ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মুসলমানের বৈশিষ্ট্য (৬)
, ১৭ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২২ সাবি’, ১৩৯২ শামসী সন , ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ০৫ পৌষ , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
মনযোগ দিয়ে শুনেন, মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী কাদেরকে বলা হয়?
উনার ইস্তেঞ্জা আনা হয়েছে, পরীক্ষা করার জন্য। ডাক্তার সেই ইস্তেঞ্জা দেখে বললো, আপনারা কি নিয়ে এসেছেন? এ ইস্তেঞ্জা থেকে সুঘ্রাণ বের হচ্ছে। আতর-গোলাপের ঘ্রাণ! সুবহানাল্লাহ!। শুধু তাই নয়, ‘আল্লাহ’ ‘আল্লাহ’ যিকির হচ্ছে! সুবহানাল্লাহ!
তখন সে ডাক্তার বললো, আমার এখানে চারশ বিধর্মী রয়েছে। আগে আমাদেরকে তওবা করান, আগে আমাদেরকে তওবা করান। হযরত গউছুল আ’যম শায়েখ সাইয়্যিদ মুহিউদ্দীন আব্দুল ক্বাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ইস্তেঞ্জা দেখে সেই চার’শ বিধর্মী ডাক্তারসহ মুসলমান হয়ে গেলো। সুবহানাল্লাহ!
যখন মুসলমান হয়ে গেল, মুসলমান হয়ে তারা সেই ইস্তেঞ্জা নিয়ে হযরত গউছুল আ’যম শায়েখ সাইয়্যিদ মুহিউদ্দীন আব্দুল ক্বাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে গিয়ে বললো, হে বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি! আপনার ইস্তেঞ্জা এ রকম হলো কি করে? আপনার ইস্তেঞ্জার সাথে রক্ত, ইস্তেঞ্জার মধ্যে সুঘ্রাণ, ইস্তেঞ্জার মধ্যে আল্লাহ আল্লাহ যিকির হচ্ছে, এটার কি হাক্বীক্বত?
হযরত গাউছুল আ’যম শায়েখ সাইয়্যিদ মুহিউদ্দীন আব্দুল ক্বাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন যে- দেখ বাবা, আমার মহা অসুখ হয়েছে, মহা অসুখ। কি অসুখ হয়েছে? মহান আল্লাহ পাক উনার একটা আয়াত শরীফ, মহান আল্লাহ পাক উনার কুরআন শরীফ উনার একটা আয়াত শরীফ আমার ভিতরের কলিজা-গুর্দাগুলি সব তছনছ করে দিয়েছে। সেগুলি রক্ত হয়ে ইস্তেঞ্জার রাস্তা দিয়ে ইস্তেঞ্জার আকারে বের হয়ে যাচ্ছে। আমার আর সময় নেই। মহান আল্লাহ পাক উনার একটা আয়াত শরীফের ফিকির করার কারণে, চিন্তা করার কারণে আমার সব কলিজা-গুর্দাগুলি রক্ত হয়ে ইস্তেঞ্জার রাস্তা দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে।
তখন সমস্ত মুরীদ-মু’তাকিদ উনারা বললেন, হে গাউছুল আ’যম শায়েখ রহমতুল্লাহি আলাইহি! কোন্ সে আয়াত শরীফ, যেই আয়াত শরীফের কারণে আপনার ইস্তেঞ্জা রক্ত হয়ে বের হচ্ছে অর্থাৎ কলিজা-গুর্দাগুলি সব রক্ত হয়ে গেছে?
হযরত গউছুল আয’ম শায়েখ সাইয়্যিদ মুহিউদ্দীন আব্দুল ক্বাদির জ্বিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন যে- দেখ, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন কুরআন শরীফে-
َاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللهَ حَقَّ تُقَاتِهٖ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنْتُمْ مُسْلِمُونَ
মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন, “হে ঈমানদারগণ! মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করার মত ভয় করো, তোমরা মারা যেওনা
وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنْتُمْ مُسْلِمُونَ
মুসলমান না হয়ে মারা যেওনা। ”
হযরত গউছুল আ’যম শায়েখ সাইয়্যিদ মুহিউদ্দীন আব্দুল ক্বাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি, যিনি বড় পীর ছাহেব, উনি বললেন, আমার মৃত্যুর সময় নিকটবর্তী, আমার ভয় হচ্ছে, আমি কি হাক্বীক্বী মুসলমান হতে পেরেছি, কি পারি নাই, হাক্বীক্বী মুসলমান হতে পেরেছি, কি পারি নাই, সেই ভয়ে আমার কলিজা-গুর্দাগুলি সব রক্ত হয়ে, ইস্তেঞ্জার রাস্তা দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে সুবহানাল্লাহ্! এখন চিন্তা করেন, হাক্বীক্বী মুসলমান কাকে বলে?
إِنَّ الْمُسْلِمِينَ وَالْمُسْلِمَاتِ
যারা খালিছ মুসলমান হবে, তারা মহান আল্লাহ পাক উনার ভয়ে ভীত থাকবে। তাদের জবান থেকে, তাদের হাত থেকে মানুষ নিরাপত্তা লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
খালি চোখে চাঁদ দেখে মাস শুরু করা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার নির্দেশ মুবারক
২৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পূর্ব গণনাকৃত বর্ষপঞ্জী দিয়ে মাস শুরু করা শরীয়তসম্মত নয়
২৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে গরুর গোস্ত শি‘আরুল ইসলাম (৬)
২৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, হিন্দুদের পূজায় গিয়েছে, তাদেরকে পূজা করতে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে, সমর্থন করেছে, সম্মতি প্রকাশ করেছে, তাদের সাথে মুছাফাহা ও মুয়ানাক্বা করেছে, তাদেরকে সম্মান করেছে, তা’যীম করেছে, তাদের সম্পর্কে সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করেছে এবং সম্মানসূচক শব্দ দ্বারা সম্বোধন করেছে, বাহ বাহ দিয়েছে এবং বেশি বেশি মূর্তি তৈরী করতে বলেছে এবং বেশি বেশি পূঁজা করতে বলেছে তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (১)
২৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ছহিবে নিসাব প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য পবিত্র কুরবানী দেয়া ওয়াজিব (১)
২৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
কাফিরদের রচিত গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার মুসলমানদের জন্য নয় (২)
২৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র মীলাদ শরীফ বিষয়ে প্রথম দিকে যারা কিতাব রচনা করেছেন উনাদের মধ্যে অন্যতম হলেন হাফিয হযরত আবুল খত্ত্বাব ইবনে দাহিয়্যাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি। যিনি ছিলেন পবিত্র হাদীছ শাস্ত্রের অন্যতম গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব
২৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)