়ে যাব।
ঠিক সেই আমীর তাই করলো। দেখা গেল অনেক টাকা হয়ে গেল। কয়েক হাজার টাকা হয়ে গেল সেগুলোর মূল্য। সেই টাকাগুলি উনাদেরকে দিয়ে আমীর চলে গেল। তাদের স্বচ্ছলতা এসে গেল।
তখন সেই ছোট্ট মেয়েটা দোয়া করল যে, আয় মহান আল্লাহ পাক! আপনি তো আমাদের একটা বন্দোবস্ত করে দিলেন। তো আমার যিনি পিতা হজ্জে গেছেন, উনার প্রতি আপনি দৃষ্টি রাখবেন, সে দোয়া করল।
এদিকে তো হযরত হাতেম আসেম রহমতুল্লাহি আলাইহি হজ্জে চলে গেছেন। উনি কিছু দূর যাওয়ার পরে মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত! উনি কাফেলার সাথে রওয়ানা হয়েছেন। সেই কাফেলার মধ্যে যে প্রধান ব্যক্তি তার পেটে ব্যথা হলো। পেটে ব্যথা শুরু হয়ে গেল। অনেক ডাক্তার কবিরাজ ডাকা হলো, কিছুতেই কিছু হলো না।
শেষ পর্যন্ত এক লোক বললো, এখানে কোন আল্লাহ্ওয়ালা লোক আছে কি? কোন বুযূর্গ লোক আছে, যার উসিলায় মহান আল্লাহ পাক তিনি শেফা দিতে পারেন?
কারণ ওষুধপত্রে তো কোন কাজ হচ্ছে না। এখন আল্লাহ্ওয়ালা লোকের দোয়ায় যদি মহান আল্লাহ পাক তিনি হিফাজত করেন।
তখন এক লোক বললো যে, এই তো হযরত হাতেম আসেম রহমতুল্লাহি আলাইহি, উনি তো মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী, বুযূর্গ বলে আমরা মনে করি। উনি যদি আপনাকে কিছু দোয়া করেন, ফুঁ দেন বা কিছু করেন, তাহলে হয়ত কামিয়াব হতে পারেন। সেই ব্যক্তি বললো যে, হুযূর আমাকে দয়া করে কিছু বন্দোবস্ত করেন। উনি তার পেটের মধ্যে ফুঁ দিলেন, হাত বুলায়ে দিলেন, লোকটা সুস্থ হয়ে গেল। সুবহানাল্লাহ!
যখন সুস্থ হয়ে গেল, সেই ব্যক্তি আমীর ছিল। সে বললো যে, হুযূর! বেয়াদবী মাফ করবেন, আমার সাওয়ারী রয়েছে, একটা সাওয়ারীতে চড়েন এবং আপনার যাতায়াতে যত খরচ দরকার, সব খরচ আমি বহন করবো সুবহানাল্লাহ! উনার ফায়সালা হয়ে গেল।
উনার যখন ফায়সালা হয়ে গেল। উনি মনে মনে চিন্তা করতে লাগলেন যে, আমারতো ফায়সালা হয়ে গেল কিন্তু আমার বাড়ীর কি অবস্থা?
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইলিম অর্জন করার পর সে অনুযায়ী যে আমল করে না, তার তিনটি অবস্থার যে কোনো একটি হবেই-
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৪)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ঢিলা-কুলুখের বিধান
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বেপর্দা হওয়া শয়তানের ওয়াসওয়াসাকে সহজ করার মাধ্যম
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় খরচ করলে তা দ্বিগুণ-বহুগুনে বৃদ্ধি করে ফিরিয়ে দেয়া হয়
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আসমাউর রিজাল, জারাহ ওয়াত তা’দীল, উছুলে হাদীছ শরীফ উনার অপব্যাখ্যা করে অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাকে জাল বলছে ওহাবী সালাফীরা (১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৩)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












